তামিম ইকবাল
তোকে নিয়ে বলার আছে অনেক কিছু্ই। সেই ছেলেবেলা থেকে একসঙ্গে খেলছি, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে, বিভিন্ন পর্যায়ে, রুমমেট ছিলাম অনেকবার। কাছ থেকে দেখেছি তোকে। কোনো এক সময় কোনো এক উপলক্ষে কোনো প্ল্যাটফর্মে নিশ্চয়ই বলব সবকিছু।
তবে আজকের দিনের জন্য শুধু একটিই কথা, বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার মাইলফলক তোর চেয়ে বেশি আর কেউ ডিজার্ভ করে না। আশা করি, ভবিষ্যতে এই অর্জনে তোর পাশে নাম লেখাবে আরো অনেকেই।
কিন্তু তুই প্রথম, এটা তোরই প্রাপ্য।
তাওহিদ হৃদয়
১০০তম টেস্ট, এটা শুধু একটি সংখ্যা নয়। এটি আমাদের জন্য গর্বের। যদি কখনো সেই ছোট্ট হৃদয়কে আপনার সামনে দাঁড় করাতে পারতাম, তখন বুঝতেন আপনি তার একমাত্র অনুপ্রেরণার নাম! শুভেচ্ছা এই মহা মাইলফলকের জন্য। আগামী পথ হোক আরো উজ্জ্বল, আরো সফল, আরো অনেক স্মরণীয় ইনিংসের অপেক্ষায় রইলাম।
তানজিদ হাসান তামিম
নিষ্ঠা, সততা এবং পিওর ক্লাসÑএতেই গড়ে ওঠে সত্যিকারের এক কিংবদন্তি।
১০০ টেস্ট ম্যাচ খেলা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। এর জন্য লাগে বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, ত্যাগ আর খেলার প্রতি অটল ভালোবাসা।
আপনার ক্যারিয়ারই তার জীবন্ত প্রমাণ। মুশফিকুর রহিম ভাই, আপনার ১০০তম টেস্টের জন্য রইল অসীম শুভকামনা। অসাধারণ ক্রিকেটার এবং অসাধারণ কৃতিত্ব!
শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন
মুশি ভাই, ১০০ টেস্ট! দারুণ এক মাইলফলক। পরিশ্রম, কঠোরতা এবং শৃঙ্খলতাÑসবকিছুর মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে গর্বের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে চলছ। দেশের প্রথম হওয়ায় এটা আরো বেশি আইকনিক হয়ে উঠেছে। সামনে এগিয়ে যাও, চ্যাম্প! তোমার চারপাশের সবাই তোমার থেকে অনুপ্রেরণা নেয়। এই বড় দিনে তোমার পাশে থাকতে পারলে ভালো লাগত। দিনটাকে অবিস্মরণীয় করে তোলো।
ইয়াসির আলী চৌধুরী
আসসালামু আলাইকুম, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মুশফিক ভাই শততম টেস্ট খেলতে যাচ্ছেন তাকে অভিনন্দন জানাই। মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে মাঠে ও মাঠের বাইরে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কেটেছে আমার। বাংলাদেশ ক্রিকেটে আপনার অবদান, আমাদের মনে চিরকাল অমলিন থাকবে।
রুবেল হোসেন
এখনো মনে আছে, একটা ম্যাচে আপনার সঙ্গে ব্যাটিং করেছিলাম। আমি ছিলাম লাস্ট ব্যাটসম্যান, আর আপনার শতকের থেকে তখনো সম্ভবত ৩০-৩৫ রান বাকি। সেই মুহূর্তটা আমার জন্য ভীষণ চ্যালেঞ্জিং ছিল, তখন আমার মাথায় একটাই ছিল যে আপনার ১০০ হওয়া পর্যন্ত আমার উইকেটে থাকতে হবে, আলহামদুলিল্লাহ হয়ে গেল, কারণ আপনার হানড্রেডটা পূর্ণ করতে আমি সামান্য হলেও অবদান রাখতে পেরেছিলাম। শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে আপনাকে সাপোর্ট দিতে পেরে যেন নিজেরই একটা অর্জন মনে হলো। গ্রেট অ্যাচিভমেন্ট মুশফিকুর রহিম, আসলে এটা কত বড় অ্যাচিভমেন্ট যারা ক্রিকেট বুঝে প্রোপারলি তারা হয়তো বুঝতে পারবে বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেট।
আব্দুর রাজ্জাক
যদি সবকিছু ঠিকঠাক হয়, মিরপুরে আগামী ১৯ তারিখ মুশফিকুর রহিম আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তার শততম টেস্ট খেলতে নামবে। এটা নিবেদন, কঠোর পরিশ্রম ও খেলার প্রতি ভালোবাসার অনন্য নিবেদন। এটা যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য দারুণ মাইলস্টোন।
আফতাব আহমেদ
মুশফিকুর রহিমের জন্য এটা দারুণ অর্জন হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই অর্জন অবশ্যই অনন্য। অভিষেকের সময় মুশফিক জানত না ঠিক কতগুলো ম্যাচ খেলতে পারবে। তখন সে তরুণ ছিল। সেখান থেকে ১০০তম টেস্ট খেলা অবশ্যই অনেক বড় ব্যাপার। শততম টেস্ট খেলা প্রমাণ করে খেলার প্রতি সে কতটা নিবেদিত ছিল, কতটা পরিশ্রম করেছে। আশা করি, যতদিন খেলবে ততদিন আরো দারুণ কিছু উপহার দেবে।
হাবিবুল বাশার সুমন
মুশফিকুর রহিম ক্রিকেটের কিংবদন্তি। দারুণ কাজ করেছে। শততম টেস্ট খেলতে হলে পারফর্ম করতে হবে। আপনি তখনই এই ধরনের সেরা জায়গায় যেতে পারবেন, যখন নিজেকে বলবেন না, ‘আমি পর্যাপ্ত করেছি’। আমার মনে হয় মুশফিক কখনো বলেনি, ‘আমি পর্যাপ্ত করেছি।’ সে আমাদের ‘মিস্টার ক্রিকেট’। বাংলাদেশ কখনো ইংল্যান্ড, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে অনেক টেস্ট খেলেনি। আমার মনে হয়, মুশফিক তার নিবেদন ধরে রাখতে পেরেছে বলে এই অর্জনটা করতে পারছে। তার এই প্যাশনই তাকে আলাদা করেছে। অন্যদের চেয়ে সে আলাদা জায়গায় আছে। আমার আশা সে আরো কিছুদিন এভাবে এগিয়ে যাবে।
ডেভ হোয়াটমোর
মুশফিক এমন একজন যে জানে সে কী অর্জন করতে চায় এবং অর্জনের জন্য নিজেকে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখতে পারে। আমি তাকে এই মুহূর্তে দেখে বেশ খুশি। ২০০৭ সালে আমি চলে আসার পরও মুশফিকের ক্যারিয়ার অনুসরণ করেছি। সাকিব-তামিমের সঙ্গে দেশকে বেশ গর্বিত করেছেন। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দারুণ করেছে। ওর স্লগ ও সুইপ তো কিংবদন্তিতুল্য।

