এটা নির্বাচন নয় ফিক্সিং, ক্রিকেট হেরে গেল, অভিযোগ তামিমের

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ৩৭
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ৩৩

শুধু তামিম ইকবাল নয়, তার সঙ্গে বিসিবি নির্বাচন থেকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আরো ১০ জন সরে দাঁড়িয়েছেন। তারা বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে তাদের সবাই বলেছেন, সরকারের বর্তমান ক্রীড়া প্রশাসন এই নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছে, তাই তারা এখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো উপায় দেখছেন না। সেজন্য তারা সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার।

বিসিবি নির্বাচন থেকে মূলত ক্যাটাগরি-১, যা ক্লাব ক্যাটাগরি নামে পরিচিত সেখান থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই ক্যাটাগরি থেকে তামিমের সঙ্গে আরো ৮ জন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। তামিম ইকবালের এই সঙ্গীরা হলেন— সাইদ ইব্রাহিম, ইসরাফিল খসরু, রফিকুল ইসলাম বাবু, বোরহানুল পাপ্পু, মাসুদজ্জামান, আসিফ রাব্বানি, মির্জা ইয়াসির আব্বাস, সাব্বির আহমেদ রুবেল। এছাড়াও ক্যাটাগরি ১ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মীর হেলাল ও ক্যাটাগরি ৩ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সিরাজ উদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর।


নিজের নাম প্রত্যাহার করার কারণ হিসেবে বিসিবিতে তামিম ইকবাল সাংবাদিকদের জানান, ‘যেভাবে এই নির্বাচনের প্রক্রিয়া হয়েছে সেটা আসলে নির্বাচন নয়। এখানে ইচ্ছেমতো যার যেটা প্রয়োজন সেই নিয়ম প্রয়োগ করা হয়েছে। এই নির্বাচন বিসিবিতে একটা কালো দাগ হয়ে গেল। এটা নির্বাচন নয়, এটা স্রেফ ফিক্সিং। হয়তো এই নির্বাচনে অনেকেই জিতে বিসিবি চেয়ারে বসবেন। কিন্তু একটা বিষয় নিশ্চিত এই নির্বাচনে ক্রিকেট হেরে গেল!’

মূলত পরিচালক পদে ভাগাভাগির সমঝোতা বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় বিসিবির এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো বা নাম প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটল। উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিসিবি সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ বিতর্কিত ১৫ ক্লাবের বিরুদ্ধে আদালতে রিট করেন। ফারুকের সেই রিটের প্রেক্ষিতে আদালত এই ১৫ ক্লাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ দেন। এই নিদের্শনা বহাল থাকলে এই ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলার এবং নির্বাচনে প্রার্থিতা বড় ধরনের জটিলতায় পড়বে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে বিসিবি নির্বাচন কমিশনার সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন আমার দেশকে স্পষ্ট করে জানান, ‘আমাদের সবাইকে আদালতের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। আমরা কেউ আদালতের নির্দেশনার বাইরে যেতে পারবো না।’

সার্বিক পরিস্থিতি জানাচ্ছিল আদালতের নিষেধাজ্ঞায় বিতর্কিত এই ১৫ ক্লাবের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। ভোটের হিসেবে এই ১৫ ক্লাব বাতিল হয়ে গেলে বিসিবি নির্বাচনে তামিম ইকবাল ও তার প্যানেল একটা বড় শক্তি হারাবে। সবকিছুকে বিবেচনায় নিয়ে তামিম ইকবাল বুধবার রাতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবেন। বুধবার সকালে তিনি সেটাই করলেন। নির্বাচন কমিশন আজ বিকেলের মধ্যে বিসিবির নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবেন।


৬ অক্টোবর হবে বিসিবির নির্বাচন। তামিম ইকবাল ও তার প্যানেলের অনেকে এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় বিসিবি এবারের নির্বাচন কি তাহলে একতরফা নির্বাচনে পরিণত হচ্ছে-এই প্রশ্নটা উঠেই গেল!

শুক্র-শনিবারও চলবে বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম

প্রধান উপদেষ্টার আদেশে জুলাই সনদের আইনি রূপ দিতে হবে

নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুরুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

আইআরআই’র সঙ্গে নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা এনসিপির

দেশে মুক্তি পাচ্ছে জাপানি অ্যানিমে সিরিজ, শিশুদের দেখা নিষেধ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত