হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক জালাল আহমেদ

কামরুল হাসান, হবিগঞ্জ

২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর কারাগারে বুকে ব্যাথা হলে হাতকড়া থাকার পরও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় জালাল আহমেদকে। তিনি জেলা যুবদলের আহ্বায়ক। সেই সব দিনের কথা মনে হলে এখনো কান্না চলে আসে তার।
জালাল বলেন, ডান্ডাবেড়ি একটি কষ্টের স্মৃতি। পায়ে ডান্ডাবেড়ি, হাটাচলা করা যায় না। ঘুমানো যায় না, বসে খাওয়া যায় না, টয়লেটে বসা যায় না। মাঝে মাঝে পা থেকে রক্ত বের হয়।
খবর পেয়ে হাসপাতালে দেখতে আসেন বড় মেয়ে খাদিজা আক্তার তানি, মেজু মেয়ে নুসরাত জাহান তারিন। বাবার এ অবস্থা দেখে তারা আর কান্না ধরে রাখতে পারেনি।
তানি জানান, সেদিন হাসপাতালের বেডে বাবাকে দেখে কান্না ধরে রাখতে পারিনি। মনে হয়েছিল রাজনীতি করে আমার বাবা না জানি কতবড় অপরাধ করেছিলেন। মানুষের প্রতি জুলুম আর নির্যাতনের কারণে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এই জুলুমবাজ হাসিনা যেনো আর বাংলাদেশে না আসতে পারে।
এরআগে নবীগঞ্জ থানায় পুলিশ এসল্ট মামলায় তাকে সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামিও ছিলেন না। ২৬ অক্টোবর আদালত ওই মামলায় তাকে জামিন দেন। জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই জেল গেটে তাকে আবারো গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
গ্রেপ্তারের একদিন পর চুনারুঘাট থানায় আরেক অ্যাসল্ট মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এ মামলায়ও তিনি এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন না। দুটো মামলায় প্রায় ৩ মাস কারাগারে থাকেন যুবদলের এই নেতা।
ডান্ডাবেড়ি কখন পরানো যায় জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দেলোয়ার ফারুক তালুকদার বলেন, বলা হতো ফাঁসির আসামি, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো হবে। পরবর্তীতে একটি মামলায় এই ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়টি নিষেধ করা হয়। বলা হয়, ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না। কারণ এটি একটি নির্যাতন। এটি মধ্যযুগীয় অত্যাচার। কোনো সময়েই পরানো উচিত না।
জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সুমন বলেন, রাজপথের লড়াকু সৈনিক জালাল আহমদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার পুলিশ বাহিনী ৩৫টি মামলা দিয়েছে। সবগুলো মামলায় তিনি কারাভোগ করে জামিনে রয়েছেন। আর সেইদিনের কথা মনে পড়লে আজও গা শিউরে ওঠে।

২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর কারাগারে বুকে ব্যাথা হলে হাতকড়া থাকার পরও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় জালাল আহমেদকে। তিনি জেলা যুবদলের আহ্বায়ক। সেই সব দিনের কথা মনে হলে এখনো কান্না চলে আসে তার।
জালাল বলেন, ডান্ডাবেড়ি একটি কষ্টের স্মৃতি। পায়ে ডান্ডাবেড়ি, হাটাচলা করা যায় না। ঘুমানো যায় না, বসে খাওয়া যায় না, টয়লেটে বসা যায় না। মাঝে মাঝে পা থেকে রক্ত বের হয়।
খবর পেয়ে হাসপাতালে দেখতে আসেন বড় মেয়ে খাদিজা আক্তার তানি, মেজু মেয়ে নুসরাত জাহান তারিন। বাবার এ অবস্থা দেখে তারা আর কান্না ধরে রাখতে পারেনি।
তানি জানান, সেদিন হাসপাতালের বেডে বাবাকে দেখে কান্না ধরে রাখতে পারিনি। মনে হয়েছিল রাজনীতি করে আমার বাবা না জানি কতবড় অপরাধ করেছিলেন। মানুষের প্রতি জুলুম আর নির্যাতনের কারণে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এই জুলুমবাজ হাসিনা যেনো আর বাংলাদেশে না আসতে পারে।
এরআগে নবীগঞ্জ থানায় পুলিশ এসল্ট মামলায় তাকে সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামিও ছিলেন না। ২৬ অক্টোবর আদালত ওই মামলায় তাকে জামিন দেন। জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই জেল গেটে তাকে আবারো গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
গ্রেপ্তারের একদিন পর চুনারুঘাট থানায় আরেক অ্যাসল্ট মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এ মামলায়ও তিনি এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন না। দুটো মামলায় প্রায় ৩ মাস কারাগারে থাকেন যুবদলের এই নেতা।
ডান্ডাবেড়ি কখন পরানো যায় জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দেলোয়ার ফারুক তালুকদার বলেন, বলা হতো ফাঁসির আসামি, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো হবে। পরবর্তীতে একটি মামলায় এই ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়টি নিষেধ করা হয়। বলা হয়, ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না। কারণ এটি একটি নির্যাতন। এটি মধ্যযুগীয় অত্যাচার। কোনো সময়েই পরানো উচিত না।
জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সুমন বলেন, রাজপথের লড়াকু সৈনিক জালাল আহমদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার পুলিশ বাহিনী ৩৫টি মামলা দিয়েছে। সবগুলো মামলায় তিনি কারাভোগ করে জামিনে রয়েছেন। আর সেইদিনের কথা মনে পড়লে আজও গা শিউরে ওঠে।