২০২১ সালের জানুয়ারিতে সুলাওয়েসি দ্বীপে ৬.২ মাত্রার এক ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হন। ২০১৮ সালে পালুতে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প ও পরবর্তী সুনামিতে প্রাণ যায় ২২০০ জনের বেশি মানুষের।
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। শনিবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে এ ভূমিকম্প হয়। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে এতথ্য জানায়।
কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতায় ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল কেন্দ্রীয় কলম্বিয়ার পারাতেবুয়েনো শহরের কাছে, যা বোগোতা থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর আল-জাজিরার।
ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেছেন, ঢাকায় ভূমিকম্পের মতো বড় দুর্যোগ মুহূর্তে উদ্ধার সহায়তার জন্য কুইক রেসপন্স করতে ৬০ সদস্যের স্পেশাল ফোর্স গঠন করা হয়েছে।
ভূমিকম্পসহ প্রাকৃতিক ও মানুষের সৃষ্ট সকল দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিশেষায়িত দল গঠন ও প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু হয়েছে।
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ফিলিপাইন ও আফগানিস্তান। রিখটার স্কেলে ফিলিপাইনের ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬ এবং আফগানিস্তানে ৫ দশমিক ৬।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার কাছে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ২। দেশটির অঙ্গরাজ্যের সান দিয়েগো নগরীর বাইরে গ্রামীণ রাস্তাগুলোতে পাথরের টুকরো পড়ে থাকতে দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৮টা ৩ মিনিটে দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে এই ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ১৭৪ কিলোমিটার (১০৮ মাইল) গভীরতায়।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে এ কম্পন অনুভূত হয়।
মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। জাতিসংঘের হিসাবে, ৩০ লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ভবন ধসই এর বড় কারণ।
ভারত-নেপালসহ বেশ কয়েকটি দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে গত সপ্তাহে শক্তিশালী ভূমিকম্পে বহু হতাহতের ঘটনার ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই ফের এ ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে।
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
সুইডিশ সাংবাদিক বার্টিল লিন্টনারের কথা মনে আছে? বেচারা এখন বুড়ো হয়েছেন। সত্তরের বেশি বয়স হবে। হয়তো এখন কোথাও অবসরজীবন কাটাচ্ছেন। ২৩-২৪ বছর আগে ২০০২ সালে তার এক লেখায় বাংলাদেশে ভূমিকম্পের মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। তখন তার বয়স পঞ্চাশের কোঠায়।
বিজ্ঞানীরা মিয়ানমারের ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটিকে ‘সুপারশিয়ার ভূমিকম্প’ নামে অভিহিত করেছেন। তারা বলেন, এই সুপারশিয়ার ভূমিকম্প বিরল ধরনের বলে মনে হচ্ছে। এক্ষেত্রে ফাটলের শক্তি মাটির মধ্য দিয়ে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে প্রবাহিত হয়েছে, যা ধ্বংসকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। এ ধরনের ফাটল ‘একটি সুপারসনিক জেটের সমতুল
মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় মসজিদে নামাজ আদায় করছিলেন শত শত মুসল্লি। এ ঘটনায় সবচেয়ে বড় মসজিদ মায়োমার ভেতরে থাকা প্রায় সব মুসল্লি মারা যান।
মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দ্বিতীয় দফায় জরুরি ওষুধ ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর তিনটি পরিবহন বিমানযোগে এসব ওষুধ ও ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়।
মিয়ানমারের প্রাচীন রাজধানী মান্দালয়ে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির ভয়াবহ প্রভাব পড়েছিল প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে। ভূমিকম্পের কাঁপুনি বাংলাদেশ, ভারত, কম্বোডিয়া ও চীন পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে। বেশি ক্ষতি হয়েছে মান্দালয়ে। ১৯৩০ সালে মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বাগুতে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার যে ভূমিকম্প হয়েছিল, তাতে