সীমান্ত অতিক্রম করে, সাম্রাজ্যবাদী বুমেরাংয়ের মুখে ফিলিস্তিনের নাম এখন আন্তর্জাতিক সংহতির প্রতীক—যা প্রমাণ করে, নিপীড়িতরা বেঁচে থাকার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একত্রিত হতে এবং প্রতিরোধ করতে পারে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর শুক্রবার জানিয়েছে যে, তারা জিএইচএফ-এর ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে অন্তত ৫০৯ জন এবং ত্রাণের বহরের কাছে আরো ১০৪ জনকে হত্যার ঘটনা রেকর্ড করেছে।
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। শুক্রবার নিজেদের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানিয়েছে তারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের প্রতিক্রিয়া সম্ভবত আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে জানা যাবে। খবর আল জাজিরার।
ফিলিস্তিনির অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরাইল। বুধবার ভোরে সামাজিক মাধ্যম ট্রুথে এ তথ্য জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গাজার ২২ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে ১০ লাখ বাসিন্দাকে লিবিয়ায় স্থায়ীভাবে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। ইসরাইলকে সবসময় এ বিষয়ের হালনাগাদ তথ্য জানানো হচ্ছে বলে পরিকল্পনা সূত্রে জানা গেছে।
দক্ষিণ গাজায় হামাসের হামলায় ইসরাইলি ১৯ সেনা হতাহত হয়েছেন। দুটি ইসরাইলি সামরিক ইউনিটকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি গোষ্ঠীটির সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডের।
হামাস বলেছে, ‘আমরা নিশ্চিত করছি যে দখলদাররা পরাজয় না মেনে নেয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে। রাফা হবে দৃঢ়তার প্রতীক। এবং এমন একটি ভয় ও দুঃস্বপ্ন হিসেবেই থাকবে যে আগ্রাসীদের তাড়িয়ে দেয়।’
আরও শক্তিশালী হচ্ছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এবার তারা গাজায় ৩০ হাজার নতুন যোদ্ধা নিয়োগ দিয়েছে। ইসরাইলি গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে এক ভিডিও বিবৃতিতে এ ঘোষণা করেন হামাসের গাজা অঞ্চলের প্রধান ও যুদ্ধবিরতির জন্য সংগঠনটির পক্ষে প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরাইলের দেড় বছরের আগ্রাসনের পরেও মাটির নিচে তৈরি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের ৭৫ শতাংশ সুড়ঙ্গ এখনো অক্ষত রয়েছে। রাতদিন অবিরাম বোমা হামলা চালালেও গাজায় মাত্র ২৫ শতাংশ সুড়ঙ্গ ধ্বংস হয়েছে।
গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে এবং বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ডানপন্থী শাসক জোটের দেশের গণতন্ত্রের ওপর হামলার প্রতিবাদে হাজার হাজার ইসরাইলি রাস্তায় নেমে পড়েছে। জেরুজালেম ও তেল আবিবে উত্তপ্তের মধ্যে প্রধান মহাসড়কগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ অন্তত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গাজা-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ ১ মার্চ। দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার জন্য কাতাতে প্রতিনিধিদল পাঠাবে ইসরাইল। শনিবার রাতে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আলোচনা এগিয়ে নিতে সোমবার প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছে।
চার ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় আজ তাদের হস্তান্তর করা হয়। এর বিনিময়ে দেশটিতে বন্দি থাকা ৬ শতাধিক ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিচ্ছে ইসরায়েল।
উত্তর গাজার বাইত লাহিয়ায় নিজ বাড়ির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তাঁবু খাটিয়ে বাস করছেন ফাতিন আবু হালুব ও তার পরিবারের সদস্যরা। স্বামী কারাম, পাঁচ সন্তান ও স্বামীর বাবা-মাকে নিয়ে তার বসবাস। যৎসামান্য সরঞ্জাম নিয়েই জীবনযাপন করছেন তারা।
তিন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। মুক্তি পাওয়া বন্দিরা হলেন, আলেকজান্ডার ট্রুফানোভ, সাগুই ডেকেল-চেন এবং ইয়ার হর্ন। উভয় পক্ষের যোদ্ধাদের উপস্থিতিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
গাজা যুদ্ধবিরতি এবং হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান বন্দি বিনিময়ের প্রথম পর্যায়ের ষষ্ঠ ধাপের অংশ হিসেবে আজ শনিবার তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। বিনিময়ে একইদিন ৩৬৯ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।