হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর গাজা উপত্যকার কিছু অংশ থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নেয় ইসরাইল। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা থাকলেও উপত্যকাটির বেশিরভাগ অংশ এখনো ইসরাইলের দখলে রয়েছে।
এদিকে দুবছরেরও বেশি সময় ধরে চলা গণহত্যায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় একের পর এক শীর্ষ কমান্ডারসহ হাজার হাজার যোদ্ধা হারিয়েছে হামাস। একইসঙ্গে তাদের অস্ত্রাগার মারাত্মকভাবে শূন্য হয়ে গেছে। তবে ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসনে দুর্বল হয়ে পড়লেও এখনো গাজায় নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে হামাস।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরাইলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং আরব গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, ভূগর্ভস্থ টানেল নেটওয়ার্কের অর্ধেকেরও বেশি এখনো অক্ষত রয়েছে। ফলে হামাসের অস্ত্র লুকানো ও সংরক্ষণ করার অনেক জায়গা রয়েছে। তাদের মতে, হামাস গাজায় তাদের শক্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইরেজ উইনার বলেন, যুদ্ধে নিহত কমান্ডারদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণ করতে পেরেছে হামাস।
ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শালোম বেন হানান জানান, যদিও হামাসের সদস্যসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে; কিন্তু সরকারি হিসাব অনুযায়ী এখনো হামাসের ২০ হাজার যোদ্ধা রয়েছে।
বেন হানান বলেন, হামাস এখনো গাজায় নিরাপত্তা সেবাসহ সরকারের কেন্দ্রীয় অঙ্গ পরিচালনা করছে। তিনি আরো বলেন, হামাসের কাছে রকেট সরবরাহ কমে গেছে। তবে হামাস সদস্যদের কাছে এখনো স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, রকেট-চালিত গ্রেনেড ও মর্টারের মতো হালকা অস্ত্র রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হামাসকে প্রচণ্ডভাবে আঘাত করা হয়েছে। কিন্তু তারা পরাজিত হয়নি; এখনো টিকে আছে।


অস্ট্রেলিয়ায় যে কারণে বন্ধ হলো ১৬ বছরের কম বয়সীদের সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্ট