নিউ ইয়র্ক টাইমসের সংবাদ বিশ্লেষণ

পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে জড়ালে ভারতের সামরিক বিজয় প্রায় অসম্ভব

মোহাম্মদ শামসুদ্দীন
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৫, ১৯: ১২
আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, ১৯: ৩৫

পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে জড়ালে ভারতের পক্ষে সরাসরি সামরিক বিজয় প্রায় অসম্ভব। ভারত তার চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে সামাল দিতে চাইলে যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো সমাধান নেই। রোববার প্রকাশিত নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক সংবাদ বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠে এসেছে।

যৌথভাবে দ্য টাইমসের দক্ষিণ এশিয়া ব্যুরো প্রধান মুজিব মাশাল এবং নয়াদিল্লিতে ব্যবসা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক সংবাদদাতা অ্যালেক্স ট্র্যাভেলি এ বিশ্লেষণটি করেন।

বিজ্ঞাপন

এতে বলা হয় ভারত তার চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে সামাল দিতে চাইলে যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো সমাধান নেই।

গত কয়েক দিন আগে পেহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডেরে পর ভারত যে আক্রমণ শুরু করে সে দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়, এই মাসের সহিংসতা বিশ্বকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে কীভাবে ভারতের উত্থানকে ধীরে ধীরে পাশের ‘সমস্যাগ্রস্ত দেশ’ পাকিস্তান বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

সামরিকভাবে, ভারত এই মাসে পাকিস্তানের সাথে অর্ধ শতাব্দীর মধ্যে তাদের সবচেয়ে বিস্তৃত যুদ্ধে ড্রয়ের চেয়ে বেশি কিছু পায়নি। প্রতিপক্ষের সাথে আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষে বিমান হারানোর পর ভারতীয় বাহিনী সংবেদনশীল পাকিস্তানি বিমান ঘাঁটির হ্যাঙ্গারে গর্ত তৈরি এবং রানওয়েতে গর্ত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল।

ভারতীয়রা নিজেদের একটি কৌশলগত এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক শক্তি ভাবত, বিপরীত দিকে একটি ছোট ও দুর্বল দেশ এবং দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক বলে অভিহিত করত যে পাকিস্তানকে তারা এখন নিজেদের ভারতের সমতুল্য বলে মনে করে। যুদ্ধক্ষেত্রে ফলাফল উল্টে যাওয়ায় ভারতের জন্য এটি একটি স্পষ্ট ধাক্কা।

চার দিনের এই সংঘর্ষ বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, পাশের ‘সমস্যাগ্রস্ত’ দেশটির সাথে ৭৮ বছরের সংঘাত সমাধানে ভারত কতটুকু অক্ষম। যেকোনো আক্রমণই প্রাণঘাতি হয়ে ওঠে ও পাকিস্তানের আয়ত্তে চলে যায়। যুদ্ধ বাঁধলে উভয় দেশের পারমাণবিক অস্ত্র মজুদের কারণে সরাসরি সামরিক বিজয় প্রায় অসম্ভব।

ভারতের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন বলেছেন, ‘এক পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের কাছে আমাদের অনেক সময় এবং প্রচেষ্টা নষ্ট করতে হচ্ছে, যা আসলে দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু জীবনের বাস্তবতা হলো আমরা সমস্যা মোকাবেলা করতে পারি। শুরু থেকেই ভারতীয় নেতারা বিভ্রান্তিতে ভোগেন।’

নিউ ইয়র্ক টাইমসের অতুল লোকের ছবিতে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কোটমাইরা গ্রামে পাকিস্তানি গোলাগুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের বাড়িঘর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের দৃশ্য তারা ঐ বিশ্লেষণে যোগ করেছে।

এক ডজনেরও বেশি কূটনীতিক, বিশ্লেষক এবং কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে কীভাবে ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের একটি স্পষ্ট চিত্র উঠে আসে কীভাবে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান এবং ভারত আলাদা হওয়ার পর থেকে বিরোধ মীমাংসা কিংবা সমাধানের বেশ কয়েকটি ব্যর্থ প্রচেষ্টার পরে একাধিক যুদ্ধ এবং বিরোধ উপমহাদেশে পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলেছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত