আমার দেশ অনলাইন
ভারতের উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, আসামসহ অনেক রাজ্যে মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের প্রতীকে পরিণত হয়েছে বুলডোজার। মুসলমানদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ সময়েই যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়।
বুলডোজার নীতির জন্মদাতা উত্তর প্রদেশের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সমাজবাদী পার্টির (এসপি) শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১৭ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এসে বুলডোজারকে তিনি সুশাসনের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বুলডোজার দিয়ে বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেয়া ভারতের বিজেপি সরকারের একটি রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ভারতীয় নাগরিক সুমাইয়া ফাতেমা তুর্কি গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে বলেন, ‘মুসলমান হওয়ার কারণেই আমাদের টার্গেট করা হচ্ছে।’
সেপ্টেম্বরে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্মদিন উপলক্ষে ঈদে মিলাদুন্নবীর শোভাযাত্রার সময় একটি ব্যানারে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ লেখা থাকায় আপত্তি জানানো হয়। এরপর অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য এফআইআর দায়ের করা হয় এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ১৫৩এ সহ অন্যান্য ধারায় গ্রেপ্তার ও বাড়িঘর ভাঙার অভিযোগ উঠে। ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয় শতাধিক মুসলমানের বিরুদ্ধে।
২০২২ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে পাঁচটি রাজ্যে কর্তৃপক্ষ ১২৮টি অবকাঠামো গুঁড়িয়ে দিয়েছে। যেসব স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে তা মুসলমানদের। বেশিরভাগ সময়েই এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয় কোনো আগাম নোটিশ, আদালতের নির্দেশ এবং যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই।
মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই ধ্বংসযজ্ঞকে বেআইনি ও বৈষম্যমূলক হিসেবে অভিহিত করেছে।
আইনজীবী কেকে রাই বলেন, ‘এদের (বিজেপি) আদর্শগত প্রতিশ্রুতি হলো তারা ভারতে মুসলমানদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করতে চায়। তারা মুসলমানদের সামাজিকভাবে হেয় করতে চায়, তাদের সম্পদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা ধ্বংস করতে চায়।’
তিনি বলেন, এসব ধ্বংসযজ্ঞ বিজেপির বৃহৎ পরিকল্পনার একটি অংশ।
বিজেপির এই কৌশল আরএসএস-এর আদর্শকে প্রতিফলিত করে। ১৯২০ এর দশকে হিন্দু জাতীয়তাবাদী আধাসামিরিক এই সংগঠনটি গড়ে ওঠে। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি পার্টির ওপর আরএসএসের আদর্শগত প্রভাব রয়েছে। হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই আরএসএ-এর লক্ষ্য।
এই নীতিতে মুসলানদের কোণঠাঁসা করা হচ্ছে। নাগরিক হিসেবে পূর্ণ অধিকার দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তাদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সমালোচকদের মতে, ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদি প্রথম ক্ষমতায় আসেন, তখন থেকেই তিনি এই লক্ষ্য পুরণে বিভিন্ন আইন ও কৌশল গ্রহণ করেন। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন থেকে শুরু করে বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলা, বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ এবং মুসলমানদের নামাজের স্থান নিয়ন্ত্রণের মতো পদক্ষেন নেয় মোদি সরকার। ২০২৪ সালে হাউজিং অ্যান্ড ল্যান্ড রাইটস নেটওয়ার্কের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আনুমানিক এক লাখ ৫৩ হাজার ৮২০টি বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে সারাদেশে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন সাত লাখ ৩৮ হাজার ৪৩৮ জন মানুষ, অনেকেই মুসলমান অধ্যুষিত এলাকার।
২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা এক লাখ সাত হাজার ৬২৫ থেকে বেড়ে পাঁচ লাখ ১৫ হাজার ৭৫২টি বাড়িতে দাঁড়ায়।
সমালোচক, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্টরা প্রায়ই গ্রেপ্তারের শিকার হয়েছেন ভারতের সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে। মুসলামনদের কোনঠাঁসা করার নীতিকে সমর্থন করে গণমাধ্যমগুলো সরকারের দেয়া বক্তব্য প্রচার করে, ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়ার সপক্ষে জনমত তৈরি করে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এসব ধ্বংসযজ্ঞকে অসাংবিধানিক হিসেবে রায় দিয়েছে। রাষ্ট্রের নির্বিচার পদক্ষেপ কমিয়ে আনতে নির্দেশনাও দিয়েছে।
আদালত বলেছে, পুলিশ প্রশাসন কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দিতে পারে না। ঘর-বাড়ি বা কোনো অবৈধ কাঠামো ভাঙতে হলে তা করতে হবে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। পুলিশ চাইলেই বুলডোজার নিয়ে গিয়ে ঘর-বাড়ি ভেঙে দিতে পারবে না। তারপরও আইন অমান্য করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড
ভারতের উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, আসামসহ অনেক রাজ্যে মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের প্রতীকে পরিণত হয়েছে বুলডোজার। মুসলমানদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ সময়েই যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়।
বুলডোজার নীতির জন্মদাতা উত্তর প্রদেশের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সমাজবাদী পার্টির (এসপি) শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১৭ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এসে বুলডোজারকে তিনি সুশাসনের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বুলডোজার দিয়ে বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেয়া ভারতের বিজেপি সরকারের একটি রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ভারতীয় নাগরিক সুমাইয়া ফাতেমা তুর্কি গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে বলেন, ‘মুসলমান হওয়ার কারণেই আমাদের টার্গেট করা হচ্ছে।’
সেপ্টেম্বরে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্মদিন উপলক্ষে ঈদে মিলাদুন্নবীর শোভাযাত্রার সময় একটি ব্যানারে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ লেখা থাকায় আপত্তি জানানো হয়। এরপর অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য এফআইআর দায়ের করা হয় এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ১৫৩এ সহ অন্যান্য ধারায় গ্রেপ্তার ও বাড়িঘর ভাঙার অভিযোগ উঠে। ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয় শতাধিক মুসলমানের বিরুদ্ধে।
২০২২ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে পাঁচটি রাজ্যে কর্তৃপক্ষ ১২৮টি অবকাঠামো গুঁড়িয়ে দিয়েছে। যেসব স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে তা মুসলমানদের। বেশিরভাগ সময়েই এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয় কোনো আগাম নোটিশ, আদালতের নির্দেশ এবং যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই।
মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই ধ্বংসযজ্ঞকে বেআইনি ও বৈষম্যমূলক হিসেবে অভিহিত করেছে।
আইনজীবী কেকে রাই বলেন, ‘এদের (বিজেপি) আদর্শগত প্রতিশ্রুতি হলো তারা ভারতে মুসলমানদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করতে চায়। তারা মুসলমানদের সামাজিকভাবে হেয় করতে চায়, তাদের সম্পদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা ধ্বংস করতে চায়।’
তিনি বলেন, এসব ধ্বংসযজ্ঞ বিজেপির বৃহৎ পরিকল্পনার একটি অংশ।
বিজেপির এই কৌশল আরএসএস-এর আদর্শকে প্রতিফলিত করে। ১৯২০ এর দশকে হিন্দু জাতীয়তাবাদী আধাসামিরিক এই সংগঠনটি গড়ে ওঠে। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি পার্টির ওপর আরএসএসের আদর্শগত প্রভাব রয়েছে। হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই আরএসএ-এর লক্ষ্য।
এই নীতিতে মুসলানদের কোণঠাঁসা করা হচ্ছে। নাগরিক হিসেবে পূর্ণ অধিকার দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তাদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সমালোচকদের মতে, ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদি প্রথম ক্ষমতায় আসেন, তখন থেকেই তিনি এই লক্ষ্য পুরণে বিভিন্ন আইন ও কৌশল গ্রহণ করেন। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন থেকে শুরু করে বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলা, বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ এবং মুসলমানদের নামাজের স্থান নিয়ন্ত্রণের মতো পদক্ষেন নেয় মোদি সরকার। ২০২৪ সালে হাউজিং অ্যান্ড ল্যান্ড রাইটস নেটওয়ার্কের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আনুমানিক এক লাখ ৫৩ হাজার ৮২০টি বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে সারাদেশে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন সাত লাখ ৩৮ হাজার ৪৩৮ জন মানুষ, অনেকেই মুসলমান অধ্যুষিত এলাকার।
২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা এক লাখ সাত হাজার ৬২৫ থেকে বেড়ে পাঁচ লাখ ১৫ হাজার ৭৫২টি বাড়িতে দাঁড়ায়।
সমালোচক, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্টরা প্রায়ই গ্রেপ্তারের শিকার হয়েছেন ভারতের সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে। মুসলামনদের কোনঠাঁসা করার নীতিকে সমর্থন করে গণমাধ্যমগুলো সরকারের দেয়া বক্তব্য প্রচার করে, ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়ার সপক্ষে জনমত তৈরি করে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এসব ধ্বংসযজ্ঞকে অসাংবিধানিক হিসেবে রায় দিয়েছে। রাষ্ট্রের নির্বিচার পদক্ষেপ কমিয়ে আনতে নির্দেশনাও দিয়েছে।
আদালত বলেছে, পুলিশ প্রশাসন কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দিতে পারে না। ঘর-বাড়ি বা কোনো অবৈধ কাঠামো ভাঙতে হলে তা করতে হবে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। পুলিশ চাইলেই বুলডোজার নিয়ে গিয়ে ঘর-বাড়ি ভেঙে দিতে পারবে না। তারপরও আইন অমান্য করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড
সম্প্রতি বায়ু দূষণ কমানোর জন্য রাজধানীতে পেট্রোলচালিত মোটরবাইকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভিয়েতনাম প্রশাসন। যা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। তবে, পরিকল্পিত এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ৪.৬ বিলিয়ন ডলারের বাজার হারাবে বলে আশঙ্কা করছে জাপান সরকার এবং দেশের কিছু শীর্ষস্থানীয় নির্মাতা।
৮ মিনিট আগেগাজায় সাফল্য অর্জনের জন্য যে অনুকূল পরিস্থিতি পেয়েছিল ট্রাম্পের প্রধান কূটনৈতিক মধ্যস্থতাকারী স্টিভ উইটকফ ও তার দল, সেটা ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রে তৈরি করা কঠিন হতে পারে, কারণ এই যুদ্ধ প্রায় চার বছর ধরে চলছে।
৩২ মিনিট আগেইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, তারা মঙ্গলবার গভীর রাতে ব্রায়ানস্ক সীমান্ত অঞ্চলে একটি রাশিয়ান রাসায়নিক কারখানায় যুক্তরাজ্যের সরবরাহকৃত স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছে।
১ ঘণ্টা আগেচ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলগুলো সংবাদ সংক্রান্ত প্রশ্নের ক্ষেত্রে প্রায় অর্ধেক সময়ই ভুল উত্তর দেয়। ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ) এবং যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি পরিচালিত গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য।
১ ঘণ্টা আগে