একদিকে শীত অন্যদিকে বৈরি আবহাওয়ায় যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি একথা বলেন।
সামাজিকমাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে লাজ্জারিনি বলেন, ‘আরো বৃষ্টিপাত। আরো মানবিক দুর্দশা, হতাশা এবং মৃত্যু।’ তিনি বলেন, গাজার ফিলিস্তিনিরা জলাবদ্ধ তাঁবু এবং ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেঁচে আছে। এমন পরিস্থিতিতেও প্রয়োজনীয় সাহায্য সরবরাহের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না।
লাজ্জারিনি বলেন, ত্রাণ সরবরাহে বাধা না দিলে ইউএনআরডব্লিউএ তাদের প্রচেষ্টা বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে বাস্তুচ্যুত মানুষের জরুরি মানবিক চাহিদা মেটাতে গাজায় প্রায় দুই লাখ ‘প্রিফেব্রিকেটেড’ আবাসন ইউনিটের প্রয়োজন।
শীতকালীন ঝড়ে উপত্যকাজুড়ে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত তাঁবু প্লাবিত হয়েছে, কিছু কিছু তাঁবু উড়ে গেছে, যা গাজার পরিস্থিতিকে আরো বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
গাজা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বৈরি আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করছে গাজার বাসিন্দারা। ইসরাইলি বোমাবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ধসে পড়ে এবং বন্যার ফলে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত তাঁবু উপড়ে চার শিশুসহ ১৭ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী ৭১ হাজার২০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে, যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আরো এক লাখ ৭১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড
আরএ
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


যুক্তরাষ্ট্রে মাঝ আকাশে ২ হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ, নিহত ১
ইসরাইলের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান হিজবুল্লাহর