ফিলিস্তিনিদের আশঙ্কা

গাজায় যুদ্ধবিরতি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ০৭
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ০৯
ছবি: এএফপি

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার নয় দিন পর গাজার ফিলিস্তিনিরা ক্রমেই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছেন। তাদের আশঙ্কা, এই নাজুক শান্তিচুক্তি ভেঙে আবার পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হতে পারে। এর আগেও তারা এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। গত মার্চে একটি যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা দেখা দিলেও তা শেষ হয়ে যায়, যখন ইসরাইল আবার বোমাবর্ষণ শুরু করে এবং যুদ্ধ স্থায়ীভাবে শেষ করার দ্বিতীয় ধাপের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অস্বীকৃতি জানায়।

এবারও পরিস্থিতি অনেকটা একই রকম। ইসরাইল ও হামাস প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতিতে একমত হয়েছে, যার লক্ষ্য ইসরাইলি বন্দিদের ফেরত আনা। কিন্তু মার্কিন প্রস্তাবিত পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ, যা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দিকে নিয়ে যাবে, তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে গভীর মতবিরোধ রয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলছিলেন, আসলেই কি এখনো যুদ্ধবিরতি কার্যকর আছে? ওইদিন ইসরাইল গাজার দক্ষিণ, উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালায়। এটিকে তারা হামাসের সেনা আক্রমণের প্রতিশোধ বলে দাবি করে।

দুই বছর ধরে একটি যুদ্ধবিরতির স্বপ্ন দেখছেন ইসমাইল বাবা। চার সন্তানের জনক ইসমাইল গাজার যুদ্ধে এগারো বার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং তীব্র খাদ্য সংকটের মধ্যে সন্তানদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলে তিনি ভাবলেন, এবার হয়তো একটু শান্তি পাবেন, যদিও তার চারপাশ এখনো বিশৃঙ্খল। অন্তত তিনি জানতেন তার পরিবারকে আর ইসরাইলি বোমার আঘাতে মরতে হবে না। কিন্তু সেই অল্প সময়ের শান্তি গত রোববার সকালে ভেঙে যায়, যখন ইসরাইল দাবি করে যে, হামাসের যোদ্ধারা দক্ষিণ গাজায় তাদের সেনাদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে; আর এর জবাবে ইসরাইল ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করে।

আটচল্লিশ বছর বয়সি বাবা গাজার উত্তরাঞ্চলের বেইত লাহিয়ার বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘আমরা যে ভুয়া নিরাপত্তা অনুভূতির মধ্যে ছিলাম, সেটার অবসান ঘটল। আমরা কষ্ট করে একটু মুক্তভাবে চলাফেরা শুরু করেছিলাম, এখন আবার ভয় আর সতর্কতায় ফিরে যেতে হচ্ছে।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত