ইসরাইলি জাহাজ ও বিমানের উপর স্পেনের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৮
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩২
ছবি: সংগৃহীত

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ঘোষণা করেছেন , ইসরাইলের ওপর চাপ বৃদ্ধি করতে তার সরকার ইসরাইলগামী জাহাজ এবং অস্ত্র বহনকারী বিমান আর স্পেনীয় বন্দর ব্যবহার করতে পারবে না। এবং দেশটির আকাশসীমায় প্রবেশ করতে পারবে না। ফিলিস্তিনে চলমান সংকটের প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এক টেলিভিশন ভাষণে সানচেজ বলেন, "আমরা আশা করি এই পদক্ষেপগুলো ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে, যাতে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর যে দুর্ভোগ চলছে, তা কিছুটা হলেও লাঘব হয়।"

স্পেন সরকার আরও জানিয়েছে, তারা অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ ইসরাইলি বসতিতে তৈরি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাগুলোর জন্য আর্থিক সহায়তা বাড়াবে।

সানচেজ বলেন, যারা ফিলিস্তিনে "গণহত্যায়" সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে, তাদের স্পেনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।

এই পদক্ষেপগুলো স্পেনের পক্ষ থেকে একটি দৃঢ় বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে দেশটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছে।

স্পেনের পদক্ষেপে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরাইল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সানচেজ তার অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির কেলেঙ্কারি থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে এসব করছে।” তিনি সানচেজের পদক্ষেপগুলোকে “ইহুদি-বিদ্বেষী” বলেও আখ্যায়িত করেন।

প্রতিবাদস্বরূপ, ইসরাইল স্পেন সরকারের দুই বামপন্থী মন্ত্রী—শ্রমমন্ত্রী ইয়োলান্ডা ডিয়াজ এবং যুবমন্ত্রী সিরা রেগো—কে ইসরাইলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারা উভয়েই স্পেনের জোট সরকারে থাকা বামপন্থী দল Sumar-এর নেতা।

স্পেনের এই সিদ্ধান্ত ইউরোপে প্রথমবারের মতো এমন স্পষ্ট ও কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা গাজায় চলমান সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত