ভারতের ওপর আগে থেকেই ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো রয়েছে। এবার ভারতের চালের ওপর আরো শুল্ক চাপানোর কথা ভাবছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু ভারতীয় চাল নয়, কানাডা থেকে আমদানি করা সারের ওপরও শুল্কারোপ হতে পারে। সোমবার তিনি এমনটাই আভাস দিয়েছেন খবর প্রকাশ করেছে একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
অভিযোগ উঠেছে, বিদেশ থেকে কৃষিজ পণ্য আমদানির জন্য আমেরিকার কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অন্য দেশ থেকে সস্তায় আমদানি করা চালের জন্য দেশটির নিজস্ব কৃষিজ পণ্য নিজস্ব বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। এ নিয়ে অভিযোগ উঠলে ভারত থেকে চাল আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা শুরু করলেন ট্রাম্প।
আমেরিকার বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে গত কয়েক মাসে। এ বিষয়ে পদক্ষেপের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর চাপও তৈরি হচ্ছিল। ইতোমধ্যে ভোটারদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে, যা রিপাবলিকানদের কিছুটা রাজনৈতিক ঝুঁকিতেও ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ অবস্থায় সোমবার হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠান থেকে মার্কিন কৃষকদের জন্য কোটি কোটি ডলারের সহায়তার ঘোষণা করেন তিনি।
ট্রাম্পকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে কৃষকরা বলছেন, সস্তায় আমদানির জন্য বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। ফলে আমেরিকার বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে ঘরোয়া পণ্যের দাম কমে যাচ্ছে।
কোন কোন দেশ থেকে বেশি পরিমাণে চাল আমদানি হয়, তা কৃষকদের কাছে জানতে চান ট্রাম্প। উত্তরে লুইসিয়ানার কেনেডি রাইস মিলের সিইও মেরিল কেনেডি জানান, ভারত, তাইল্যান্ড ও চীন রয়েছে তালিকায় শীর্ষে। এর মধ্যে চীন থেকে আমদানি হওয়া চাল মূল ভূখণ্ডের পরিবর্তে পোর্টো রিকোয় যাচ্ছে।
ট্রাম্পের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা বছরের পর বছর ধরে পোর্টো রিকোয় চাল পাঠাইনি। আমরা সত্যিই সংগ্রাম করছি। বর্তমানে যে পরিমাণ আমদানি শুল্ক রয়েছে, তাতে বিশেষ কাজ হচ্ছে না। তাই এই শুল্কের হার দ্বিগুণ করার অনুরোধ করছি।
ট্রাম্প তাদের আশ্বস্ত করে জানান, ভারত থেকে আমেরিকায় চাল এনে মজুত করার বিষয়টি তিনি দেখবেন। একইভাবে কানাডা থেকে সার আমদানির পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখতে চান তিনি।
আমেরিকায় আমদানি করা সারের বেশিরভাগই যায় কানাডা থেকে। এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রয়োজনে আমরা কড়া শুল্ক চাপাব।

