ব্রাজিলে ব্রিকস সম্মেলন

ইরানে হামলা, গাজায় আগ্রাসন ও ট্রাম্পের শুল্কের নিন্দা নেতাদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৩: ১১
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১: ১৬

আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা ব্রিকসের সদস্য দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের নিয়ে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে সম্মেলন শেষ হয়েছে সোমবার। দুদিনের এ সম্মেলনে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর নেতারা যৌথ ঘোষণায় ইরানে ইসরাইলের হামলা, গাজায় আগ্রাসন ও বিভিন্ন দেশের ওপর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কারোপের নিন্দা জানানো হয়েছে।

চলতি বছর ব্রিকস সম্মেলনে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডা সিলভা সভাপতিত্ব করেন। তবে এবারের সম্মেলনে ব্রিকসের গুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্য রাশিয়া ও চীনের প্রেসিডেন্ট অংশ নেননি। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আগের সব সম্মেলনে অংশ নিলেও এ বছর তার বদলে চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং অংশ নেন।

বিজ্ঞাপন

অপরদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর থেকে বহির্বিশ্বে সফর এড়িয়ে চলছেন তিনি। ব্রাজিল আইসিসির অন্তর্ভুক্ত দেশ হওয়ায় পুতিনকে গ্রেপ্তারে আইসিসির পরোয়ানা মেনে চলতে তার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পুতিনের বদলে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লেভরভ সম্মেলনে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।

এছাড়া ব্রিকস সদস্য ইরানের পক্ষে প্রেসিডেন্টের বদলে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়েদ আব্বাস আরাকচি রিও সম্মেলনে অংশ নেন।

সম্মেলনের শুরুর দিন রোববার যৌথ ঘোষণায় ইরানে ইসরাইল ও আমেরিকার হামলার নিন্দা জানান ব্রিকস নেতারা। ঘোষণায় তারা বলেন, এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করা হয়েছে। এছাড়া গাজায় ২১ মাস চলমান আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে ঘোষণায় বলা হয়েছে, ইসরাইলিরা ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়া তারা গাজায় মানবিক সাহায্যের রাজনীতিকরণ ও সামরিকীকরণের নীতি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ব্রিকস নেতাদের ঘোষণায় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন ধরনের ‘একতরফা দমনমূলক ব্যবস্থা’র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, এ ধরনের ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও মানবাধিকারের জন্য ক্ষতিকর। ব্রিকস সদস্য ইরান ও রাশিয়ার ওপর বর্তমানে বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ এবং সংস্থার অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

ঘোষণায় বিভিন্ন দেশের ওপর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, এ ধরনের সংরক্ষণবাদী বাণিজ্যিক নীতি বৈশ্বিক বাণিজ্য কমানোর ঝুঁকি বাড়াবে এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাকে বাড়িয়ে তুলবে। বৈশ্বিক উন্নতির সঙ্গে এ ধরনের নীতি সাদৃশ্যপূর্ণ নয়।

এদিকে ব্রিকসের যৌথ ঘোষণার পরপরই এর প্রতিক্রিয়ায় নিজের সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্ট করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই পোস্টে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে লেখেন, ‘কোনো দেশ যদি ব্রিকসে আমেরিকাবিরোধী নীতির সঙ্গে নিজেদের সংযুক্ত করে, তবে তাদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করা হবে। এ নীতির কোনো ধরনের ব্যতিক্রম করা হবে না।’

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত