বিশেষ প্রতিনিধি, কলকাতা
ভারতের ছত্তিশগড়ে এক সময় মাওবাদীদের উৎপাত ছিল। তাদের হানা থেকে নাগরিকদের সুরক্ষায় ২০০৫ সালের দিকে গঠন করা হয় সালোয়া জুড়ুম মিলিশিয়া। এর অংশ হিসেবে স্থানীয় উপজাতিদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল সেখানকার সরকার। একই পদক্ষেপ নিচ্ছে আসাম। তবে এবারকার লক্ষ্যবস্তু কোনো সন্ত্রাসী নয়, বরং মুসলমানরা।
আসামে ভিন্ন এক পটভূমি ও প্রেক্ষাপটে অসমিয়াদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা নেতৃত্বাধীন সরকার। গতকাল বুধবার বিকালে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকার বলছে, মূলত ভঙ্গুর ও প্রত্যন্ত এলাকার অসমিয়া, জনজাতি ও প্রকৃত ভারতীয়রা মারণাস্ত্র কিনলেই সরকার থেকে লাইসেন্স পাবে।
মন্ত্রিসভার এ সিদ্ধান্তকে মাইলফলক বলে অভিহিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ধুবড়ি, নগাঁও, মরিগাঁও, বরপেটা, দক্ষিণ শালমারা, গোয়ালপাড়া ইত্যাদি এলাকায় খিলঞ্জিয়া বা ভূমিপুত্ররা মাঝেমধ্যে নিরাপত্তাজনিত সমস্যার মুখে পড়েন। বাংলাদেশের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যেমন সে দেশের ‘দুর্বৃত্তদের’ আক্রমণের মুখে পড়তে পারেন এসব এলাকার সংখ্যালঘু অসমিয়ারা, তেমনি নিজেদের গ্রামেও আক্রান্ত হতে পারেন তারা।
হিমন্তের বক্তব্য অনুযায়ী, বহু গ্রামে অসমিয়া ভূমিপুত্রদের সংখ্যা নগণ্য। তারা ভয়ের পরিবেশেই দিন কাটান। এই লোকগুলো মারণাস্ত্রের লাইসেন্স পেলে নিজেদের রক্ষা করতে পারবেন। আক্রান্ত হলে পাল্টা জবাব দেওয়ার সাহস পাবেন।
তিনি আরো বলেন, নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা এই মানুষগুলো যাতে আত্মরক্ষা করতে পারেন, সে লক্ষ্য সামনে রেখে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যার পোশাকি নাম ‘স্পেশাল স্কিমস ফর গ্রান্ট অব আর্মস লাইসেন্স টু অরিজিনাল ইনহেরিটেবলস ইন ভালনারেবল অ্যান্ড রিমোর্ট এরিয়াজ অব অসম’। এর বাংলা তরজমা করলে দাঁড়ায়, রাজ্যের ভঙ্গুর ও প্রত্যন্ত এলাকার মূল নিবাসী জাতি-জনগোষ্ঠী ও ভারতীয়দের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স তুলে দেওয়ার প্রকল্প।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, যেসব এলাকায় খিলঞ্জিয়ারা সংখ্যালঘু, তেমন প্রতিটি এলাকায়ই তাদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হবে। বন্দুক তাদেরই কিনতে হবে, সরকার শুধু লাইসেন্স দেবে। তবে ‘ক্রিমিনাল’ রেকর্ড আছে এমন লোকদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হবে না।
এদিকে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে যেসব জায়গার নাম বলেছেন, সেগুলো মূলত মুসলিম অধ্যুষিত। অর্থাৎ আসামের মুখ্যমন্ত্রী মূলত মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোয়ই অসমিয়াদের মারণাস্ত্রের লাইসেন্স দিতে চলেছেন। এতে ভবিষ্যতে এই রাজ্যে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পরে বলে সচেতন মহলের আশঙ্কা।
তারা বলছেন, অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়ে গেলে অসমিয়ারা সহিংসপ্রবণ হয়ে উঠতে পারেন। তাদের মোকাবিলায় অন্যরাও অস্ত্র সংগ্রহ করার চেষ্টা করতে পারেন। এতে সমাজে বিভাজন ও সহিংসতা বৃদ্ধির জোর আশঙ্কা রয়েছে।
ভারতের ছত্তিশগড়ে এক সময় মাওবাদীদের উৎপাত ছিল। তাদের হানা থেকে নাগরিকদের সুরক্ষায় ২০০৫ সালের দিকে গঠন করা হয় সালোয়া জুড়ুম মিলিশিয়া। এর অংশ হিসেবে স্থানীয় উপজাতিদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল সেখানকার সরকার। একই পদক্ষেপ নিচ্ছে আসাম। তবে এবারকার লক্ষ্যবস্তু কোনো সন্ত্রাসী নয়, বরং মুসলমানরা।
আসামে ভিন্ন এক পটভূমি ও প্রেক্ষাপটে অসমিয়াদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা নেতৃত্বাধীন সরকার। গতকাল বুধবার বিকালে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকার বলছে, মূলত ভঙ্গুর ও প্রত্যন্ত এলাকার অসমিয়া, জনজাতি ও প্রকৃত ভারতীয়রা মারণাস্ত্র কিনলেই সরকার থেকে লাইসেন্স পাবে।
মন্ত্রিসভার এ সিদ্ধান্তকে মাইলফলক বলে অভিহিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ধুবড়ি, নগাঁও, মরিগাঁও, বরপেটা, দক্ষিণ শালমারা, গোয়ালপাড়া ইত্যাদি এলাকায় খিলঞ্জিয়া বা ভূমিপুত্ররা মাঝেমধ্যে নিরাপত্তাজনিত সমস্যার মুখে পড়েন। বাংলাদেশের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যেমন সে দেশের ‘দুর্বৃত্তদের’ আক্রমণের মুখে পড়তে পারেন এসব এলাকার সংখ্যালঘু অসমিয়ারা, তেমনি নিজেদের গ্রামেও আক্রান্ত হতে পারেন তারা।
হিমন্তের বক্তব্য অনুযায়ী, বহু গ্রামে অসমিয়া ভূমিপুত্রদের সংখ্যা নগণ্য। তারা ভয়ের পরিবেশেই দিন কাটান। এই লোকগুলো মারণাস্ত্রের লাইসেন্স পেলে নিজেদের রক্ষা করতে পারবেন। আক্রান্ত হলে পাল্টা জবাব দেওয়ার সাহস পাবেন।
তিনি আরো বলেন, নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা এই মানুষগুলো যাতে আত্মরক্ষা করতে পারেন, সে লক্ষ্য সামনে রেখে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যার পোশাকি নাম ‘স্পেশাল স্কিমস ফর গ্রান্ট অব আর্মস লাইসেন্স টু অরিজিনাল ইনহেরিটেবলস ইন ভালনারেবল অ্যান্ড রিমোর্ট এরিয়াজ অব অসম’। এর বাংলা তরজমা করলে দাঁড়ায়, রাজ্যের ভঙ্গুর ও প্রত্যন্ত এলাকার মূল নিবাসী জাতি-জনগোষ্ঠী ও ভারতীয়দের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স তুলে দেওয়ার প্রকল্প।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, যেসব এলাকায় খিলঞ্জিয়ারা সংখ্যালঘু, তেমন প্রতিটি এলাকায়ই তাদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হবে। বন্দুক তাদেরই কিনতে হবে, সরকার শুধু লাইসেন্স দেবে। তবে ‘ক্রিমিনাল’ রেকর্ড আছে এমন লোকদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হবে না।
এদিকে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে যেসব জায়গার নাম বলেছেন, সেগুলো মূলত মুসলিম অধ্যুষিত। অর্থাৎ আসামের মুখ্যমন্ত্রী মূলত মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোয়ই অসমিয়াদের মারণাস্ত্রের লাইসেন্স দিতে চলেছেন। এতে ভবিষ্যতে এই রাজ্যে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পরে বলে সচেতন মহলের আশঙ্কা।
তারা বলছেন, অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়ে গেলে অসমিয়ারা সহিংসপ্রবণ হয়ে উঠতে পারেন। তাদের মোকাবিলায় অন্যরাও অস্ত্র সংগ্রহ করার চেষ্টা করতে পারেন। এতে সমাজে বিভাজন ও সহিংসতা বৃদ্ধির জোর আশঙ্কা রয়েছে।
নাগরিকদের কাছে সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে রাজধানীতে নতুন তিনটি নাগরিক সেবাকেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়েছে। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
২০ মিনিট আগেভারতের কেরালায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার শিকার হলেন দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আজ (বুধবার) সকালে হেলিকপ্টারটি অবতরণের সময়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হেলিকপ্টারের ধাক্কায় নতুন হেলিপ্যাডের একাংশ ভেঙে যায়। আটকে পড়ে হেলিকপ্টারটিও। যার ভিতরে ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
৩৫ মিনিট আগেভারতীয় পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক ১৫ থেকে ১৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিন্টের বরাত দিয়ে একথা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
১ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি ও ক্রমবর্ধমান অপরাধের বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষোভের জেরে রাজধানী লিমা এবং বন্দর প্রদেশ ক্যালাওতে ৩০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট হোসে জেরি। ক্রমবর্ধমান অপরাধ দমনে পুলিশের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে