ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদে ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান আরব দেশগুলোর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮: ৩৭

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজার বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে প্রতিবেশী মিসর ও জর্ডানে পুনর্বাসনে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে আরব দেশগুলো। শনিবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এই প্রত্যাখ্যান জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

মিসর, জর্ডান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ-পিএ এবং আরব লিগের ওই যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ও অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের যে কোনো পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করছে তারা।

এর আগে গত জানুয়ারিতে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, গাজার বিপুল গৃহহীন মানুষকে পুনর্বাসনের জন্য তিনি জর্ডান ও মিসরের প্রতি আহ্বান জানাবেন যাতে করে ‘অঞ্চলটি পুরোপুরি পরিষ্কার করা যায়’। ট্রাম্প জানান, এই পুনর্বাসন অস্থায়ী বা দীর্ঘ সময়ের জন্য হতে পারে।

কায়রোতে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মিসর, জর্ডান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইসরাইলের সঙ্গে যোগাযোগকারী সিনিয়র পিএ কর্মকর্তা হুসেইন আল-শেখ ও আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইত।

যৌথ ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনিদের চূড়ান্ত অধিকারকে পাশ কাটিয়ে বসতি স্থাপন, উচ্ছেদ বা ভূমি অধিকার করে নেওয়ার যে কোনো প্রচেষ্টাকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’ এতে জানানো হয়, দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান অনুসারে মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়ভিত্তিক ও সবার জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী তারা।

গাজা পুনর্গঠনে যথাযথ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এর আগে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে মিসর ও জর্ডানে ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছিল দুই দেশের সরকার।

বুধবার মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসির দপ্তর থেকে ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এক বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদের মতো অন্যায়ের সঙ্গে আমরা যুক্ত হতে পারি না।’

অন্যদিকে ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রকাশের পরপরই জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইমান সাফাদি জানিয়েছিলেন, তার দেশ ট্রাম্পের পরিকল্পনার ‘কঠোর ও অপরিবর্তনীয়’ বিরোধিতা করবে।

ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সঙ্গে মিসর ও জর্ডান শঙ্কা করছে, ফিলিস্তিনিরা একবার তাদের ভূখণ্ড ছেড়ে গেলে ইসরাইল আর তাদের ফেরার সুযোগ দেবে না। অন্যদিকে দুই দেশ বিপুল পরিমাণ শরণার্থীর কারণে তাদের অর্থনীতির জন্য চাপ এবং সরকারের স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা করছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত