যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে রাজি থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া: ট্রাম্প

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৯: ২২
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৯: ৪৭
ছবি: বিবিসি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, অবিলম্বে দ্রুত যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। স্থানীয় সময় শনিবার স্কটিশ গলফ কোর্সে তার ব্যক্তিগত সফরের শুরুতে সামাজিক মাধ্যম ট্রথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে একথা জানান তিনি। খবর বিবিসির।

ট্রাম্প বলেন, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের নেতাদের সাথে ফোনে কথা বলেছেন তিনি। এ সময় সীমান্ত সংঘর্ষ বন্ধ করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য তাদের ওপর চাপ দেন তিনি। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘অবিলম্বে দেখা করতে, দ্রুত যুদ্ধবিরতি এবং শেষ পর্যন্ত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।’

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে টানা তিনদিনের রক্তক্ষয়ী সীমান্ত সংঘর্ষে যখন মৃতদেহের সংখ্যা বাড়ছিল, বাস্তুচ্যুত হচ্ছিল লাখো মানুষ- ঠিক তখনই এমন খবর দিলেন মধ্যস্থতাকারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

তিনি স্কটল্যান্ড সফরের ফাঁকে ফোনে কথা বলেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। দেন সরাসরি বার্তা ‘যুদ্ধ বন্ধ করুন, না হলে বাণিজ্য বন্ধ হবে।’

উভয় দেশই তার উদ্বেগ এবং প্রচেষ্টার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতির জন্য তার অনুরোধ গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ড দুই দেশের মধ্যে সংলাপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।

তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আহ্বানের পর, রাতভর সীমান্তে গোলাগুলি অব্যাহত ছিল।

থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই এক ফেসবুক পোস্টে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতির পক্ষে, তবে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে বাস্তব সদিচ্ছা দেখতে চাই।’

ট্রাম্প বলেন, তিনি স্কটল্যান্ড সফরের সময়ই দুই নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং সাফ জানিয়ে দেন, সীমান্ত সংঘর্ষ না থামলে যুক্তরাষ্ট্র কোনো বাণিজ্যচুক্তিতে যাবে না।

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং ফুমথামের মধ্যে সাক্ষাৎ কবে ও কোথায় হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

শনিবার সকালেও সংঘর্ষ হয়েছে থাইল্যান্ডের ত্রাট ও কম্বোডিয়ার পুরসাত প্রদেশে, যা আগের সংঘর্ষস্থল থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে। নতুন করে সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ বাড়ছে।

উভয় দেশই একে অপরকে আগ্রাসনের জন্য দায়ী করছে। থাইল্যান্ড বলছে, মে মাসে এক কম্বোডিয়ান সৈন্য নিহত হওয়ার পর থেকেই উত্তেজনা বেড়েছে। থাই সেনাবাহিনীর দাবি, সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত তাদের ৭ সৈন্য ও ১৩ বেসামরিক নিহত হয়েছে। কম্বোডিয়া বলছে, তাদের প্রাণহানির সংখ্যা ১৩, যার মধ্যে ৫ জন সৈন্য।

আরএ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত