বাঁধ খুলে দিয়েছে ভারত, পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১২: ০৮
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১২: ১৫
ছবি: জিও নিউজ

পাকিস্তানের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে । ভারী বর্ষণ ও ভারত দু’টি বাঁধ থেকে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেওয়ায় পাঞ্জাবে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাঞ্জাবের ছয়টি জেলায় বন্যা মোকাবেলায় তলব করা হয়েছে সেনাবাহিনী । এক লাখ ৯০ হাজারের বেশি মানুষকে এরইমধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। খবর জিও নিউজের

লাহোর, কাসুর, শিয়ালকোট, ফয়সালাবাদ, নারোয়াল এবং ওকারাসহ ছয়টি জেলায় ভয়াবহ বন্যায় জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। বেসামরিক কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করতে সেনাবাহিনী ডেকেছে পাঞ্জাব সরকার।

বিজ্ঞাপন

ভারত রাভি নদীতে অতিরিক্ত দুই লাখ কিউসেক এবং চেনাবে এক লাখ কিউসেক পানি ছাড়ার ফলে আগামী ৪৮ ঘন্টায় পাঞ্জাবের নতুন নতুন এলাকায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এরইমধ্যে রাভি, চেনাব এবং শতদ্রু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নারোয়াল, শিয়ালকোট এবং শকরগড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। জাফরওয়ালে, নুল্লা ডেকের চাপে হানজলি সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়েছে, যার ফলে অনেকগুলো গ্রাম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এনডিএমএ সবশেষ সতর্কবার্তায় বন্যা পরিস্থিতিকে ‘চরম’ বলে বর্ণনা করেছে। হুমকির মুখে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো।

রাভি নদীরর পানি ক্রমাগত বাড়তে থাকায় বাঁধগুলো ডুবে আশাপাশের লোকালয় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নিচু এলাকা থাকা লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এনডিএমএ। বিলম্ব করলে জানমাল ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

বন্যায় কাসুরে ৭২টি গ্রাম এবং ৪৫ হাজার বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকপত্তন, ভেহারি, বাহাওয়ালনগর এবং বাহাওয়ালপুরসহ শতদ্রু অববাহিকা জুড়ে আরো কয়েক হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৪ হাজার মানুষ এবং ১৭ হাজার গবাদি পশু নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। ৬৭টি ত্রাণ শিবির, ৩৮টি মেডিকেল ক্যাম্প এবং ৪৬টি পশুচিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

জুনের শেষের দিকে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৮০২ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে অর্ধেকই মারা গেছেন এই মাসে।

আরএ

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত