ভারতীয় শিক্ষার্থীদের নাস্তানাবুদ করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয় হয়েছেন পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা। পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও টিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অক্সফোর্ড ইউনিয়ন এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। বিষয়বস্তু ছিল—পাকিস্তানের প্রতি ভারতের নীতি একটি জনপ্রিয়তাবাদী কৌশল, যা নিরাপত্তা নীতি হিসেবে উপস্থাপিত। চূড়ান্ত ফলাফলে প্রস্তাবের পক্ষে থাকা পাকিস্তানি বক্তাদের দল বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করে। তারা পান ১৬০ ভোট। আর ভারত পায় মাত্র ৫১ ভোট।
অক্সফোর্ড ইউনিয়নের বিতর্কে ভারত তাদের মূল উচ্চপ্রোফাইল দল প্রত্যাহার করে নেয় এবং নতুন একটি নিম্ন-প্রোফাইল প্যানেল মাঠে নামায়—জে সাই দীপক, পণ্ডিত সতীশ শর্মা ও দেওরচন ব্যানার্জি। অপরদিকে পাকিস্তানের পক্ষের শিক্ষার্থীরা ছিলেন মুসা হাররাজ, ইসরার খান কাকার ও আহমেদ নবাজ খান, যারা যুক্তি ও তথ্যের মাধ্যমে ভারতীয় প্যানেলকে পরাজিত করে।
বিতর্কের শুরুতে হাররাজ বলেন, পাকিস্তানের প্রতি ভারতের নীতি ক্রমশ নির্বাচনী স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে, প্রকৃত জাতীয় নিরাপত্তা বাস্তবতার ওপর নয়।
তিনি যুক্তি দেন যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতীয় সরকার নির্বাচনের আগে পাকিস্তানবিরোধী মনোভাবকে একটি নির্ভরযোগ্য জনপ্রিয়তাবাদী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে।
ভারতীয় বক্তা চলে যাওয়ায় অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন বিতর্ক বাতিল হতে পারে। তবে অক্সফোর্ড ইউনিয়ন শেষ মুহূর্তে জানায় যে অনুষ্ঠান হবেই—প্রয়োজনে বক্তা বদল করে হলেও—এবং বিতর্কের মান বজায় রাখা হবে। শেষ পর্যন্ত আগ্রহী শিক্ষার্থীতে ভরা সভাকক্ষেই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়, এবং ফলাফলে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয় যে ভারতের পাকিস্তানবিষয়ক কৌশলকে অধিকাংশ অংশগ্রহণকারী মূলত ঘরোয়া জনপ্রিয়তাবাদী রাজনীতির অংশ হিসেবেই দেখেন।


ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের ‘ওয়াকওভার’-এ জয়