
আমার দেশ অনলাইন

ভারতে মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ উসকে দিতে যেন আবারো নতুন কৌশলে নেমেছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। এবার তারা ভারতের জাতীয় সংগীত ‘বন্দে মাতরম’ এর ১৫০ বছর পূর্তিতে নতুন করে বিতর্ক তুলেছে গানের কিছু শব্দ নিয়ে। যেখানে বিজেপির মুখপাত্র দাবি করেছেন, মুসলিমদের কথা চিন্তা করে তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি জওহরলাল নেহেরু ১৯৩৭ সালে গানটির মূল সংস্করণ থেকে দেবী দুর্গাকে নিবেদিত স্তবক বাদ দেন।
ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বিজেপির মুখপাত্র কেশবন অভিযোগ করেছেন, ১৯৩৭ সালে তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি জওহরলাল নেহেরু ইচ্ছাকৃতভাবে ‘বন্দে মাতরম’-এর মূল সংস্করণ থেকে দেবী দুর্গাকে নিবেদিত স্তবক বাদ দেন।
কেশবন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’-এ পোস্ট দিয়ে দাবি করেন, “এটি কংগ্রেসের ঐতিহাসিক পাপ ও ভুল। নেহেরুর নেতৃত্বে কংগ্রেস ধর্মীয় কারণে ‘বন্দে মাতরম’-এর দেবী স্তবক বাদ দেয়।”
কেশবন বলেছেন, ‘১৯৩৭ সালের ২০শে অক্টোবর নেহেরু নেতাজি বোসকে লেখা চিঠিতে দাবি করেছেন, বন্দে মাতরমের পটভূমিতে মুসলমানরা বিরক্ত হতে পারে। বন্দে মাতরমে ধর্মীয়ভাবে সম্পৃক্ত বিশেষত মুসলিমেদের বিরুদ্ধে এমন কিছু রয়েছে যা সাম্প্রদায়িক প্রভাব ফেলবে।’ তিনি আরো দাবি করেছেন, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু গানটির পুরোপরি প্রকাশের পক্ষে ছিলেন তবে নেহরু মনে করেছিলেন যে বন্দে মাতরম জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে উপযুক্ত নয়।
বিজেপির এই নতুন দাবি হিন্দু-মুসলিম বিভাজন বাড়ানোর রাজনৈতিক কৌশল বলে মনে করছেন, বিশ্লেষকরা। কারণ, ৯৮ বছর ধরে চলা সংগীতে কেউ কোনো আপত্তি না তুললেও, হিন্দুত্ববাদী বিজেপি এখন ‘ঐতিহাসিক ভুল’ খুঁজে পেয়েছে শুধুমাত্র মুসলিম সম্পৃক্ততার কারণে।
কেশবন বিস্ময়কর এই দাবি এমন সময়ে করেছেন যখন জাতীয় সঙ্গীত 'বন্দে মাতরম'-এর ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতা দেওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে তিনি নেহেরু এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মধ্যে তুলনাও করে বলেছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হিন্দু বিরোধী মানসিকতা লোকসভার বিরোধী দলনেতার মধ্যে প্রতিধ্বনিত হয়।
উল্লেখ্য ‘বন্দে মাতরম’ উনবিংশ শতাব্দীতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত এবং ১৮৮২ সালে তাঁর উপন্যাস “আনন্দমঠ”-এর অংশ হিসেবে প্রকাশিত হয়। এটি ভারতের জাতীয় আন্দোলনের প্রতীক হলেও, গানটির কিছু স্তবকে দেবী দুর্গার উল্লেখ থাকায় অতীতে সাম্প্রদায়িক বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। বর্তমানে বিজেপি সেই পুরনো ইস্যুতেই নতুন করে আগুন জ্বালাতে চায়—যেখানে উদ্দেশ্য একটাই: ধর্মের নামে রাজনীতি, আর মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষকে আরো গভীর করা।

ভারতে মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ উসকে দিতে যেন আবারো নতুন কৌশলে নেমেছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। এবার তারা ভারতের জাতীয় সংগীত ‘বন্দে মাতরম’ এর ১৫০ বছর পূর্তিতে নতুন করে বিতর্ক তুলেছে গানের কিছু শব্দ নিয়ে। যেখানে বিজেপির মুখপাত্র দাবি করেছেন, মুসলিমদের কথা চিন্তা করে তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি জওহরলাল নেহেরু ১৯৩৭ সালে গানটির মূল সংস্করণ থেকে দেবী দুর্গাকে নিবেদিত স্তবক বাদ দেন।
ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বিজেপির মুখপাত্র কেশবন অভিযোগ করেছেন, ১৯৩৭ সালে তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি জওহরলাল নেহেরু ইচ্ছাকৃতভাবে ‘বন্দে মাতরম’-এর মূল সংস্করণ থেকে দেবী দুর্গাকে নিবেদিত স্তবক বাদ দেন।
কেশবন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’-এ পোস্ট দিয়ে দাবি করেন, “এটি কংগ্রেসের ঐতিহাসিক পাপ ও ভুল। নেহেরুর নেতৃত্বে কংগ্রেস ধর্মীয় কারণে ‘বন্দে মাতরম’-এর দেবী স্তবক বাদ দেয়।”
কেশবন বলেছেন, ‘১৯৩৭ সালের ২০শে অক্টোবর নেহেরু নেতাজি বোসকে লেখা চিঠিতে দাবি করেছেন, বন্দে মাতরমের পটভূমিতে মুসলমানরা বিরক্ত হতে পারে। বন্দে মাতরমে ধর্মীয়ভাবে সম্পৃক্ত বিশেষত মুসলিমেদের বিরুদ্ধে এমন কিছু রয়েছে যা সাম্প্রদায়িক প্রভাব ফেলবে।’ তিনি আরো দাবি করেছেন, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু গানটির পুরোপরি প্রকাশের পক্ষে ছিলেন তবে নেহরু মনে করেছিলেন যে বন্দে মাতরম জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে উপযুক্ত নয়।
বিজেপির এই নতুন দাবি হিন্দু-মুসলিম বিভাজন বাড়ানোর রাজনৈতিক কৌশল বলে মনে করছেন, বিশ্লেষকরা। কারণ, ৯৮ বছর ধরে চলা সংগীতে কেউ কোনো আপত্তি না তুললেও, হিন্দুত্ববাদী বিজেপি এখন ‘ঐতিহাসিক ভুল’ খুঁজে পেয়েছে শুধুমাত্র মুসলিম সম্পৃক্ততার কারণে।
কেশবন বিস্ময়কর এই দাবি এমন সময়ে করেছেন যখন জাতীয় সঙ্গীত 'বন্দে মাতরম'-এর ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতা দেওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে তিনি নেহেরু এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মধ্যে তুলনাও করে বলেছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হিন্দু বিরোধী মানসিকতা লোকসভার বিরোধী দলনেতার মধ্যে প্রতিধ্বনিত হয়।
উল্লেখ্য ‘বন্দে মাতরম’ উনবিংশ শতাব্দীতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত এবং ১৮৮২ সালে তাঁর উপন্যাস “আনন্দমঠ”-এর অংশ হিসেবে প্রকাশিত হয়। এটি ভারতের জাতীয় আন্দোলনের প্রতীক হলেও, গানটির কিছু স্তবকে দেবী দুর্গার উল্লেখ থাকায় অতীতে সাম্প্রদায়িক বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। বর্তমানে বিজেপি সেই পুরনো ইস্যুতেই নতুন করে আগুন জ্বালাতে চায়—যেখানে উদ্দেশ্য একটাই: ধর্মের নামে রাজনীতি, আর মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষকে আরো গভীর করা।

২০২৪ এর ৫ আগস্টে হাসিনার সরকার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। এরই মাঝে, ভারত নতুন করে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলায় নতুন একটি সামরিক ঘাঁটি চালু করেছে। পাশাপাশি আসামের ধুবরিতেও নতুন একটি সেনা স্টেশন গড়ে তেুলেছে।
২ ঘণ্টা আগে
মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, প্রকৃত সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে, কারণ দেশের অস্থির নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও তথ্যের সীমিত প্রবেশাধিকার সঠিক হিসাব নির্ধারণে বাধা সৃষ্টি করছে।
২ ঘণ্টা আগে
ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের সঙ্গে সম্পর্কিত ১৩৬টি স্থাপনার মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশে সম্প্রসারণের লক্ষণ পাওয়া গেছে। কারখানা, গবেষণা ও পরীক্ষাকেন্দ্রসহ এসব স্থাপনার আয়তন ২০২০ সালের শুরু থেকে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ ২ কোটি ১০ লক্ষ বর্গফুট (প্রায় ২ মিলিয়ন বর্গমিটার) পর্যন্ত বেড়েছে। স্যাটেলাইট ছবিতে নতুন টাওয়ার, বাঙ
৩ ঘণ্টা আগে
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউমকে “পারসোনা নন গ্রাটা” (persona non grata) বা অবাঞ্ছিত ব্যক্তি ঘোষণা করেছে পেরু। যার ফলে তিনি দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। সম্প্রতি মেক্সিকোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কয়েক দিনের মধ্যেই এই পদক্ষেপ নিল পেরু।
৪ ঘণ্টা আগে