তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, ইসরাইলি বাহিনী গাজায় এমন নৃশংসতা চালাচ্ছে যা নিষ্ঠুরতায় হিটলারকেও ছাড়িয়ে গেছে। তিনি অভিযোগ করেন, ইসরাইল ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, শিশুদের অনাহারে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে এবং গোটা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। তবুও, গাজার জনগণের প্রতিরোধ ও স্বাধীনতার ইচ্ছা ভাঙা যায়নি।
বুধবার তুরস্কভিত্তিক গণমাধ্যম আনাদুলো এজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আঙ্কারায় একে পার্টির সংসদীয় বৈঠকে এরদোয়ান ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি তুরস্কের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি গাজায় চলমান ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রক্তপাত ও ধ্বংসের মাধ্যমে কোনো পক্ষই স্থায়ী শান্তি অর্জন করতে পারবে না।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, তার দেশ গাজা সংকট মোকাবিলায় মানবিক সহায়তা, কূটনৈতিক তৎপরতা, বাণিজ্যিক উদ্যোগ এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি—এই চারটি দিকেই সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তাঁর মতে, যুদ্ধবিরতি ও ন্যায়সঙ্গত শান্তিই বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত পথ।
তিনি জানান, তুরস্ক মিশরের শার্ম এল-শেখে চলমান শান্তি আলোচনাকে গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ইতিবাচক ফলাফলের আশা করছে। এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক কখনোই ফিলিস্তিনি জনগণকে একা ছেড়ে দেবে না এবং শান্তি প্রচেষ্টায় হামাসের ভূমিকা প্রশংসার যোগ্য বলে মনে করে।


ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ বাংলাদেশি নিহত