Ad T1

ব্রিটিশ দুর্নীতিবিরোধী পদ থেকে টিউলিপকে অপসারণের দাবি

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯: ৪১

ব্রিটিশ দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম থেকে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী ও শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিককে আপসারণের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলের এমপিরা। অর্থ আত্মসাতে সহায়তার অভিযোগ ওঠার পর তাকে দুর্নীবিরোধী ফাইন্যান্সিয়াল স্যাংকশন ইমপ্লিমেন্টেশনের কার্যালয় থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান তারা।

ডেইলি মেইলে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, রাশিয়ার অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে নিজ পরিবারের সদস্যদের চার বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ বিষয়ে তদন্তও শুরু করেছেন তারা।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি রোসাটোম। ফাইন্যান্সিয়াল স্যাংকশন ইমপ্লিমেন্টেশনের (আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন কার্যালয়) দায়িত্বে রয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। ইউক্রেনে হামলার সঙ্গে রোসাটোমের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এর সঙ্গে যুক্ত ৪৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ব্রিটেন। এক্ষেত্রে তাকে রোসাটোমের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে নিয়মিত পর্যালোচনা করতে হচ্ছে। তবে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হওয়ার দায়ে টিউলিপকে দুর্নীতিবিরোধী কার্যালয়ের পদ থেকে অপসরণের জোর দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় হোম অ্যাফেয়ার্সের মুখপাত্র ম্যাট ভিকার্স।

তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারকে উদ্দেশে বলেন, দুর্নীতিবিরোধী সকল কর্মকাণ্ড থেকে টিউলিপকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। কেননা টিউলিপের ব্যক্তিগত লেনদেন সম্পর্কে স্বচ্ছ উত্তর পাওয়া যায়নি।

ad

দুদক বলছে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে টিউলিপের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০২৪ এর আগস্টে শত শত মানুষ নিহত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের তোপে টিউলিপের মা শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের হাইকোর্টে অভিযোগ উঠেছে যে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১০ বিলিয়ন পাউন্ড সরাতে ‘দালালি’ করেছিলেন টিউলিপ। ২০১৩ সালে ক্রেমলিনে টিউলিপের উপস্থিতিতে ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন তার খালা শেখ হাসিনা ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

তার মা শেখ রেহেনার বিরুদ্ধেও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক। হাসিনা এবং তার বোনের বিরুদ্ধে ৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ভুয়া কোম্পানির নামে এসব অর্থ মালয়েশিয়াতে পাচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল।

সম্প্রতি টিউলিপ এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আটটি প্রকল্প থেকে ১.৪ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগে তদন্তে নেমেছে দুদক। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন টিউলিপ সিদ্দিক।

বিষয়:

ad
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত