কম্বোডিয়ায় রাষ্ট্রদ্রোহীদের নাগরিকত্ব বাতিলের আইন পাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ২১: ৩৩
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ২১: ৩৫

কম্বোডিয়ার আইন প্রণেতারা একটি বিতর্কিত আইন পাস করেছেন। যা বিদেশি দেশের সঙ্গে আঁতাতে জড়িত বা রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কর্মকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব বাতিলের সুযোগ দিচ্ছে সরকারকে। সোমবার পাস হওয়া এই আইন অনুযায়ী, যারা কম্বোডিয়ার স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা বা জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত, তাদের নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করা যাবে।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞাপন

১২৫ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় পরিষদের পাঁচজন ব্যতিক্রম বাদে বাকি সকল সদস্য এই আইনের পক্ষে ভোট দেন। এটি এখনও উচ্চকক্ষ ও রাজার অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকলেও, এসব প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকতা হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।

আইন অনুযায়ী, নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেবে একটি বিশেষ কমিটি, যা গঠন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সার সোখা।

বিরোধী দল ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই আইনকে বাকস্বাধীনতার ওপর বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখছে। ৫০টি অধিকার গোষ্ঠীর একটি জোট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অস্পষ্টভাবে লেখা এই আইনটি ‘বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক সক্রিয়তার ওপর বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলতে পারে’। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ‘সরকারের অনেক ক্ষমতা থাকতেই পারে, তবে নাগরিকত্ব কে রাখবে আর কে হারাবে, সেই ক্ষমতা যেন স্বেচ্ছাচারে প্রয়োগ না হয়।’

এই আইন এমন সময়ে এসেছে, যখন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হুন সেন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হুন মানেটের শাসনামলে বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নের ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। হুন সেন এর আগে প্রকাশ্যে বলেছিলেন, ‘যারা বিদেশি শক্তির পক্ষ নেয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ ইতোমধ্যেই নিষিদ্ধ ঘোষিত কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্যাম রেইন্সি ও মু সোচুয়া সহ অনেক বিরোধী নেতা গ্রেপ্তার এড়াতে দেশত্যাগ করেছেন।

সমালোচকদের মতে, এই আইন সরকারের সমালোচকদের লক্ষ্য করে রাজনৈতিক দমনপীড়নের আরেকটি হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত