গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন

জিম্মি মুক্তিতে নতুন চুক্তি হামাস-ইসরাইলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১: ০০
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১: ৩১

গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য নতুন করে চারটি শর্ত আরোপ করেছে ইসরাইল। এর মধ্যে একটিতে রয়েছে গাজা থেকে হামাসকে বিতাড়িত করা। এদিকে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে বন্দি মুক্তির নতুন চুক্তি সই হয়েছে, যাতে গাজার বন্দি চার জিম্মি এবং মুক্তি না পাওয়া ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি নিয়ে একটি সমঝোতা হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে দুপক্ষই নিজেদের মধ্যে জিম্মিবিনিময় করবে।

বুধবার হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, বৃহস্পতিবার আরো চার ইসরাইলি জিম্মির লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে লাশবিনিময়ের সময়ই মুক্তি দিতে হবে ফিলিস্তিনি বন্দিদের।

বিজ্ঞাপন

গাজায় প্রায় ৬০ জন জিম্মি রয়ে গেছে, যাদের অর্ধেক মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৫ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি এবং চার মৃত জিম্মির লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় বন্দি থাকা চার জিম্মি এবং শনিবার মুক্তি না পাওয়া ৬০০ ফিলিস্তিনি বন্দির বিষয়ে তারা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। ইসরাইলের অনুরোধের পর গাজা থেকে লাশগুলো মিসরের মাধ্যমে রেড ক্রসের কাছে স্থানান্তরের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ইসরাইল সরকার ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিতে বেশ কয়েক দিন বিলম্ব করেছিল, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তির ‘গুরুতর লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছিল হামাস। এ অবস্থায় দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তির বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।

সবশেষ বন্দিবিনিময়ের সময় হামাস ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দিলেও ৬০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে অস্বীকার করে ইসরাইল। আর এর কারণ হিসেবে বলা হয়, শনিবার হামাসের হাতে বন্দি অবস্থায় মারা যাওয়া মা শিরি বিবাস এবং তার দুই সন্তান আরিয়েল ও কেফিরের লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ ছিল ইসরাইল। চুক্তি অনুযায়ী বন্দিবিনিময়ের পুরো প্রক্রিয়ায় উভয়পক্ষ স্বচ্ছতা মেনে চলবে বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং নতুন চুক্তি পরবর্তী পর্যায়ে আরো বন্দি মুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করবে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত