দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের চিঠি এবং পাল্টা জবাব দুদকের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৫, ১২: ১৪

বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাকে ‘লক্ষ্যবস্তু বানানো’ এবং তার বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন’ প্রচারণার অভিযোগ করেছেন ব্রিটেনের সাবেক মন্ত্রী ও শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। এই সংসদ সদস্যদের আইনজীবীদের তরফে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদককে) একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগগুলো ‘মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক’। সেগুলো গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরা হয়েছে অথচ, তদন্তকারীদের পক্ষ থেকে তাকে কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।

দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বিবিসিকে বলেছেন, এসব অভিযোগ কোনোভাবেই ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন’ নয়। দুদকের অনুসন্ধান ‘দুর্নীতির প্রমাণ আছে এমন দলিলের ওপর ভিত্তি করেই’ হচ্ছে। বাংলাদেশের আদালতে চলমান প্রক্রিয়া নিয়ে সিদ্দিকের বিব্রত হওয়া উচিত নয়। তার বাংলাদেশে এসে এই মামলা মোকাবিলা করা এবং যথাসম্ভব আইনি সহায়তা পাওয়ার বিষয়টিকে আমি স্বাগত জানাবো।

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন ব্রিটেনের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে— টিউলিপ সিদ্দিকের এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমে দুদকের ব্রিফিং একটি নিয়মিত কার্যক্রম, এটি সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও নির্ভুলতা নিশ্চিত করেই করা হয়।

এ বছরের জানুয়ারিতে লেবার মন্ত্রিসভার ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে সরে দাঁড়ান টিউলিপ সিদ্দিক। ওই পদে তার কাজ ছিল যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেয়া।

দুদকের পক্ষ থেকে দুর্নীতির অভিযোগ আসার পর উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেইট আসনের এই এমপি তখন দাবি করেন, তিনি কোনো অনিয়ম করেননি। ‘স্বচ্ছতা’ বজায় রেখে কাজ করেছেন। কিন্তু, তিনি সরকারের কর্মকাণ্ডে ‘বিক্ষিপ্ততার’ কারণ হতে চাননি বলে পদত্যাগ করেছেন।

তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার জানান, তার (টিউলিপ) জন্য ফিরে আসার ‘দরজা খোলা থাকছে’। স্টারমারের নির্বাচনী আসন হবর্ন অ্যান্ড সেন্ট প্যানক্রাস টিউলিপের আসনের পার্শ্বর্বর্তী হওয়ায় তাদের মধ্যে সৌহার্দ্য রয়েছে।

যখন দুর্নীতির অভিযোগ প্রথম সামনে আসে, তখন টিউলিপ সিদ্দিক প্রধানমন্ত্রীর নৈতিকতা বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ম্যাগনাস তখন জানান, তিনি টিউলিপ সিদ্দিকের ক্ষেত্রে ‘অন্যায় কিছুর প্রমাণ পাননি’। কিন্তু এটা দুঃখজনক যে— টিউলিপ সিদ্দিক তার খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের জন্য ‘সম্ভাব্য দুর্নামের ঝুঁকি সম্পর্কে অতটা সতর্ক ছিলেন না’। সূত্র: বিবিসি বাংলা

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত