গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। এদের অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে। শনিবার গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এ কথা জানিয়েছে। খবর আরব নিউজের।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, উত্তর গাজার একটি সীমান্ত ক্রসিংয়ের কাছে ত্রাণের জন্য জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে নয়জন নিহত এবং ১৮১ জন আহত হন।
তিনি জানান, গাজার মধ্যাঞ্চলে একটি ত্রাণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া নিরীহ ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে আরো ছয়জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছে।
বাসালের জানান, মধ্য গাজায় হামলায়ও বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া, দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরের কাছে একটি ড্রোন হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
গাজায় গণমাধ্যমের ওপর ইসরাইলি বিধিনিষেধ এবং ভূখণ্ডের বিভিন্ন অংশে প্রবেশে বাধার কারণে এএফপি এসব তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলি সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে প্রতিদিন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জড়ো হন। তবে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রতিদিনই হামলার শিকার হতে হয় অভুক্ত ফিলিস্তিনিদের।
প্রায় দুই বছর আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহে ইসরেইলি নিষেধাজ্ঞার ফলে খাদ্য এবং ওষুধ ও জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ৬১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
আরএ


সৌদি আরবে ২২ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
যুদ্ধ জয় নিয়ে পাকিস্তানকে উপহাস করলেন ভারতের সেনাপ্রধান