গবেষণা প্রতিবেদন
আমার দেশ অনলাইন
যুক্তরাষ্ট্রে সংবাদ পাওয়ার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া ও ভিডিও প্ল্যাটফর্ম। ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো এখন টেলিভিশন ও ওয়েবসাইট-অ্যাপভিত্তিক সংবাদমাধ্যমকে ছাড়িয়ে গেছে।
রয়টার্স ইনস্টিটিউটের ২০২৫ সালের ডিজিটাল নিউজ রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ৫৪ শতাংশ মার্কিন নাগরিক এসব সোশ্যাল ও ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে খবর দেখেছেন বা পড়েছেন। ২০১৩ সালে এ হার ছিল মাত্র ২৭ শতাংশ।
তুলনামূলকভাবে টেলিভিশনে খবর দেখেছেন ৫০ শতাংশ এবং ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপে খবর পড়েছেন ৪৮ শতাংশ মানুষ।
বিশেষ করে তরুণদের মধ্যেই এই পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি। ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী মার্কিনদের ৫৪ শতাংশ এবং ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের অর্ধেক এখন সোশ্যাল মিডিয়া ও ভিডিও প্ল্যাটফর্মকেই তাদের মূল সংবাদ উৎস হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।
এই প্রবণতা সবচেয়ে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে, যেখানে যথাক্রমে ৩৪ ও ৩৫ শতাংশ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াকে ‘প্রধান’ সংবাদ উৎস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এরপর রয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও জাপান।
প্রতিবেদনটি বলছে, প্রচলিত সংবাদমাধ্যমের বাইরে, বিশেষ করে ডানপন্থী অনলাইন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এখন অনেক বড়সংখ্যক মানুষের কাছে খবর পৌঁছে দিচ্ছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পরের সপ্তাহে প্রতি ৫ জনের একজন মার্কিনি জো রোগানের পডকাস্টে সংবাদবিষয়ক আলোচনা দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। ১২ থেকে ১৪ শতাংশ মানুষ টাকার কার্লসন, মেগান কেলি, ক্যান্ডেস ওয়েন্স অথবা বেন শ্যাপিরোর মতো ব্যক্তিদের দেখা বা শোনা কথা উল্লেখ করেছেন।
২০১৬ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্রচলিত সংবাদমাধ্যমে দর্শক ও পাঠকের বড় একটি উল্লম্ফন দেখা গেলেও এবারের মেয়াদে সেই চিত্র নেই। বরং কেবল সোশ্যাল মিডিয়া ও ভিডিও প্ল্যাটফর্মের দর্শকসংখ্যা বেড়েছে।
প্রায় ৫০টি দেশে পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনে ৪ জন বলছেন—তারা ‘বেশিরভাগ সময় বেশিরভাগ খবর’ বিশ্বাস করেন। গত তিন বছর ধরে এই আস্থার হার স্থিতিশীল রয়েছে।
সংবাদের ওপর সবচেয়ে বেশি আস্থা দেখা গেছে নাইজেরিয়ায়—৬৮ শতাংশ। এরপর রয়েছে ফিনল্যান্ড, কেনিয়া, ডেনমার্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা ও থাইল্যান্ড।
অন্যদিকে সবচেয়ে কম আস্থা দেখা গেছে গ্রিস ও হাঙ্গেরিতে, যেখানে মাত্র ২২ শতাংশ মানুষ খবর বিশ্বাস করেন। এরপর রয়েছে স্লোভাকিয়া, বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া।
প্রতিবেদনের মূল লেখক নিক নিউম্যান জানান, রাজনীতিকরা এখন ক্রমেই মূলধারার সাংবাদিকতাকে পাশ কাটিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এসব মাধ্যম অনেক সময় প্রশ্নবিদ্ধ হলেও, রাজনৈতিকভাবে সুবিধাজনক হয়ে উঠছে।
নিউম্যান বলেন, ‘এই প্রবণতা যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে আরো স্পষ্ট, পাশাপাশি এশিয়া, লাতিন আমেরিকা ও পূর্ব ইউরোপেও এটি বাড়ছে। তবে যেসব দেশে সংবাদমাধ্যম এখনো জনপ্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য, সেখানে এই পরিবর্তন ধীর গতিতে হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যেসব দেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকটে, সেসব জায়গায় বিকল্প মাধ্যম অর্থবহ ভূমিকা রাখলেও, একই সঙ্গে এগুলো রাজনৈতিক বিভাজন ও অনলাইন বিতর্ক বাড়ানোর ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখছে।’
সূত্র: আল জাজিরা
যুক্তরাষ্ট্রে সংবাদ পাওয়ার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া ও ভিডিও প্ল্যাটফর্ম। ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো এখন টেলিভিশন ও ওয়েবসাইট-অ্যাপভিত্তিক সংবাদমাধ্যমকে ছাড়িয়ে গেছে।
রয়টার্স ইনস্টিটিউটের ২০২৫ সালের ডিজিটাল নিউজ রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ৫৪ শতাংশ মার্কিন নাগরিক এসব সোশ্যাল ও ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে খবর দেখেছেন বা পড়েছেন। ২০১৩ সালে এ হার ছিল মাত্র ২৭ শতাংশ।
তুলনামূলকভাবে টেলিভিশনে খবর দেখেছেন ৫০ শতাংশ এবং ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপে খবর পড়েছেন ৪৮ শতাংশ মানুষ।
বিশেষ করে তরুণদের মধ্যেই এই পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি। ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী মার্কিনদের ৫৪ শতাংশ এবং ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের অর্ধেক এখন সোশ্যাল মিডিয়া ও ভিডিও প্ল্যাটফর্মকেই তাদের মূল সংবাদ উৎস হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।
এই প্রবণতা সবচেয়ে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে, যেখানে যথাক্রমে ৩৪ ও ৩৫ শতাংশ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াকে ‘প্রধান’ সংবাদ উৎস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এরপর রয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও জাপান।
প্রতিবেদনটি বলছে, প্রচলিত সংবাদমাধ্যমের বাইরে, বিশেষ করে ডানপন্থী অনলাইন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এখন অনেক বড়সংখ্যক মানুষের কাছে খবর পৌঁছে দিচ্ছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পরের সপ্তাহে প্রতি ৫ জনের একজন মার্কিনি জো রোগানের পডকাস্টে সংবাদবিষয়ক আলোচনা দেখেছেন বলে জানিয়েছেন। ১২ থেকে ১৪ শতাংশ মানুষ টাকার কার্লসন, মেগান কেলি, ক্যান্ডেস ওয়েন্স অথবা বেন শ্যাপিরোর মতো ব্যক্তিদের দেখা বা শোনা কথা উল্লেখ করেছেন।
২০১৬ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্রচলিত সংবাদমাধ্যমে দর্শক ও পাঠকের বড় একটি উল্লম্ফন দেখা গেলেও এবারের মেয়াদে সেই চিত্র নেই। বরং কেবল সোশ্যাল মিডিয়া ও ভিডিও প্ল্যাটফর্মের দর্শকসংখ্যা বেড়েছে।
প্রায় ৫০টি দেশে পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনে ৪ জন বলছেন—তারা ‘বেশিরভাগ সময় বেশিরভাগ খবর’ বিশ্বাস করেন। গত তিন বছর ধরে এই আস্থার হার স্থিতিশীল রয়েছে।
সংবাদের ওপর সবচেয়ে বেশি আস্থা দেখা গেছে নাইজেরিয়ায়—৬৮ শতাংশ। এরপর রয়েছে ফিনল্যান্ড, কেনিয়া, ডেনমার্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা ও থাইল্যান্ড।
অন্যদিকে সবচেয়ে কম আস্থা দেখা গেছে গ্রিস ও হাঙ্গেরিতে, যেখানে মাত্র ২২ শতাংশ মানুষ খবর বিশ্বাস করেন। এরপর রয়েছে স্লোভাকিয়া, বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া।
প্রতিবেদনের মূল লেখক নিক নিউম্যান জানান, রাজনীতিকরা এখন ক্রমেই মূলধারার সাংবাদিকতাকে পাশ কাটিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এসব মাধ্যম অনেক সময় প্রশ্নবিদ্ধ হলেও, রাজনৈতিকভাবে সুবিধাজনক হয়ে উঠছে।
নিউম্যান বলেন, ‘এই প্রবণতা যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে আরো স্পষ্ট, পাশাপাশি এশিয়া, লাতিন আমেরিকা ও পূর্ব ইউরোপেও এটি বাড়ছে। তবে যেসব দেশে সংবাদমাধ্যম এখনো জনপ্রিয় ও বিশ্বাসযোগ্য, সেখানে এই পরিবর্তন ধীর গতিতে হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যেসব দেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকটে, সেসব জায়গায় বিকল্প মাধ্যম অর্থবহ ভূমিকা রাখলেও, একই সঙ্গে এগুলো রাজনৈতিক বিভাজন ও অনলাইন বিতর্ক বাড়ানোর ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখছে।’
সূত্র: আল জাজিরা
আরব সাগরে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের মাদক জব্দ করেছে পাকিস্তানের নৌবাহিনী। বুধবার (২২ অক্টোবর) সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ সামুদ্রিক জোট কম্বাইন্ড মেরিটাইম ফোর্সেস (সিএমএফ)-এর অংশ হিসেবে পাকিস্তানি নৌবাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেখামেনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্টে জানান, বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে আমেরিকার নানা প্রান্তে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। যদি আপনি (ট্রাম্প) এতটাই সক্ষম হন, তবে বিক্ষোভকে দমন করুন।
৪ ঘণ্টা আগেহোয়াইট হাউস দাবি করছে, এই প্রকল্পে সরকারি অর্থ ব্যবহার হবে না, বরং ভবিষ্যতের প্রশাসনগুলিও সুবিধা পাবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বলরুমটি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ফান্ডরেইজিংয়ের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে—যা সরকারি প্রভাবের বিনিময়ে অর্থ আদায়ের নতুন রূপ।
৪ ঘণ্টা আগেগুগলের ক্রোমকে চ্যালেঞ্জ জানাতে নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার উন্মোচন করেছে চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই। ওপেনএআই তাদের নতুন এই ব্রাউজারের নাম দিয়েছে ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’।
৪ ঘণ্টা আগে