আওয়ামী আমলে কোটি কোটি টাকা লুটপাট
সাইদুর রহমান রুমী
ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত শিশুপার্কটি ছিলো একসময় সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের শিশুদের সুলভে চিত্তবিনোদনের আকর্ষণীয় একটি স্থান। শহীদ জিয়ার প্রতিষ্ঠিত এবং তার নামে শিশুপার্কটির নামকরণের পরিপ্রেক্ষিতে নানা অবহেলা-অব্যবস্থাপনার পর নতুন প্রকল্পের নামে দীর্ঘ অর্ধযুগ ধরে পার্কটি বন্ধ রাখা হয়েছে। পলাতক ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ফজলে নূর তাপস তার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রকল্প শুরুর আগেই কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
১৯৭৯ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৫ একর জমিতে সরকারি এ শিশুপার্কটি প্রতিষ্ঠা করেন। এটি বাংলাদেশে প্রথম শিশুদের বিনোদনপার্ক। পরে ১৯৮৩ সাল থেকে শিশুদের বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে। তখন থেকে পার্কটি তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। পার্কটিতে একটি খেলনা ট্রেন, একটি গোলাকার মেরি গো রাউন্ড রাইড ও একাধিক হুইলসহ ১২টি রাইড ছিল।
১৯৯২ সালে এ পার্কে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে সৌজন্য উপহার হিসেবে একটি জেট প্লেন দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় পর থেকে এই পার্কটির প্রতি অবহেলা শুরু করে। বছরের পর কোনো সংস্কারকাজ করা হয়নি। এমনকি একপর্যায়ে ২০১৯ সালে সংস্কারের নাম করে শিশুপার্কটি বন্ধ রাখা হয়। আগামী বছরের জুনে পার্কটি নতুন করে খোলার কথা থাকলেও কাজের অগ্রগতি সরেজমিনে দেখে তা মনে হয়নি। বিশেষ করে প্রকল্প ভালো করে শুরুর আগেই পলাতক মেয়র তাপস সিন্ডিকেট ব্যাপক অর্থ লুটপাটের কারণে কাজের তেমন অগ্রগতি হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিশুপার্কের স্থানের মাঝামাঝি ভূগর্ভস্থ গাড়ি পার্কিং, জলাধারা, আন্ডারপাস, হাঁটার পথ এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকাজ কিছু কিছু শেষ হয়েছে। তবে মূল শিশুপার্কটিতে কোনো কাজই শুরু হয়নি। পূর্বতন শিশুপার্কটির পুরো মাঠের মাটি উপড়ে ফেলা হয়েছে।
পার্কটি চালু আছে বা পার্কের সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে, এমন ধারণা থেকে এখনো প্রতিদিন সকাল-বিকাল শিশু-কিশোরদের নিয়ে শাহবাগে যেতে দেখা যায় অনেক অভিভাবককে। বিশেষত, শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকেই পার্কটিতে ঘুরতে যাচ্ছেন। কিন্তু পার্ক চালু না হওয়ায় তারা আক্ষেপ আর হতাশা নিয়েই ফিরে যান। রাজধানীর মালিবাগ এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী আফজাল হোসেন জানান, আমার তিন ছেলেমেয়ে। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের বাচ্চাদের অনেক শখই পূরণ করতে পারি না। আজকাল চালু হওয়া নানান দামি রাইডযুক্ত পার্কগুলোতে ইচ্ছে থাকলেও আমরা বাচ্চাদের নিয়ে যেতে পারি না খরচের ভয়ে। কিন্তু এ পার্কটি ছিল আমাদের মধ্যবিত্তের নাগালে। শিশু-কিশোরদের চিত্তবিনোদনের জন্য ঢাকায় এখন পর্যাপ্ত কোনো জায়গা নেই। অথচ এই শিশুপার্কে মাত্র ১০ টাকা হারে ছয়টি রাইড ব্যবহার করতে পারত শিশুরা। তাই আশা করবে দ্রুত এ পার্কটি বর্তমান সরকার চালুর উদ্যোগ নেবে।
গতকাল শনিবার গিয়ে দেখা যায়, শিশুপার্কটিতে ঢোকার গেটের সামনের অংশে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও সিটি কপোরেশনের লোকদের ম্যানেজ করে জনৈক জাকির হোসেন কিছু কিছু রাইড বসাচ্ছেন। তার ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঈদে শিশুপার্কে এসে মানুষ ফেরত যায়। তাই আমি এ উদ্যোগ নিয়েছি, যাতে মানুষ শিশুদের নিয়ে ফেরত যেন না যায়। এসব রাইড স্থাপন তদারকিতে ব্যস্ত একজন জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার শহীদ জিয়া শিশুপার্ক নাম থাকায় এটি বন্ধ করে রেখেছিল। এখনো বহু মানুষ শাহবাগের এ শিশুপার্কটিতে এসে ফেরত যায়। তাই আমরা চেষ্টা করছি পার্কের বাইরে কিছু কিছু রাইড স্থাপন করে মানুষকে আনন্দ দিতে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাজ শেষে শিশুপার্কের স্থান ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়ার পরই কাজ শুরু করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৬০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের জুন মাসে। এরপর পার্কটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
কিন্তু প্রকল্প শুরু হওয়ার আগেই তাপস গং প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা উত্তোলন করে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। পার্কটির আধুনিকায়নে ৬০৪ কোটি টাকার মধ্যে ৪৮৩ কোটি টাকা দেবে সরকার। এ টাকার ৫০ ভাগ ছিল অনুদান এবং ৫০ ভাগ ঋণ হিসেবে দেওয়ার কথা। বাকি ১২০ কোটি টাকা দক্ষিণ সিটির তহবিল থেকে খরচ করা হবে। আর প্রকল্পের ৪১৫ কোটি টাকা খরচ হবে ১৫টি অত্যাধুনিক রাইড কেনা ও স্থাপনে। কিন্তু আওয়ামী লীগের শেষ সময়ে প্রকল্পের বিপুল পরিমাণ টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যার কারণে শিশুপার্কটি আগামী বছর শুরুর যে পরিকল্পনা ছিল, তা আরো কয়েক বছর পেছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই পুরো প্রকল্পের অর্থছাড়ের বিষয়টি তদন্ত করার দাবি উঠেছে।
২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, ঢাকা শিশুপার্কের নাম পরিবর্তন করে আগের নাম শহীদ জিয়া শিশুপার্ক রাখা হয়। তবে শিশুপার্কটির ২০২৬ সালের জুনে নতুন করে খোলার বিষয়ে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রকৌশলী জানান, মূলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য শেখ হাসিনা শিশু-কিশোরদের জন্য জনপ্রিয় এ পার্কটি চালু করতে চায়নি। নিজের রাজনৈতিক হিংসা শিশুদের ওপর দিয়ে চালিয়ে দিয়ে গেছে।
বিশিষ্ট শিশু এবং মনোবিজ্ঞানী প্রফেসর ইরফান আহমেদ আমার দেশকে বলেন, শিশুদের জন্য এই নগরে খুব কম স্থানই আছে। সেখানে ছয় বছর ধরে শিশুপার্কটি বন্ধ থাকা দুর্ভাগ্যের বিষয়। অভিভাবকরা ইচ্ছে থাকলেও তাদের সন্তানদের খোলামেলা বিনোদনের কম খরচের কোনো পার্কে নিয়ে যাওয়ার জায়গা নেই। তার মতে, নতুন করে শিশুপার্ক স্থাপনে প্রাধান্য দিতে হবে গাছপালা ও প্রকৃতিকে।
ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত শিশুপার্কটি ছিলো একসময় সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের শিশুদের সুলভে চিত্তবিনোদনের আকর্ষণীয় একটি স্থান। শহীদ জিয়ার প্রতিষ্ঠিত এবং তার নামে শিশুপার্কটির নামকরণের পরিপ্রেক্ষিতে নানা অবহেলা-অব্যবস্থাপনার পর নতুন প্রকল্পের নামে দীর্ঘ অর্ধযুগ ধরে পার্কটি বন্ধ রাখা হয়েছে। পলাতক ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ফজলে নূর তাপস তার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রকল্প শুরুর আগেই কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
১৯৭৯ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৫ একর জমিতে সরকারি এ শিশুপার্কটি প্রতিষ্ঠা করেন। এটি বাংলাদেশে প্রথম শিশুদের বিনোদনপার্ক। পরে ১৯৮৩ সাল থেকে শিশুদের বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে। তখন থেকে পার্কটি তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। পার্কটিতে একটি খেলনা ট্রেন, একটি গোলাকার মেরি গো রাউন্ড রাইড ও একাধিক হুইলসহ ১২টি রাইড ছিল।
১৯৯২ সালে এ পার্কে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে সৌজন্য উপহার হিসেবে একটি জেট প্লেন দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় পর থেকে এই পার্কটির প্রতি অবহেলা শুরু করে। বছরের পর কোনো সংস্কারকাজ করা হয়নি। এমনকি একপর্যায়ে ২০১৯ সালে সংস্কারের নাম করে শিশুপার্কটি বন্ধ রাখা হয়। আগামী বছরের জুনে পার্কটি নতুন করে খোলার কথা থাকলেও কাজের অগ্রগতি সরেজমিনে দেখে তা মনে হয়নি। বিশেষ করে প্রকল্প ভালো করে শুরুর আগেই পলাতক মেয়র তাপস সিন্ডিকেট ব্যাপক অর্থ লুটপাটের কারণে কাজের তেমন অগ্রগতি হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিশুপার্কের স্থানের মাঝামাঝি ভূগর্ভস্থ গাড়ি পার্কিং, জলাধারা, আন্ডারপাস, হাঁটার পথ এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকাজ কিছু কিছু শেষ হয়েছে। তবে মূল শিশুপার্কটিতে কোনো কাজই শুরু হয়নি। পূর্বতন শিশুপার্কটির পুরো মাঠের মাটি উপড়ে ফেলা হয়েছে।
পার্কটি চালু আছে বা পার্কের সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে, এমন ধারণা থেকে এখনো প্রতিদিন সকাল-বিকাল শিশু-কিশোরদের নিয়ে শাহবাগে যেতে দেখা যায় অনেক অভিভাবককে। বিশেষত, শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকেই পার্কটিতে ঘুরতে যাচ্ছেন। কিন্তু পার্ক চালু না হওয়ায় তারা আক্ষেপ আর হতাশা নিয়েই ফিরে যান। রাজধানীর মালিবাগ এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী আফজাল হোসেন জানান, আমার তিন ছেলেমেয়ে। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের বাচ্চাদের অনেক শখই পূরণ করতে পারি না। আজকাল চালু হওয়া নানান দামি রাইডযুক্ত পার্কগুলোতে ইচ্ছে থাকলেও আমরা বাচ্চাদের নিয়ে যেতে পারি না খরচের ভয়ে। কিন্তু এ পার্কটি ছিল আমাদের মধ্যবিত্তের নাগালে। শিশু-কিশোরদের চিত্তবিনোদনের জন্য ঢাকায় এখন পর্যাপ্ত কোনো জায়গা নেই। অথচ এই শিশুপার্কে মাত্র ১০ টাকা হারে ছয়টি রাইড ব্যবহার করতে পারত শিশুরা। তাই আশা করবে দ্রুত এ পার্কটি বর্তমান সরকার চালুর উদ্যোগ নেবে।
গতকাল শনিবার গিয়ে দেখা যায়, শিশুপার্কটিতে ঢোকার গেটের সামনের অংশে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও সিটি কপোরেশনের লোকদের ম্যানেজ করে জনৈক জাকির হোসেন কিছু কিছু রাইড বসাচ্ছেন। তার ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঈদে শিশুপার্কে এসে মানুষ ফেরত যায়। তাই আমি এ উদ্যোগ নিয়েছি, যাতে মানুষ শিশুদের নিয়ে ফেরত যেন না যায়। এসব রাইড স্থাপন তদারকিতে ব্যস্ত একজন জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার শহীদ জিয়া শিশুপার্ক নাম থাকায় এটি বন্ধ করে রেখেছিল। এখনো বহু মানুষ শাহবাগের এ শিশুপার্কটিতে এসে ফেরত যায়। তাই আমরা চেষ্টা করছি পার্কের বাইরে কিছু কিছু রাইড স্থাপন করে মানুষকে আনন্দ দিতে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাজ শেষে শিশুপার্কের স্থান ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়ার পরই কাজ শুরু করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৬০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের জুন মাসে। এরপর পার্কটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
কিন্তু প্রকল্প শুরু হওয়ার আগেই তাপস গং প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা উত্তোলন করে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। পার্কটির আধুনিকায়নে ৬০৪ কোটি টাকার মধ্যে ৪৮৩ কোটি টাকা দেবে সরকার। এ টাকার ৫০ ভাগ ছিল অনুদান এবং ৫০ ভাগ ঋণ হিসেবে দেওয়ার কথা। বাকি ১২০ কোটি টাকা দক্ষিণ সিটির তহবিল থেকে খরচ করা হবে। আর প্রকল্পের ৪১৫ কোটি টাকা খরচ হবে ১৫টি অত্যাধুনিক রাইড কেনা ও স্থাপনে। কিন্তু আওয়ামী লীগের শেষ সময়ে প্রকল্পের বিপুল পরিমাণ টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যার কারণে শিশুপার্কটি আগামী বছর শুরুর যে পরিকল্পনা ছিল, তা আরো কয়েক বছর পেছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই পুরো প্রকল্পের অর্থছাড়ের বিষয়টি তদন্ত করার দাবি উঠেছে।
২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, ঢাকা শিশুপার্কের নাম পরিবর্তন করে আগের নাম শহীদ জিয়া শিশুপার্ক রাখা হয়। তবে শিশুপার্কটির ২০২৬ সালের জুনে নতুন করে খোলার বিষয়ে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রকৌশলী জানান, মূলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য শেখ হাসিনা শিশু-কিশোরদের জন্য জনপ্রিয় এ পার্কটি চালু করতে চায়নি। নিজের রাজনৈতিক হিংসা শিশুদের ওপর দিয়ে চালিয়ে দিয়ে গেছে।
বিশিষ্ট শিশু এবং মনোবিজ্ঞানী প্রফেসর ইরফান আহমেদ আমার দেশকে বলেন, শিশুদের জন্য এই নগরে খুব কম স্থানই আছে। সেখানে ছয় বছর ধরে শিশুপার্কটি বন্ধ থাকা দুর্ভাগ্যের বিষয়। অভিভাবকরা ইচ্ছে থাকলেও তাদের সন্তানদের খোলামেলা বিনোদনের কম খরচের কোনো পার্কে নিয়ে যাওয়ার জায়গা নেই। তার মতে, নতুন করে শিশুপার্ক স্থাপনে প্রাধান্য দিতে হবে গাছপালা ও প্রকৃতিকে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিভিন্ন মেরূকরণ। এ নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে, কোন দল কার সঙ্গে সমঝোতা বা জোট করে ভোট করবেÑএসব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তৎপরতাও জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেনীলের দেশখ্যাত নীলফামারী দীর্ঘদিন শোষণ করেছিল ইংরেজরা। তাদের স্থানীয় নিপীড়ক নীলকরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন উত্তরের এই জেলার চাষিরা। ২০০ বছর পর সেই নিষ্ঠুর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেন আওয়ামী ‘কসাই’খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর।
১৪ ঘণ্টা আগেআগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদেরই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন ডিসিসহ ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
১ দিন আগেবছরের প্রায় ১০ মাস পার হলেও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ শুরু হয়নি। এমনকি পাঠ্যবইয়ের কনটেন্টও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি; এখনো চলছে পরিবর্তন-পরিমার্জনের কাজ। এছাড়া ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনও মেলেনি এখনো।
১ দিন আগে