Ad T1

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল- পর্ব-১

আশা নিয়ে আসেন রোগী ফেরেন হতাশ হয়ে

আজাদুল আদনান
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯: ২৭

প্রত্যাশার চাপে নুয়ে পড়েছে দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই প্রতিনিয়ত রোগী ভিড় করে হাসপাতালটিতে।

ভর্তির সক্ষমতা সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬০০ হলেও প্রতিনিয়ত থাকছে দ্বিগুণ কিংবা তারও বেশি রোগী। রোগীর তীব্র চাপ জরুরি ও বহির্বিভাগেও। প্রতিদিন দশ হাজারের বেশি রোগী চিকিৎসা নেয় এ প্রতিষ্ঠানটিতে। বিপুলসংখ্যক এই রোগীর চিকিৎসায় চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে যত পরিচ্ছন্নতাকর্মী দরকার, আছে তার অর্ধেক।

জনবলের পাশাপাশি ওষুধ ও রোগ নির্ণয়ও হচ্ছে অর্ধেক বরাদ্দে। চিকিৎসা নিতে আসা প্রায় সব রোগীর ওষুধের প্রয়োজন হলেও চাহিদার তুলনায় খুব সামান্যই দিতে পারছে হাসপাতালটি। বন্ধ রয়েছে রেডিওথেরাপির মতো জীবনরক্ষাকারী পরীক্ষা-নিরীক্ষা। বিকল এক্স-রে, সিটি স্ক্যান ও এমআরআইয়ের মতো জটিল ও ব্যয়বহুল রোগ নির্ণয়ের যন্ত্র। ফলে কয়েক গুণ বেশি খরচে বাইরে থেকে এসব পরীক্ষা করাতে হচ্ছে রোগীদের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকার আশপাশের জেলাসহ দেশের প্রায় সব অঞ্চল থেকে এই হাসপাতালে রোগী আসে। কিন্তু এর জন্য যে ব্যবস্থাপনা, জনবল ও অর্থ বরাদ্দ দরকার তা বিগত যত সরকার এসেছে, কেউই ঠিকভাবে উপলব্ধি করেনি। ফলে চিকিৎসার মানেও আসেনি পরিবর্তন।

দুরবস্থার কথা জানতেই অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

আর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান আমার দেশকে বলেন, ‘রোগী দেখে নয়, সরকার অর্থ বরাদ্দ দেয় শয্যা অনুযায়ী। আমরা বলেছিলাম হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রোগীর ফি বাবদ আসা আয় থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু সেটি আইন অনুযায়ী, সিদ্ধ না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় রাজি হয়নি। ফলে যেসব হাসপাতালে ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি রোগী রয়েছে, তাদের জন্য আনুপাতিক হারে অর্থ দেওয়ার তথা বিকল্প একটি উপায় বের করার পরামর্শ অর্থ মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে। যদিও এখনো অগ্রগতি নেই।’

২ হাজার ৬০০ শয্যার হাসপাতালে পাঁচ হাজারের বেশি রোগী

পেটে পানি জমে পেটের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে আব্দুল গফফার মিয়ার (৫৫)। গত ৮ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেলে আসেন দক্ষিণাঞ্চলের জেলা পটুয়াখালীর এই বাসিন্দা। ভর্তি হতে পারলেও পাঁচ দিনেও মেলেনি শয্যা। তাই ফ্লোরে থেকেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে তাকে।

গত ১২ এপ্রিল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিঁড়ির পাশে তোশক বিছিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তাকে। এ সময় ছেলে আলামিন বলেন, ‘বিভাগীয় হাসপাতালে গেলে চিকিৎসা না দিয়েই ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে বেসরকারি হাসপাতালে গেলে পেটে ক্যানসার হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক। তাই এখানে নিয়ে এসেছি। ভর্তি নিলেও এখনো শয্যা পাওয়া যায়নি।’

কেবল আব্দুল গফফারই নন, বরং চিকিৎসা নিতে আসা হাজার হাজার রোগীকে এমন দুর্ভোগ পোহাতে হয় প্রতিনিয়ত। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল-১ এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-২ ও বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট মিলে প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ২ হাজার ৬০০ শয্যা রয়েছে। যদিও প্রতিদিন গড়ে সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজারের বেশি রোগী ভর্তি থাকে। জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগ মিলে দৈনিক আরো ছয় হাজার মানুষ এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেয়। সব মিলিয়ে দিনে ১০ হাজারের বেশি মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেয় হাসপাতালটি।

তবে বিপুলসংখ্যক রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। বর্তমানে একশ’র মতো ওয়ার্ড, ৪৭টি অপারেশন থিয়েটার ছাড়াও রয়েছে দেড়শ’ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)। আর সব মিলিয়ে চিকিৎসক রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার। এর মধ্যে প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসই দেড় হাজার, যা প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। এই চিকিৎসক স্বল্পতার সরাসরি প্রভাব পড়ছে রোগীদের ওপর।

জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত একজন চিকিৎসক বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল হওয়ায় মানুষের প্রত্যাশা বেশি। যত জটিল রোগীই আসুক, আমরা কাউকে ফিরিয়ে দিই না। ঢাকার অনেক হাসপাতালে শয্যার বাইরে রোগী ভর্তি করে না, কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংকটাপন্ন রোগী এলে আমাদের আর করার কিছু থাকে না। তবে এজন্য আমাদের সেবার মান বাড়াতে হবে, যা আগের চেয়ে অনেকটা বেড়েছে। কিন্তু এখনো অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখানে হয় না। শয্যা পেতেও বেগ পেতে হয়।’

ছয় ঘণ্টায় দেখতে হয় অন্তত ২০০ রোগী

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৩টি বিভাগের প্রায় ১০০ ইউনিটের আওতায় সরকারিভাবে ৭৪৫ জন চিকিৎসকের পদ রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ৬৮৫ জন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংযুক্তিতে রয়েছেন কয়েকশ’ চিকিৎসক। তবে চিকিৎসার মূল অংশটাই হয় প্রশিক্ষণরত প্রায় দেড় হাজার চিকিৎসকের হাত ধরে।

সরেজমিনে অর্থপেডিকস, প্যাথলোজি ও মেডিসিনসহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষ বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। একেকজন চিকিৎসককে দেড় থেকে দুইশ’ রোগী দেখতে হয়।

গত ১৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অর্থপেডিকস বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, বিভাগের পাঁচটি কক্ষের সব কটিতে শত শত রোগীর দীর্ঘ সারি। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা, যে কারণে মানসম্পন্ন চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।

জানতে চাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে আসা গিয়াস উদ্দিন (৩৮) বলেন, ‘আহত পা নিয়েই প্রায় একঘণ্টা অপেক্ষার পর ডাক্তার দেখাতে পেরেছি। কথা ঠিকমতো না শুনেই ওষুধ আর পরীক্ষা লিখে দিয়েছে। রোগীর অনেক চাপ, ডাক্তারদেরও করার কিছু নেই।’

ওই বিভাগের বহির্বিভাগের চিকিৎসক ডা. জাবির হোসেন আমার দেশকে বলেন, ‘প্রতিদিন পাঁচটি রুমে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার রোগীকে চিকিৎসা দিতে হয়। গড়ে একেকজন চিকিৎসককে দেখতে হয় দেড় থেকে দুইশ’ রোগী। সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় আমাকে এত রোগী দেখতে হয়। সে হিসেবে একেকজনকে এক মিনিটও সময় দেওয়া মুশকিল। তাহলে কীভাবে রোগীর কথা শুনব?’

আক্ষেপ করে জাবির হোসেন বলেন, ‘এত রোগী কেন ঢাকায় আসবে? সেবা নিতে আসা রোগীদের বড় অংশই নিজ এলাকার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না নিয়ে এখানে চলে এসেছে। অথচ রেফারেল হয়ে আসার কথা। রোগীর সংখ্যা অনুযায়ী চিকিৎসক দ্বিগুণ হওয়া দরকার। যেভাবে দিচ্ছি এতে না রোগী, না চিকিৎসক হিসেবে আমি সন্তুষ্ট থাকতে পারছি।’

বন্ধ রেডিওথেরাপি, বিকল এক্স-রে, এমআরআই ও সিটি স্ক্যান

চিকিৎসক দেখানো ও ভর্তিযুদ্ধের পর ঢাকা মেডিকেলে আসা রোগীদের আরেক ভোগান্তি ও দুর্দশা পোহাতে হয় রোগ নির্ণয় করতে গিয়ে। প্রতিদিন চিকিৎসা নেওয়া দশ হাজারের বেশি মানুষের অধিকাংশের পরীক্ষা-নিরীক্ষার (টেস্ট) প্রয়োজন হয়। কিন্তু সাধারণ টেস্টের ব্যবস্থা থাকলেও স্তন ক্যানসার রোগীর অপরিহার্য রেডিওথেরাপি, পেট, রক্তনালী, হার্ট এবং শরীরের অন্যান্য অংশের পরীক্ষা এমআরআই (ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং) ও টিউমার এবং অভ্যন্তরীণ রক্তপাত নির্ণয়ের সিটি স্ক্যান যন্ত্র বিকল পড়ে আছে বছরের পর বছর ধরে। এতে করে কয়েকগুণ বেশি খরচে বাইরে থেকে এসব পরীক্ষা করাতে হচ্ছে রোগীদের।

ছয়মাস আগে স্তন ক্যানসার শনাক্ত হয় শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বাসিন্দা সানজিদা আক্তারের (৩৫)। সানজিদার স্বামী জানেআলম পেশায় রঙমিস্ত্রি। সীমিত সামর্থ্য সত্ত্বেও স্ত্রীকে বাঁচাতে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করেন। সানজিদার এখন রেডিওথেরাপি প্রয়োজন। কিন্তু আর্থিক টানাপোড়ানে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য হওয়ায় গত ১২ এপ্রিল তাকে ঢামেকের ক্যানসার বিভাগে নিয়ে আসেন। কিন্তু রেডিওথেরাপির ব্যবস্থা না থাকায় সেখান থেকে ফেরত যেতে হয়েছে তাদের।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বন্ধ রয়েছে। কবে চালু হবে তারা জানেন না। রেডিওথেরাপি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. খোরশেদ আলম আমার দেশকে বলেন, ‘হাসপাতালে একটি লিনিয়ার ও দুটি কোবাল্ড মিলে তিনটি রেডিওথেরাপি যন্ত্র রয়েছে। এর মধ্যে লিনিয়ারটি ২০১৯ সালে স্থায়ীভাবে বিকল হয়েছে। বাকি দুটি গত এক বছরের মধ্যে বিকল হয়। কেন সেগুলো ঠিক হচ্ছে না কিংবা নতুন কেনা হয়নি সেটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। আমরা কেবল চিকিৎসা দিই।’

এটাতো গেল রেডিওথেরাপির অবস্থা। হাসপাতালটিতে প্রতিদিন কয়েক হাজার এক্স-রে করতে হয়। এজন্য দরকার ২০টি এক্স-রে মেশিন। কিন্তু আছে ১০টি। এর মধ্যে আবার তিনটিই বিকল। অন্যদিকে তিনটি সিটি স্ক্যানের একটি স্থায়ীভাবে বিকল। বাকি দুটির একটি প্রায় সময় সমস্যা দেখা যায়, ফলে নতুন কেনা একটি সিটি স্ক্যানই ভরসা বলে জানান রেডিওলোজি বিভাগের টেকনোলজিস্ট ইনচার্জ আব্দুল রউফ। এ ছাড়া দুটি এমআরআই যন্ত্রের একটি বিকল, অন্যটি চালু রয়েছে বলেও জানান তিনি।

রোগ নির্ণয় ও ওষুধ সরবরাহে বরাদ্দ প্রয়োজনের অর্ধেক

বিপুলসংখ্যক রোগীর চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনায় ঢাকা মেডিকেলে প্রতি বছর ওষুধ, রোগ নির্ণয় ও প্রশাসনিক কাজে সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। এর দুই-তৃতীয়াংশই চলে যায় চিকিৎসক, নার্স ও আনসারসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতার পেছনে। ফলে ওষুধ ও রোগ নির্ণয়ে বরাদ্দ ১০০ কোটির মতো, যা প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকের চেয়েও কম।

যা বলছে কর্তৃপক্ষ

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান আমার দেশকে বলেন, ‘এ হাসপাতালে প্রতিদিন দশ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসা নেন। একটা উপজেলা ও জেলা হাসপাতালের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। অন্যদিকে প্রতি বছর যা বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক। ফলে রোগীর প্রত্যাশা অনেক থাকলেও আমরা পূরণ করতে পারছি না।’

আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এমনিতেই প্রয়োজনের চেয়ে যন্ত্রপাতি অনেক কম। এর মধ্যে আবার ভারী যন্ত্রপাতি বিকল। এখানে পাঁচটি এমআরআই দরকার হলেও আছে দুটি, যার মধ্যে সচল একটি। সিটি স্ক্যান দরকার দশটি, আছে তিনটি, যার দুটিই বিকল। আবার সব রিএজেন্টেরও (রোগ নির্ণয়ের উপকরণ) সংকট রয়েছে। এই সংকটের সুযোগ নিচ্ছে দালালরা। তারা রোগীকে নানা প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সংকট কাটাতে ও সক্ষমতা বাড়াতে রোগীদের কথা চিন্তা করে হাসপাতাল থেকে হওয়া আয় সম্পূর্ণটাই ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকারের উচ্চপর্যায় তাতে রাজি হয়নি। যন্ত্র মেরামতে সরকার একটা উপজেলা হাসপাতালে যে পরিমাণ বরাদ্দ দেয়, কয়েকগুণ বেশি রোগীর ঢাকা মেডিকেলেও তাই। ফলে আমরা চাইলেও অনেক কিছু করতে পারি না। সক্ষমতা থাকলে আমাদের নিজেদেরই অনেক কিছু কেনা যেত, রোগীদের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ করা সম্ভব হতো।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত