
আজাদুল আদনান

বাংলাদেশি রোগীদের বিদেশমুখী প্রবণতা নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরে ভারত ছিল তাদের প্রধান গন্তব্য। তবে জুলাই বিপ্লবের পর থেকে দেশটিতে যাওয়া উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এছাড়াও থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, চীন, মালয়েশিয়া, সৌদি আরবেও যান রোগীরা। এখন সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে তুরস্ক। বন্ধ্যত্ব দূরীকরণ, লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপন, হৃদরোগ, অর্থপেডিকসসহ নানা জটিল রোগের চিকিৎসায় দেশটির দুটি হাসপাতালে যাচ্ছেন এ দেশের রোগীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পর্যাপ্ত অবকাঠামো থাকার পরও যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ায় প্রতিবছর ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশি রোগী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন। এদের ৯০ ভাগই কিডনি ও লিভার প্রতিস্থাপন, ক্যানসার, হৃদরোগ ও বন্ধ্যত্বের চিকিৎসায়। বন্ধ্যত্ব রোগীদের চিকিৎসায় সরকারিভাবে দেশে বিশেষায়িত্ব কোনো হাসপাতালে নেই। গত কয়েক বছরে ২৫টি সহায়ক প্রজনন প্রযুক্তি আইভিএফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) সেন্টার গড়ে তোলা হয়। তবুও অধিকাংশ রোগী ভারতে যেতেন। এবার সেসব রোগীর গন্তব্য তুরস্কে।
দুটি কিডনি অকার্যকর হয়ে পড়া সাব্বির সরকার (ছদ্মনাম)। দেশের নামকরা একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস নিলেও সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো হাসপাতালেই প্রতিস্থাপনে আস্থা রাখতে পারেননি ৭৫ বছর বয়সি এই ব্যক্তি ও তার পরিবার। প্রতিস্থাপনে নেওয়া হয় পাকিস্তানে। কিন্তু সেখানকার হাসপাতালে ইনফেকশন রেট (সংক্রমণ হার) বেশি হওয়ায় এক স্বজনের পরামর্শে নেওয়া হয় তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ‘ওকান ইউনিভার্সিটি হসপিটালে’। চলতি বছরের জুনের শুরুতে সেখানেই কিডনি প্রতিস্থাপন হয় তার।
জানতে চাইলে সাব্বির সরকারের ছেলে রোম্মান আমার দেশকে বলেন, দেশে জ্বর নিয়ে গেলেও ১০ থেকে ১২টা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেন চিকিৎসক। রোগীর সঙ্গে ভালোমতো ব্যবহারও করেন না। অব্যবস্থাপনা আর অনিয়মের কারণে খুবই বাজে অবস্থা। তাই বড় বড় হাসপাতাল থাকলেও আস্থা রাখতে পারিনি। বাধ্য হয়ে দেশের বাইরে নিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, শুরুতে পাকিস্তানে নেওয়া হলে সেখানকার হাসপাতালে ইনফেকশন রেট (সংক্রমণ হার) বেশি হওয়ায় পরে তুরস্কে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যেহেতু দেশটি অনেকটা ইউরোপের মতোই, তাই সেবার মান ভালো হবে বিশ্বাস ছিল, বাস্তবেও হয়েছে তাই। তাদের হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা সর্বোচ্চ মানের। একমাস সেখানে থাকতে হয়েছে। কিডনি প্রতিস্থাপনের পর দ্রুতই সুস্থ হন বাবা ও কিডনিদাতা। যার প্রধান কারণ, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। তাদের হাসপাতালে সংক্রমণ হার নেই বললেই চলে।
খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে রোম্মান বলেন, বাবার কিডনির পাশাপাশি আরো বেশকিছু জটিলতা ছিল। চিকিৎসায় সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। তাদের সেবার যে মান, তাতে এটি খুব বেশি নয়। ফলোআপও তেমন করতে হয় না। প্রয়োজন হলে ভিডিওকলে পরামর্শ নেওয়া হয়।
বাংলাদেশিদের তুরস্কে চিকিৎসা গ্রহণে কাজ করছে তুরস্ক সরকারের অনুমোদিত একমাত্র মেডিকেল ট্যুরিজম কোম্পানি টার্কিশডক। যা বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত। কেবল তুরস্কে চিকিৎসা নিতে আগ্রহীদের নিয়ে কাজ করে তারা। এছাড়াও ভ্রমণ ও বিজনেস ভিসায় গিয়েও অনেকে চিকিৎসা নেন দেশটিতে।
২০২৩ সালে টার্কিশডকের যাত্রা শুরু। তবে প্রথম রোগী যান গত বছরের মার্চে। ওই বছরে ৩০ জন বাংলাদেশি তুরস্কে চিকিৎসা নিতে যান। চলতি বছরের আট অক্টোবর পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তি চিকিৎসা নিয়েছেন দেশটিতে। ভিসা পেলে যাবেন এমন রোগী অপেক্ষায় রয়েছেন অন্তত ৩০ জন। এছাড়াও চিকিৎসা কিনতে আগ্রহী আরো অর্ধশত রোগী আবেদন করেছেন বলে কোম্পানিটির সূত্রে জানা গেছে। সে অনুযায়ী এক বছরের ব্যবধানে তুরস্কমুখী রোগী বেড়েছে ছয়গুণ।
টার্কিশডক সূত্রে জানা গেছে, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ওকান ইউনিভার্সিটি হসপিটাল এবং মেডিকানা হাসপাতালে যান বাংলাদেশিরা। যেসব রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের ৭০ ভাগই গেছেন লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপনে, এরপরই বন্ধ্যত্বের সমস্যা দূরীকরণে। দেশটিতে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট চালু থাকা এবং কিডনি দাতার রক্তের সম্পর্কের বাধ্যবাধকতা না থাকায় সহজেই এসব জটিল চিকিৎসা নিতে পারছেন যে কেউ।
জানতে চাইলে টার্কিশডকের কান্ট্রি হেড এম নুরুজ্জামান রাজু আমার দেশকে বলেন, তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতিগত অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। বাংলাদেশের চিকিৎসাব্যবস্থা আগের তুলনায় অনেক এগিয়েছে। কিন্তু এখনো লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টে পিছিয়ে। কিডনি প্রতিস্থাপনও ঠিকমতো হচ্ছে না। ঢাকাসহ অনেক জায়গায় আইভিএফ সেন্টার হলেও ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রেই তারা প্রতারিতও হচ্ছেন।
তিনি বলেন, মূলত বাংলাদেশে এখনো টেকনোলজি ও ব্যবস্থাপনায় কিছুটা দুর্বলতার কারণেই এমনটা। সেদিক থেকে তুরস্ক অনেক বেশি আপডেট। বিশেষ করে তাদের হাসপাতালগুলোতে উন্নত ব্যবস্থাপনার কারণে সংক্রমণ হার শূন্য। ফলে রোগীরা কার্যকর চিকিৎসা পায় এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
তিনি আরো বলেন, তুরস্কে লিভার ও কিডনি প্রতিস্থানে সফলতার হার ৯৯ শতাংশের বেশি। মৃত্যুহার সর্বোচ্চ ১ শতাংশের মতো। তুর্কিরা ক্লোজ ল্যাপারেস্কপি সার্জারি করে, তাই রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়। এ কারণেই তুরস্কে আগ্রহ বাড়ছে খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুজ্জামান রাজু বলেন, বাংলাদেশিরা সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিলে যে খরচ হয়, তার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমে সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা পাওয়া যায় তুরস্কে। বন্ধ্যত্বের চিকিৎসায় থাকা, খাওয়া ও যাতায়াতসহ ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা লাগে। ভারতসহ অন্যান্য দেশে এই চিকিৎসা নিতে গিয়ে ইসলামী শরীয়তের কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে না। কিন্তু তুরস্কে শতভাগ ইসলামী শরীয়া মোতাবেক এই চিকিৎসা দেন চিকিৎসকরা। সেখানে অন্যজনের স্পার্মে নয়, স্বামী-স্ত্রীর স্পার্ম নিয়েই বাচ্চা জন্মদানে কাজ করা হয়। এছাড়াও লিভার প্রতিস্থাপনে ৪০ থেকে ৬৫ হাজার ডলার, কিডনিতে ২০ থেকে ২৫ হাজার ডলার, বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টে ৬২ হাজার থেকে ১ লাখ ডলারের মতো খরচ পড়ে।
রোগী ফলোআপের ক্ষেত্রে কী করা হয়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফলোআপের ক্ষেত্রে আমরা রোগীদের চেয়ে বরং চিকিৎসককে নিয়ে আসি। এতে করে রোগীদের বাড়তি খরচ হয় না। আগামী ডিসেম্বরেও একজন সার্জন আসার কথা রয়েছে।
চিকিৎসা প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, কেউ আবেদন করলে তার চিকিৎসার ইতিহাস (হিস্ট্রি) আমাদের চিকিৎসকদের কাছে পাঠানো হয়। এরপর তিন থেকে পাঁচ দিনের মাথায় কোন প্রক্রিয়া মেনে চিকিৎসা হবে সেটি চলে আসে। পরে তা রোগীর সঙ্গে বিস্তর আলোচনা করে সম্মত হলেই ভিসা কার্যক্রম শুরু হয়। যা পেতে ২১ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ কর্মদিবস লাগে। তবে খুব গুরুতর রোগী হলে আলাদা চিঠি দিলে ভিসা সেন্টার বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত ভিসা দেয়।

বাংলাদেশি রোগীদের বিদেশমুখী প্রবণতা নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরে ভারত ছিল তাদের প্রধান গন্তব্য। তবে জুলাই বিপ্লবের পর থেকে দেশটিতে যাওয়া উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এছাড়াও থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, চীন, মালয়েশিয়া, সৌদি আরবেও যান রোগীরা। এখন সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে তুরস্ক। বন্ধ্যত্ব দূরীকরণ, লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপন, হৃদরোগ, অর্থপেডিকসসহ নানা জটিল রোগের চিকিৎসায় দেশটির দুটি হাসপাতালে যাচ্ছেন এ দেশের রোগীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পর্যাপ্ত অবকাঠামো থাকার পরও যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ায় প্রতিবছর ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশি রোগী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন। এদের ৯০ ভাগই কিডনি ও লিভার প্রতিস্থাপন, ক্যানসার, হৃদরোগ ও বন্ধ্যত্বের চিকিৎসায়। বন্ধ্যত্ব রোগীদের চিকিৎসায় সরকারিভাবে দেশে বিশেষায়িত্ব কোনো হাসপাতালে নেই। গত কয়েক বছরে ২৫টি সহায়ক প্রজনন প্রযুক্তি আইভিএফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) সেন্টার গড়ে তোলা হয়। তবুও অধিকাংশ রোগী ভারতে যেতেন। এবার সেসব রোগীর গন্তব্য তুরস্কে।
দুটি কিডনি অকার্যকর হয়ে পড়া সাব্বির সরকার (ছদ্মনাম)। দেশের নামকরা একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস নিলেও সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো হাসপাতালেই প্রতিস্থাপনে আস্থা রাখতে পারেননি ৭৫ বছর বয়সি এই ব্যক্তি ও তার পরিবার। প্রতিস্থাপনে নেওয়া হয় পাকিস্তানে। কিন্তু সেখানকার হাসপাতালে ইনফেকশন রেট (সংক্রমণ হার) বেশি হওয়ায় এক স্বজনের পরামর্শে নেওয়া হয় তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ‘ওকান ইউনিভার্সিটি হসপিটালে’। চলতি বছরের জুনের শুরুতে সেখানেই কিডনি প্রতিস্থাপন হয় তার।
জানতে চাইলে সাব্বির সরকারের ছেলে রোম্মান আমার দেশকে বলেন, দেশে জ্বর নিয়ে গেলেও ১০ থেকে ১২টা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেন চিকিৎসক। রোগীর সঙ্গে ভালোমতো ব্যবহারও করেন না। অব্যবস্থাপনা আর অনিয়মের কারণে খুবই বাজে অবস্থা। তাই বড় বড় হাসপাতাল থাকলেও আস্থা রাখতে পারিনি। বাধ্য হয়ে দেশের বাইরে নিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, শুরুতে পাকিস্তানে নেওয়া হলে সেখানকার হাসপাতালে ইনফেকশন রেট (সংক্রমণ হার) বেশি হওয়ায় পরে তুরস্কে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যেহেতু দেশটি অনেকটা ইউরোপের মতোই, তাই সেবার মান ভালো হবে বিশ্বাস ছিল, বাস্তবেও হয়েছে তাই। তাদের হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা সর্বোচ্চ মানের। একমাস সেখানে থাকতে হয়েছে। কিডনি প্রতিস্থাপনের পর দ্রুতই সুস্থ হন বাবা ও কিডনিদাতা। যার প্রধান কারণ, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। তাদের হাসপাতালে সংক্রমণ হার নেই বললেই চলে।
খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে রোম্মান বলেন, বাবার কিডনির পাশাপাশি আরো বেশকিছু জটিলতা ছিল। চিকিৎসায় সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। তাদের সেবার যে মান, তাতে এটি খুব বেশি নয়। ফলোআপও তেমন করতে হয় না। প্রয়োজন হলে ভিডিওকলে পরামর্শ নেওয়া হয়।
বাংলাদেশিদের তুরস্কে চিকিৎসা গ্রহণে কাজ করছে তুরস্ক সরকারের অনুমোদিত একমাত্র মেডিকেল ট্যুরিজম কোম্পানি টার্কিশডক। যা বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত। কেবল তুরস্কে চিকিৎসা নিতে আগ্রহীদের নিয়ে কাজ করে তারা। এছাড়াও ভ্রমণ ও বিজনেস ভিসায় গিয়েও অনেকে চিকিৎসা নেন দেশটিতে।
২০২৩ সালে টার্কিশডকের যাত্রা শুরু। তবে প্রথম রোগী যান গত বছরের মার্চে। ওই বছরে ৩০ জন বাংলাদেশি তুরস্কে চিকিৎসা নিতে যান। চলতি বছরের আট অক্টোবর পর্যন্ত শতাধিক ব্যক্তি চিকিৎসা নিয়েছেন দেশটিতে। ভিসা পেলে যাবেন এমন রোগী অপেক্ষায় রয়েছেন অন্তত ৩০ জন। এছাড়াও চিকিৎসা কিনতে আগ্রহী আরো অর্ধশত রোগী আবেদন করেছেন বলে কোম্পানিটির সূত্রে জানা গেছে। সে অনুযায়ী এক বছরের ব্যবধানে তুরস্কমুখী রোগী বেড়েছে ছয়গুণ।
টার্কিশডক সূত্রে জানা গেছে, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ওকান ইউনিভার্সিটি হসপিটাল এবং মেডিকানা হাসপাতালে যান বাংলাদেশিরা। যেসব রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের ৭০ ভাগই গেছেন লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপনে, এরপরই বন্ধ্যত্বের সমস্যা দূরীকরণে। দেশটিতে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট চালু থাকা এবং কিডনি দাতার রক্তের সম্পর্কের বাধ্যবাধকতা না থাকায় সহজেই এসব জটিল চিকিৎসা নিতে পারছেন যে কেউ।
জানতে চাইলে টার্কিশডকের কান্ট্রি হেড এম নুরুজ্জামান রাজু আমার দেশকে বলেন, তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতিগত অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। বাংলাদেশের চিকিৎসাব্যবস্থা আগের তুলনায় অনেক এগিয়েছে। কিন্তু এখনো লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টে পিছিয়ে। কিডনি প্রতিস্থাপনও ঠিকমতো হচ্ছে না। ঢাকাসহ অনেক জায়গায় আইভিএফ সেন্টার হলেও ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রেই তারা প্রতারিতও হচ্ছেন।
তিনি বলেন, মূলত বাংলাদেশে এখনো টেকনোলজি ও ব্যবস্থাপনায় কিছুটা দুর্বলতার কারণেই এমনটা। সেদিক থেকে তুরস্ক অনেক বেশি আপডেট। বিশেষ করে তাদের হাসপাতালগুলোতে উন্নত ব্যবস্থাপনার কারণে সংক্রমণ হার শূন্য। ফলে রোগীরা কার্যকর চিকিৎসা পায় এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।
তিনি আরো বলেন, তুরস্কে লিভার ও কিডনি প্রতিস্থানে সফলতার হার ৯৯ শতাংশের বেশি। মৃত্যুহার সর্বোচ্চ ১ শতাংশের মতো। তুর্কিরা ক্লোজ ল্যাপারেস্কপি সার্জারি করে, তাই রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়। এ কারণেই তুরস্কে আগ্রহ বাড়ছে খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুজ্জামান রাজু বলেন, বাংলাদেশিরা সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিলে যে খরচ হয়, তার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমে সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা পাওয়া যায় তুরস্কে। বন্ধ্যত্বের চিকিৎসায় থাকা, খাওয়া ও যাতায়াতসহ ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা লাগে। ভারতসহ অন্যান্য দেশে এই চিকিৎসা নিতে গিয়ে ইসলামী শরীয়তের কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে না। কিন্তু তুরস্কে শতভাগ ইসলামী শরীয়া মোতাবেক এই চিকিৎসা দেন চিকিৎসকরা। সেখানে অন্যজনের স্পার্মে নয়, স্বামী-স্ত্রীর স্পার্ম নিয়েই বাচ্চা জন্মদানে কাজ করা হয়। এছাড়াও লিভার প্রতিস্থাপনে ৪০ থেকে ৬৫ হাজার ডলার, কিডনিতে ২০ থেকে ২৫ হাজার ডলার, বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টে ৬২ হাজার থেকে ১ লাখ ডলারের মতো খরচ পড়ে।
রোগী ফলোআপের ক্ষেত্রে কী করা হয়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফলোআপের ক্ষেত্রে আমরা রোগীদের চেয়ে বরং চিকিৎসককে নিয়ে আসি। এতে করে রোগীদের বাড়তি খরচ হয় না। আগামী ডিসেম্বরেও একজন সার্জন আসার কথা রয়েছে।
চিকিৎসা প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, কেউ আবেদন করলে তার চিকিৎসার ইতিহাস (হিস্ট্রি) আমাদের চিকিৎসকদের কাছে পাঠানো হয়। এরপর তিন থেকে পাঁচ দিনের মাথায় কোন প্রক্রিয়া মেনে চিকিৎসা হবে সেটি চলে আসে। পরে তা রোগীর সঙ্গে বিস্তর আলোচনা করে সম্মত হলেই ভিসা কার্যক্রম শুরু হয়। যা পেতে ২১ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ কর্মদিবস লাগে। তবে খুব গুরুতর রোগী হলে আলাদা চিঠি দিলে ভিসা সেন্টার বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত ভিসা দেয়।

রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর লেক এখন অস্তিত্বহীন। বলতে গেলে ২৪ একর আয়তনের বৃহৎ এ জলাশয় উধাও হয়ে গেছে। আর এ বিষয়টি সরাসরি কর্তৃপক্ষই বলছে। এ নিয়ে বারবার তদন্ত হয়, প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা হয়, বোর্ড মিটিং হয়, সিদ্ধান্ত হয়; কিন্তু বাস্তব রূপে ফিরে আসে না এ লেক। উল্টো বিগত বছরগুলোতে লেকের ভেতরেও প্লট সাজিয়
১৪ ঘণ্টা আগে
গভীর মনোযোগের সঙ্গে নিখুঁতভাবে মালা গেঁথে চলেছেন ৩৫ বছর বয়সি আয়শা। নববধূর চুলের খোঁপায় পরবে বলে গাজরা মালা গাঁথছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, তার গাঁথা মালায় সাজে অনেক মেয়ের বাসরঘর এবং নববধূকে বহনকারী বরের গাড়ি। এভাবেই প্রতিদিন অনেকের নতুন জীবন শুরু হয় তারই হাতের গাঁথা মালায়।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পতন ঘটিয়ে নতুন সরকার গঠনের বড় একটি ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়েছে। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম (মাসুদ করিম) সম্প্রতি রিমান্ডে ও আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এ ষড়যন্ত্র ফাঁস করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলনিরপেক্ষ কর্মকর্তা খুঁজতে হয়রান অবস্থা নির্বাচন কমিশন বা ইসির। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে দলীয়করণের মাধ্যমে পুলিশ-প্রশাসন থেকে সর্বত্রই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল অনুগতদের। ফলে এখন বিতর্কমুক্ত কর্মকর্তা খুঁজতে গিয়ে বড় ধরনের বিপাকে পড়তে হচ্ছে ইসিকে।
১৭ ঘণ্টা আগে