সবচেয়ে বড় লঞ্চ টার্মিনাল
রাকিব হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ
আগের জৌলুস হারিয়েছে ঢাকার প্রাচীন নদীবন্দর সদরঘাট। প্রাণ চাঞ্চল্য কমে গেছে লঞ্চযাত্রী পরিবহনে। নদীপথে যাত্রী কমেছে ৬০ ভাগ। এখন আর চোখে পড়ে না যাত্রীদের ব্যাগ-ব্যাগেজ নিয়ে কুলি-মজুরের টানাটানি। কমেছে ফালপার্টি, মলম পার্টি, জুয়ার আসর, জুতা চোর, ছিঁচকে চোর ও পকেটমারের দৌরাত্ম্য।
টার্মিনাল ও পন্টুনগুলো দিনের বেশিরভাগ সময় থাকে নিষ্ক্রিয় অলসভাবে। গত ৯ আগস্ট সরেজমিনে সদরঘাটের এই চিত্র চোখে পড়ে।
প্রাচীন ঢাকার বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে ওঠা ঐতিহ্যবাহী সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাতায়াতের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এই বন্দরের কার্যকারিতা কমে গেছে অনেকটাই ।
টার্মিনালের সামনের ব্যস্ততম ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মতৎপরতাও কমে গেছে। এখানে আগে লঞ্চ ও স্টিমারে পু-পা ধ্বনি এবং যাত্রীদের কোলাহল ও মানুষের ভিড় লেগে থাকত দিন-রাত। ছোট ছোট খাবারের দোকান দেখতে পাওয়া যেত। এখন দোকানের সংখ্যা কমে গেছে। কমেছে লঞ্চ ও স্টিমারের শব্দ । মানুষের হাঁকডাক এবং যানবাহনের চলাচলও আগের মতো নেই।
পদ্মা সেতুর কারণে সদরঘাট দিয়ে যাত্রী পরিবহন কমেছে ৬০ ভাগ। রাজস্ব কমেছে ৩০ শতাংশ। লঞ্চের রুট বন্ধ হয়ে গেছে ১০টি। ১২৫টি লঞ্চের জায়গায় এখন চলছে মাত্র ৩৫ থেকে ৪০টি।
তবে বর্তমান সরকারের আমলে উন্নত হয়েছে সদরঘাটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। একটি সেনাক্যাম্প বদলে দিয়েছে সদরঘাটের চিত্র। উপদ্রব কমেছে মলম পার্টি, জুয়ার আসর, জুতা চোর, ছিঁচকে চোর ও পকেটমারের।
সদরঘাট টার্মিনালের সামনে ফল বিক্রেতা মোবারক জানায়, আগে এই ঘাটে তার মতো শতাধিক মানুষ ফেরি করে ফল বিক্রি করত। এখন সদরঘাটে যাত্রী কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীর সংখ্যাও কমেছে। এখন ৩০ থেকে ৩৫ জন লোক ফেরি করে ফল, রুটি, কলা, আইসক্রিমসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করেন।
লঞ্চ মালিক সমিতি বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি এ কে এম মাহমুদুর রহমান জানান, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়। এই সেতু উদ্বোধনের পর থেকে লঞ্চ মালিকদের কপাল পুড়েছে।
আগে যেখানে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ হাজার যাত্রী লঞ্চে যাতায়াত করত এখন ২০ থেকে ২৫ হাজার যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াত করছে। লঞ্চের সংখ্যা অনেক কমেছে। আগে ১২৫ /১৪০টি লঞ্চ নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করত। এখন যাত্রী পরিবহন হয় ৩৫ থেকে ৪০টি লঞ্চে।
ব্যবসা মন্দা হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী লঞ্চ কেটে কেজি দরে লোহা বিক্রি করে দিয়েছেন। যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে লঞ্চ তৈরি করেছেন তারা লোনের টাকা পরিশোধ না করতে পেরে দেউলিয়া হয়ে গেছেন। যাত্রী কমে যাওয়ায় কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন ডকইয়ার্ডে অনেক লঞ্চ পড়ে আছে। চালানোর সুযোগ পাচ্ছে না।
ব্যবসা খারাপ হওয়ায় মালিকরা কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন দিতে না পারায় অনেক লঞ্চের খালাসি, সুকানি, হেল্পার চাকরি ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছে।
ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্মপরিচালক (ট্রাফিক) মো. মোবারক হোসেন জানান, ঢাকার সদরঘাট পন্টুন থেকে দক্ষিণ বঙ্গের বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, চরফ্যাশন, হাতিয়াসহ প্রতিদিন ৪৭টি রুটে ১২৫ থেকে ১৪০টি যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে যেত। যাত্রী না পাওয়ায় মাদারীপুর, বান্দুরাসহ লঞ্চ চলাচলের ১০টি রুট স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এই দশটি রুটের ৫টিতে শুধু ঈদ মৌসুমে লঞ্চ চলাচল করে।
ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন বিভাগ) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সদরঘাটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেন, সদরঘাট টার্মিনালের পূর্ব পাশে লালকুঠি সাইকেল মাঠ এলাকায় সেনা সদস্যদের ক্যাম্প স্থাপন করায় সদরঘাটের যাত্রীরা অনেকটা নিরাপদে চলাচল করতে পারছেন।
আগের মতো লাল বাহিনী, হলুদ বাহিনী এবং ফালপার্টি, মলম পার্টি, জুয়ার আসর, জুতা চোর, ছিঁচকে চোর ও পকেটমারের দৌরাত্ম্য নেই।
তবে যাত্রী কমে যাওয়ায় সদরঘাটসহ আশপাশের কয়েকটি শুল্ক আদায় কেন্দ্র থেকে শুল্ক আদায় কমেছে প্রায় ৩০%। সদরঘাটসহ ৫টি নৌঘাট মামলাজনিত কারণে বন্ধ রয়েছে। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হলে সদরঘাট থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়বে।
আগের জৌলুস হারিয়েছে ঢাকার প্রাচীন নদীবন্দর সদরঘাট। প্রাণ চাঞ্চল্য কমে গেছে লঞ্চযাত্রী পরিবহনে। নদীপথে যাত্রী কমেছে ৬০ ভাগ। এখন আর চোখে পড়ে না যাত্রীদের ব্যাগ-ব্যাগেজ নিয়ে কুলি-মজুরের টানাটানি। কমেছে ফালপার্টি, মলম পার্টি, জুয়ার আসর, জুতা চোর, ছিঁচকে চোর ও পকেটমারের দৌরাত্ম্য।
টার্মিনাল ও পন্টুনগুলো দিনের বেশিরভাগ সময় থাকে নিষ্ক্রিয় অলসভাবে। গত ৯ আগস্ট সরেজমিনে সদরঘাটের এই চিত্র চোখে পড়ে।
প্রাচীন ঢাকার বুড়িগঙ্গার তীরে গড়ে ওঠা ঐতিহ্যবাহী সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাতায়াতের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এই বন্দরের কার্যকারিতা কমে গেছে অনেকটাই ।
টার্মিনালের সামনের ব্যস্ততম ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মতৎপরতাও কমে গেছে। এখানে আগে লঞ্চ ও স্টিমারে পু-পা ধ্বনি এবং যাত্রীদের কোলাহল ও মানুষের ভিড় লেগে থাকত দিন-রাত। ছোট ছোট খাবারের দোকান দেখতে পাওয়া যেত। এখন দোকানের সংখ্যা কমে গেছে। কমেছে লঞ্চ ও স্টিমারের শব্দ । মানুষের হাঁকডাক এবং যানবাহনের চলাচলও আগের মতো নেই।
পদ্মা সেতুর কারণে সদরঘাট দিয়ে যাত্রী পরিবহন কমেছে ৬০ ভাগ। রাজস্ব কমেছে ৩০ শতাংশ। লঞ্চের রুট বন্ধ হয়ে গেছে ১০টি। ১২৫টি লঞ্চের জায়গায় এখন চলছে মাত্র ৩৫ থেকে ৪০টি।
তবে বর্তমান সরকারের আমলে উন্নত হয়েছে সদরঘাটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। একটি সেনাক্যাম্প বদলে দিয়েছে সদরঘাটের চিত্র। উপদ্রব কমেছে মলম পার্টি, জুয়ার আসর, জুতা চোর, ছিঁচকে চোর ও পকেটমারের।
সদরঘাট টার্মিনালের সামনে ফল বিক্রেতা মোবারক জানায়, আগে এই ঘাটে তার মতো শতাধিক মানুষ ফেরি করে ফল বিক্রি করত। এখন সদরঘাটে যাত্রী কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীর সংখ্যাও কমেছে। এখন ৩০ থেকে ৩৫ জন লোক ফেরি করে ফল, রুটি, কলা, আইসক্রিমসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করেন।
লঞ্চ মালিক সমিতি বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি এ কে এম মাহমুদুর রহমান জানান, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়। এই সেতু উদ্বোধনের পর থেকে লঞ্চ মালিকদের কপাল পুড়েছে।
আগে যেখানে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ হাজার যাত্রী লঞ্চে যাতায়াত করত এখন ২০ থেকে ২৫ হাজার যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াত করছে। লঞ্চের সংখ্যা অনেক কমেছে। আগে ১২৫ /১৪০টি লঞ্চ নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করত। এখন যাত্রী পরিবহন হয় ৩৫ থেকে ৪০টি লঞ্চে।
ব্যবসা মন্দা হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী লঞ্চ কেটে কেজি দরে লোহা বিক্রি করে দিয়েছেন। যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে লঞ্চ তৈরি করেছেন তারা লোনের টাকা পরিশোধ না করতে পেরে দেউলিয়া হয়ে গেছেন। যাত্রী কমে যাওয়ায় কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন ডকইয়ার্ডে অনেক লঞ্চ পড়ে আছে। চালানোর সুযোগ পাচ্ছে না।
ব্যবসা খারাপ হওয়ায় মালিকরা কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন দিতে না পারায় অনেক লঞ্চের খালাসি, সুকানি, হেল্পার চাকরি ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছে।
ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্মপরিচালক (ট্রাফিক) মো. মোবারক হোসেন জানান, ঢাকার সদরঘাট পন্টুন থেকে দক্ষিণ বঙ্গের বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, চরফ্যাশন, হাতিয়াসহ প্রতিদিন ৪৭টি রুটে ১২৫ থেকে ১৪০টি যাত্রীবাহী লঞ্চ ছেড়ে যেত। যাত্রী না পাওয়ায় মাদারীপুর, বান্দুরাসহ লঞ্চ চলাচলের ১০টি রুট স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এই দশটি রুটের ৫টিতে শুধু ঈদ মৌসুমে লঞ্চ চলাচল করে।
ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন বিভাগ) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সদরঘাটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেন, সদরঘাট টার্মিনালের পূর্ব পাশে লালকুঠি সাইকেল মাঠ এলাকায় সেনা সদস্যদের ক্যাম্প স্থাপন করায় সদরঘাটের যাত্রীরা অনেকটা নিরাপদে চলাচল করতে পারছেন।
আগের মতো লাল বাহিনী, হলুদ বাহিনী এবং ফালপার্টি, মলম পার্টি, জুয়ার আসর, জুতা চোর, ছিঁচকে চোর ও পকেটমারের দৌরাত্ম্য নেই।
তবে যাত্রী কমে যাওয়ায় সদরঘাটসহ আশপাশের কয়েকটি শুল্ক আদায় কেন্দ্র থেকে শুল্ক আদায় কমেছে প্রায় ৩০%। সদরঘাটসহ ৫টি নৌঘাট মামলাজনিত কারণে বন্ধ রয়েছে। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হলে সদরঘাট থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়বে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিভিন্ন মেরূকরণ। এ নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে, কোন দল কার সঙ্গে সমঝোতা বা জোট করে ভোট করবেÑএসব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তৎপরতাও জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনীলের দেশখ্যাত নীলফামারী দীর্ঘদিন শোষণ করেছিল ইংরেজরা। তাদের স্থানীয় নিপীড়ক নীলকরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন উত্তরের এই জেলার চাষিরা। ২০০ বছর পর সেই নিষ্ঠুর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেন আওয়ামী ‘কসাই’খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর।
১৬ ঘণ্টা আগেআগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদেরই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন ডিসিসহ ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
২ দিন আগেবছরের প্রায় ১০ মাস পার হলেও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ শুরু হয়নি। এমনকি পাঠ্যবইয়ের কনটেন্টও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি; এখনো চলছে পরিবর্তন-পরিমার্জনের কাজ। এছাড়া ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনও মেলেনি এখনো।
২ দিন আগে