আল-আমিন
টাওয়ার সমস্যায় ধুঁকছে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ জেলার নেটওয়ার্ক। লক্ষ্মীছড়ি, পানিছড়ি, দীঘিনালা, মানিকছড়ি ও নানিয়ারচর এলাকায় টাওয়ারের সংখ্যা কম হওয়ার কারণে ওই এলাকায় নেটওয়ার্ক পেতে ভোগান্তির শিকার হন সেখানকার বাসিন্দারা। অনেকেই নিজ এলাকায় নেটওয়ার্ক না পেয়ে বাজারে এসে মোবাইলে কথা বলেন। সেখানে আবার রয়েছে ইন্টারনেটে নিম্নগতি। সহজেই কোনো ফাইল ডাউনলোড হয় না। এতে গ্রাহকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এর প্রভাব পড়ছে জাতীয় অর্থনীতিতে।
জানা যায়, ৩ পার্বত্য জেলায় টেলিটকের ১৯৫টি টাওয়ার রয়েছে। পাশাপাশি আরো ১৪২টি টাওয়ার স্থাপনের কাজ চলমান। কিন্তু আরো ৩ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবির টাওয়ারের সংখ্যা তুলনামূলক কম। তিন অপারেটরের মধ্যে গ্রামীণফোনের টাওয়ারের সংখ্যা মাত্র ৭৫টি। সম্প্রতি পার্বত্য এলাকায় রবির ৪৯টি টাওয়ারে হামলার কারণে ওই এলাকার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা আরো দুর্বল হয়েছে। বাংলালিংকের টাওয়ারের সংখ্যা ৫৫টি।
জানা গেছে, শক্তিশালী টাওয়ার সংযোগ না থাকার কারণে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক দুর্বল। এতে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক দুর্গম এলাকায় মোবাইল যোগাযোগই একমাত্র ভরসা। অনেকেই ফোন দিয়ে বিভিন্ন সমস্যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানান। অনেক রোগী মোবাইলে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকেন। এমনকি জরুরি মুহূর্তে অ্যাম্বুলেন্সও ডাকতে বেগ পেতে হয়।
টাওয়ার স্থাপনের কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টরা বলছে, নানামুখী কারণে ওই এলাকায় টাওয়ার সমস্যা রয়েছে। প্রথমত, পাহাড়ি এলাকা হওয়ার কারণে ওই এলাকায় টাওয়ার স্থাপনে গড়িমসি করে মোবাইল অপারেটররা। এ ছাড়াও টাওয়ার স্থাপনের পর পাহাড়ি দুর্বৃত্তদের চাঁদা দিতে হয়।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী আমার দেশকে বলেন, পার্বত্য এলাকায় টেলিটকের ১৯৫টি টাওয়ার রয়েছে। আরো টাওয়ার স্থাপনের কাজ চলমান।
রবি আজিয়াটার হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলম জানান, রবির তিন জেলায় ৪৯টি টাওয়ার রয়েছে। তাদের নেটওয়ার্কে ইন্টারনেট সেবা উন্নত। কিন্তু কিছুদিন আগে রবির টাওয়ারে হামলা হয়েছে। এখনো ২৬টি টাওয়ারে সংযোগ দেওয়া যায়নি। মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জানা গেছে, পার্বত্য এলাকায় টাওয়ার স্থাপন করা কষ্টসাধ্য কাজ। টাওয়ারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়াও কঠিন। এ ছাড়াও টাওয়ার রক্ষণাবেক্ষণ করতে সেখানে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত করতে হয়। পাহাড়ি এলাকা হওয়ার কারণে অনেক নিরাপত্তারক্ষী সেখানে দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করেন।
সূত্র জানায়, টাওয়ার স্থাপন করলেই সন্ত্রাসীরা সেখানে চাঁদা চেয়ে টাওয়ার প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয়। তখন দুর্বৃত্তদের চাঁদা দিতে বাধ্য হন মোবাইল অপারেটররা। চাঁদা না দিলে টাওয়ারের ফাইবারে হামলা চালানো হয়।
রাঙামাটি সদরের বাসিন্দা মামাংচিং জানান, মোবাইল টাওয়ারের সমস্যা চলতে থাকায় যোগাযোগে খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। টাওয়ারগুলোতে সন্ত্রাসী হামলার কারণে আইনশৃঙ্খলা নিয়েও এলাকাবাসীর মধ্যে শঙ্কা রয়েছে। সরকারের সহায়তায় দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক, না হলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।
খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ির বাসিন্দা শাহ আলম জানান, অনেক সময় তো জরুরি যোগাযোগও করতে পারি না। বিশেষ করে রোগী হলে অথবা কোনো দুর্ঘটনা হলে দ্রুত সাহায্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
টাওয়ার সমস্যায় ধুঁকছে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ জেলার নেটওয়ার্ক। লক্ষ্মীছড়ি, পানিছড়ি, দীঘিনালা, মানিকছড়ি ও নানিয়ারচর এলাকায় টাওয়ারের সংখ্যা কম হওয়ার কারণে ওই এলাকায় নেটওয়ার্ক পেতে ভোগান্তির শিকার হন সেখানকার বাসিন্দারা। অনেকেই নিজ এলাকায় নেটওয়ার্ক না পেয়ে বাজারে এসে মোবাইলে কথা বলেন। সেখানে আবার রয়েছে ইন্টারনেটে নিম্নগতি। সহজেই কোনো ফাইল ডাউনলোড হয় না। এতে গ্রাহকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এর প্রভাব পড়ছে জাতীয় অর্থনীতিতে।
জানা যায়, ৩ পার্বত্য জেলায় টেলিটকের ১৯৫টি টাওয়ার রয়েছে। পাশাপাশি আরো ১৪২টি টাওয়ার স্থাপনের কাজ চলমান। কিন্তু আরো ৩ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবির টাওয়ারের সংখ্যা তুলনামূলক কম। তিন অপারেটরের মধ্যে গ্রামীণফোনের টাওয়ারের সংখ্যা মাত্র ৭৫টি। সম্প্রতি পার্বত্য এলাকায় রবির ৪৯টি টাওয়ারে হামলার কারণে ওই এলাকার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা আরো দুর্বল হয়েছে। বাংলালিংকের টাওয়ারের সংখ্যা ৫৫টি।
জানা গেছে, শক্তিশালী টাওয়ার সংযোগ না থাকার কারণে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক দুর্বল। এতে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক দুর্গম এলাকায় মোবাইল যোগাযোগই একমাত্র ভরসা। অনেকেই ফোন দিয়ে বিভিন্ন সমস্যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানান। অনেক রোগী মোবাইলে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকেন। এমনকি জরুরি মুহূর্তে অ্যাম্বুলেন্সও ডাকতে বেগ পেতে হয়।
টাওয়ার স্থাপনের কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টরা বলছে, নানামুখী কারণে ওই এলাকায় টাওয়ার সমস্যা রয়েছে। প্রথমত, পাহাড়ি এলাকা হওয়ার কারণে ওই এলাকায় টাওয়ার স্থাপনে গড়িমসি করে মোবাইল অপারেটররা। এ ছাড়াও টাওয়ার স্থাপনের পর পাহাড়ি দুর্বৃত্তদের চাঁদা দিতে হয়।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী আমার দেশকে বলেন, পার্বত্য এলাকায় টেলিটকের ১৯৫টি টাওয়ার রয়েছে। আরো টাওয়ার স্থাপনের কাজ চলমান।
রবি আজিয়াটার হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলম জানান, রবির তিন জেলায় ৪৯টি টাওয়ার রয়েছে। তাদের নেটওয়ার্কে ইন্টারনেট সেবা উন্নত। কিন্তু কিছুদিন আগে রবির টাওয়ারে হামলা হয়েছে। এখনো ২৬টি টাওয়ারে সংযোগ দেওয়া যায়নি। মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জানা গেছে, পার্বত্য এলাকায় টাওয়ার স্থাপন করা কষ্টসাধ্য কাজ। টাওয়ারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়াও কঠিন। এ ছাড়াও টাওয়ার রক্ষণাবেক্ষণ করতে সেখানে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত করতে হয়। পাহাড়ি এলাকা হওয়ার কারণে অনেক নিরাপত্তারক্ষী সেখানে দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করেন।
সূত্র জানায়, টাওয়ার স্থাপন করলেই সন্ত্রাসীরা সেখানে চাঁদা চেয়ে টাওয়ার প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয়। তখন দুর্বৃত্তদের চাঁদা দিতে বাধ্য হন মোবাইল অপারেটররা। চাঁদা না দিলে টাওয়ারের ফাইবারে হামলা চালানো হয়।
রাঙামাটি সদরের বাসিন্দা মামাংচিং জানান, মোবাইল টাওয়ারের সমস্যা চলতে থাকায় যোগাযোগে খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। টাওয়ারগুলোতে সন্ত্রাসী হামলার কারণে আইনশৃঙ্খলা নিয়েও এলাকাবাসীর মধ্যে শঙ্কা রয়েছে। সরকারের সহায়তায় দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক, না হলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।
খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ির বাসিন্দা শাহ আলম জানান, অনেক সময় তো জরুরি যোগাযোগও করতে পারি না। বিশেষ করে রোগী হলে অথবা কোনো দুর্ঘটনা হলে দ্রুত সাহায্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিভিন্ন মেরূকরণ। এ নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে, কোন দল কার সঙ্গে সমঝোতা বা জোট করে ভোট করবেÑএসব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তৎপরতাও জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেনীলের দেশখ্যাত নীলফামারী দীর্ঘদিন শোষণ করেছিল ইংরেজরা। তাদের স্থানীয় নিপীড়ক নীলকরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন উত্তরের এই জেলার চাষিরা। ২০০ বছর পর সেই নিষ্ঠুর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেন আওয়ামী ‘কসাই’খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর।
১৭ ঘণ্টা আগেআগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদেরই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন ডিসিসহ ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
২ দিন আগেবছরের প্রায় ১০ মাস পার হলেও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ শুরু হয়নি। এমনকি পাঠ্যবইয়ের কনটেন্টও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি; এখনো চলছে পরিবর্তন-পরিমার্জনের কাজ। এছাড়া ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনও মেলেনি এখনো।
২ দিন আগে