এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী
সীমানা নির্ধারণের এক দশক পরও ফেনীর মুহুরীর চরের ৯২ একর জায়গায় যেতে পারছে না বাংলাদেশিরা। জেলার পরশুরাম উপজেলার এই জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টির পর এক দশক আগে দুই দেশের মহাপরিচালক পর্যায়ের যৌথ জরিপ দলের সমন্বয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। তবু স্থায়ী পিলার স্থাপনে অনীহা রয়েছে ভারতের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উক্ত উপজেলার নিজ কালিকাপুর সীমান্তবর্তী ২১৫৯ পিলার থেকে বিলোনীয়া স্থলবন্দরের ২১৬০ পর্যন্ত এ পিলার দুটির মাঝখানে প্রায় ৪৭টি সাব-পিলার নদীতে বিলীন হওয়ায় এ বিরোধ সৃষ্টি হয়। সীমানা নির্ধারণ করে ওই সময় সেখানে কাঠের পিলার স্থাপন করে দিলেও ভারতের পক্ষ থেকে স্থায়ী পিলার নির্মাণের সম্মতির অভাবে এখন পর্যন্ত এ সমস্যাটি রয়েই গেছে।
এ দিকে চলতি বছর ভারতীয় পানি আগ্রাসনে ফেনীতে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মুহুরীর চর এলাকার নিজ কালিকাপুরের বল্লারমুখ সীমান্ত এলাকায় বেড়িবাঁধ পুনর্নির্মাণ গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু মুহুরীর চরের এ বিরোধ এক দশক পরও ঝুলে থাকায় এ ব্যাপারেও ঠিকাদারদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিরোধপূর্ণ সীমান্ত সমস্যার সমাধান না হওয়ার সুযোগে চোরাকারবারি ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিরাপদ পয়েন্ট হিসেবে এলাকাটির ব্যবহার বাড়ছে। মুহুরীর চর এলাকায় বিলোনিয়া স্থলবন্দর হওয়ায় সন্ত্রাসী তৎপরতা ও মাদক পাচারসহ বিভিন্ন সীমান্ত অপরাধের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে দুটি দেশ।
এ ছাড়া ২০১৬ সালের ১২ অক্টোবর বিরোধপূর্ণ মুহুরী চর সরেজমিন দেখতে এসে দুই দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন তৎকালীন আওয়ামী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভীসহ সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একাধিকবার বিরোধপূর্ণ এ মুহুরীর চর এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন।
মুহুরীর চরের বিরোধ মীমাংসা ও সীমানা নির্ধারণে একাধিকবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়েও আলোচনা হয়েছিল কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শুধু ভারতের অসহযোগিতা ও বাংলাদেশের তৎকালীন নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে এ পর্যন্ত কার্যত এর ফল হয়েছে শূন্য- এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
২০১৭ সালের ১৫ জুলাই বিলোনিয়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মহাপরিচালক বাংলাদেশে এসে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে দীর্ঘদিনের ঝুলে থাকা মুহুরীর চর সমস্যার স্থায়ী সমাধানের আশাবাদ শুনিয়েছিলেন। এরপর জমি ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আশায় বুক বেঁধেছিলেন বাংলাদেশিরা।
কিন্তু দুদেশের যৌথ জরিপ দলের নির্ধারণ করে দেওয়া সীমানায় স্থায়ী পিলার স্থাপনে ভারতের অনীহার কারণেই মূলত ঝুলে রয়েছে মুহুরীর চর বিরোধ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মুহুরীর চর দখলে রাখতে ১৯৭৯ থেকে ১৯৯৯ সালের ২২ আগস্ট পর্যন্ত ভারতীয় বিএসএফ ও বিজিবির (বিডিআর) মধ্যে গুলিবিনিময় হয়েছে। ১৯৯৪ সালের ১৫ জানুয়ারি বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারান বাংলাদেশের বাউর পাথর গ্রামের বেয়াধন বিবি (৪০)।
চরে নিজেদের জমির অধিকার ফিরে পেতে এ পর্যন্ত শতাধিক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিকদের হাতে। দীর্ঘদিনের বিরোধপূর্ণ মুহুরীর চরের ২ দশমিক ৫ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। ২০১১ সালে বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তর এ সীমানা চিহ্নিতের উদ্যোগ নিলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে উভয় দেশের জরিপ বিভাগ মুহুরীর চরে জরিপ চালায়। মহাপরিচালক পর্যায়ে দুদেশের জরিপ শেষে সীমানা নির্ধারণ করে কাঠের পিলার স্থাপন করা হয়। সে সময় গওহর রিজভী মুহুরীর চর সফরে এসে বলেছিলেন, ভারতের সংসদে অনুমোদনের পর পাকা সীমানা পিলার স্থাপন হলে মুহুরীর চরের দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তি হবে। ওই সময় দুদেশের জরিপ দল অস্থায়ী পিলার স্থাপনের পর বাংলাদেশ কমপক্ষে ৬০-৭০ একর জমি ফেরত পেয়েছে বলে এলাকাবাসী ও গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়।
অথচ ২০২৪ সালের শেষ প্রান্তে এসেও এখনও সেখানে চাষাবাদ তো দূরের কথা, ওই জমিতে যেতেই পারছে না বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যৌথ জরিপ দলের স্থাপন করা অস্থায়ী পিলারের স্থলে স্থায়ী পিলার স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হলেও ভারতের সাড়া মিলছে না বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
স্থানীয়দের দাবি, ভূ-রাজনৈতিক ও কৌশলগত দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের সার্বভৌম অঞ্চল মুহুরীর চরের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভারত দখলে নিয়েছে। এ ছাড়া উন্নততর প্রকৌশল প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের মুহুরী নদীতে স্পার ও গ্রোয়েন নির্মাণের মাধ্যমে নদীর গতিধারাকে ভারত ক্রমান্বয়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে বাংলাদেশের ভূ-অভ্যন্তরে সুকৌশলে বিলোনিয়ার পাশে নিজ কালিকাপুর গ্রামের মুহুরী নদীর বাঁকে চরের অংশটি মূল চরের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এ কারণে ক্রমাগত উত্তর অংশে (ভারত) চরের সৃষ্টি হয়ে নদী মোহনা বাংলাদেশের গভীরে ঢুকে যাচ্ছে। দুদেশের সীমানা হিসেবে মুহুরী নদীর মধ্য গ্রোথকে নির্ধারণ করা হয়। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি) আবারও মধ্য গ্রোথকে উভয় দেশের সীমানা হিসেবে নির্ধারণ করে।
এরপর ১৯৭৬ সালে ভারত নিজ অঞ্চলের সীমান্ত শহরে বিলোনিয়াকে নদীভাঙন থেকে রক্ষার কথা বলে প্রথমে বাংলাদেশ সীমান্তের কয়েক শ’ মিটার উজানে গ্রোয়েন নির্মাণ করে। আর তখন থেকে মুহুরী নদীর গতিপথ পূর্ব থেকে পশ্চিমে মোড় নিতে শুরু করে।
সেখানে জমি হারানো বাংলাদেশিরা নিজেদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। নিজেদের জমিতে চাষাবাদ করতে চান তারা। পরশুরাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল হালিম মানিক বলেন, তারা মুহুরী চরের জমির ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে ও সেখানে চাষাবাদ শুরু করতে চান। পরশুরাম উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, দুদেশের সীমান্তবাসীর নিরাপত্তা ও দেশের স্বার্থে মুহুরীর চরের জমি নিয়ে বিরোধের দ্রুত সমাধান হওয়া খুবই জরুরি।
ফেনীর বিজিবি-৪-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, দুদেশের জরিপদলের নির্ধারিত সীমানায় কাঠের পিলার রয়েছে। তবে বিরোধপূর্ণ জায়গায় কেউ চাষাবাদ করতে পারছে না।
ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. পারভেজ মিয়া আমার দেশকে বলেন, দুদেশের জরিপ দল বিষয়টি মীমাংসার লক্ষ্যে পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণের পরও আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র পরবর্তী সময়ে তা মেনে নিতে গড়িমসি করেছে। ফলে বিষয়টি অমীমাংসীত রয়ে গেছে। বর্তমানে বিষয়টি দুদেশের রাষ্ট্রীয় উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে।
সীমানা নির্ধারণের এক দশক পরও ফেনীর মুহুরীর চরের ৯২ একর জায়গায় যেতে পারছে না বাংলাদেশিরা। জেলার পরশুরাম উপজেলার এই জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টির পর এক দশক আগে দুই দেশের মহাপরিচালক পর্যায়ের যৌথ জরিপ দলের সমন্বয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। তবু স্থায়ী পিলার স্থাপনে অনীহা রয়েছে ভারতের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উক্ত উপজেলার নিজ কালিকাপুর সীমান্তবর্তী ২১৫৯ পিলার থেকে বিলোনীয়া স্থলবন্দরের ২১৬০ পর্যন্ত এ পিলার দুটির মাঝখানে প্রায় ৪৭টি সাব-পিলার নদীতে বিলীন হওয়ায় এ বিরোধ সৃষ্টি হয়। সীমানা নির্ধারণ করে ওই সময় সেখানে কাঠের পিলার স্থাপন করে দিলেও ভারতের পক্ষ থেকে স্থায়ী পিলার নির্মাণের সম্মতির অভাবে এখন পর্যন্ত এ সমস্যাটি রয়েই গেছে।
এ দিকে চলতি বছর ভারতীয় পানি আগ্রাসনে ফেনীতে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মুহুরীর চর এলাকার নিজ কালিকাপুরের বল্লারমুখ সীমান্ত এলাকায় বেড়িবাঁধ পুনর্নির্মাণ গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু মুহুরীর চরের এ বিরোধ এক দশক পরও ঝুলে থাকায় এ ব্যাপারেও ঠিকাদারদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিরোধপূর্ণ সীমান্ত সমস্যার সমাধান না হওয়ার সুযোগে চোরাকারবারি ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিরাপদ পয়েন্ট হিসেবে এলাকাটির ব্যবহার বাড়ছে। মুহুরীর চর এলাকায় বিলোনিয়া স্থলবন্দর হওয়ায় সন্ত্রাসী তৎপরতা ও মাদক পাচারসহ বিভিন্ন সীমান্ত অপরাধের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে দুটি দেশ।
এ ছাড়া ২০১৬ সালের ১২ অক্টোবর বিরোধপূর্ণ মুহুরী চর সরেজমিন দেখতে এসে দুই দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন তৎকালীন আওয়ামী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভীসহ সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একাধিকবার বিরোধপূর্ণ এ মুহুরীর চর এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন।
মুহুরীর চরের বিরোধ মীমাংসা ও সীমানা নির্ধারণে একাধিকবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়েও আলোচনা হয়েছিল কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শুধু ভারতের অসহযোগিতা ও বাংলাদেশের তৎকালীন নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে এ পর্যন্ত কার্যত এর ফল হয়েছে শূন্য- এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
২০১৭ সালের ১৫ জুলাই বিলোনিয়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মহাপরিচালক বাংলাদেশে এসে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে দীর্ঘদিনের ঝুলে থাকা মুহুরীর চর সমস্যার স্থায়ী সমাধানের আশাবাদ শুনিয়েছিলেন। এরপর জমি ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আশায় বুক বেঁধেছিলেন বাংলাদেশিরা।
কিন্তু দুদেশের যৌথ জরিপ দলের নির্ধারণ করে দেওয়া সীমানায় স্থায়ী পিলার স্থাপনে ভারতের অনীহার কারণেই মূলত ঝুলে রয়েছে মুহুরীর চর বিরোধ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মুহুরীর চর দখলে রাখতে ১৯৭৯ থেকে ১৯৯৯ সালের ২২ আগস্ট পর্যন্ত ভারতীয় বিএসএফ ও বিজিবির (বিডিআর) মধ্যে গুলিবিনিময় হয়েছে। ১৯৯৪ সালের ১৫ জানুয়ারি বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারান বাংলাদেশের বাউর পাথর গ্রামের বেয়াধন বিবি (৪০)।
চরে নিজেদের জমির অধিকার ফিরে পেতে এ পর্যন্ত শতাধিক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিকদের হাতে। দীর্ঘদিনের বিরোধপূর্ণ মুহুরীর চরের ২ দশমিক ৫ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। ২০১১ সালে বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তর এ সীমানা চিহ্নিতের উদ্যোগ নিলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে উভয় দেশের জরিপ বিভাগ মুহুরীর চরে জরিপ চালায়। মহাপরিচালক পর্যায়ে দুদেশের জরিপ শেষে সীমানা নির্ধারণ করে কাঠের পিলার স্থাপন করা হয়। সে সময় গওহর রিজভী মুহুরীর চর সফরে এসে বলেছিলেন, ভারতের সংসদে অনুমোদনের পর পাকা সীমানা পিলার স্থাপন হলে মুহুরীর চরের দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তি হবে। ওই সময় দুদেশের জরিপ দল অস্থায়ী পিলার স্থাপনের পর বাংলাদেশ কমপক্ষে ৬০-৭০ একর জমি ফেরত পেয়েছে বলে এলাকাবাসী ও গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়।
অথচ ২০২৪ সালের শেষ প্রান্তে এসেও এখনও সেখানে চাষাবাদ তো দূরের কথা, ওই জমিতে যেতেই পারছে না বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যৌথ জরিপ দলের স্থাপন করা অস্থায়ী পিলারের স্থলে স্থায়ী পিলার স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হলেও ভারতের সাড়া মিলছে না বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
স্থানীয়দের দাবি, ভূ-রাজনৈতিক ও কৌশলগত দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের সার্বভৌম অঞ্চল মুহুরীর চরের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভারত দখলে নিয়েছে। এ ছাড়া উন্নততর প্রকৌশল প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের মুহুরী নদীতে স্পার ও গ্রোয়েন নির্মাণের মাধ্যমে নদীর গতিধারাকে ভারত ক্রমান্বয়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে বাংলাদেশের ভূ-অভ্যন্তরে সুকৌশলে বিলোনিয়ার পাশে নিজ কালিকাপুর গ্রামের মুহুরী নদীর বাঁকে চরের অংশটি মূল চরের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এ কারণে ক্রমাগত উত্তর অংশে (ভারত) চরের সৃষ্টি হয়ে নদী মোহনা বাংলাদেশের গভীরে ঢুকে যাচ্ছে। দুদেশের সীমানা হিসেবে মুহুরী নদীর মধ্য গ্রোথকে নির্ধারণ করা হয়। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি) আবারও মধ্য গ্রোথকে উভয় দেশের সীমানা হিসেবে নির্ধারণ করে।
এরপর ১৯৭৬ সালে ভারত নিজ অঞ্চলের সীমান্ত শহরে বিলোনিয়াকে নদীভাঙন থেকে রক্ষার কথা বলে প্রথমে বাংলাদেশ সীমান্তের কয়েক শ’ মিটার উজানে গ্রোয়েন নির্মাণ করে। আর তখন থেকে মুহুরী নদীর গতিপথ পূর্ব থেকে পশ্চিমে মোড় নিতে শুরু করে।
সেখানে জমি হারানো বাংলাদেশিরা নিজেদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। নিজেদের জমিতে চাষাবাদ করতে চান তারা। পরশুরাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল হালিম মানিক বলেন, তারা মুহুরী চরের জমির ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে ও সেখানে চাষাবাদ শুরু করতে চান। পরশুরাম উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, দুদেশের সীমান্তবাসীর নিরাপত্তা ও দেশের স্বার্থে মুহুরীর চরের জমি নিয়ে বিরোধের দ্রুত সমাধান হওয়া খুবই জরুরি।
ফেনীর বিজিবি-৪-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, দুদেশের জরিপদলের নির্ধারিত সীমানায় কাঠের পিলার রয়েছে। তবে বিরোধপূর্ণ জায়গায় কেউ চাষাবাদ করতে পারছে না।
ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. পারভেজ মিয়া আমার দেশকে বলেন, দুদেশের জরিপ দল বিষয়টি মীমাংসার লক্ষ্যে পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণের পরও আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র পরবর্তী সময়ে তা মেনে নিতে গড়িমসি করেছে। ফলে বিষয়টি অমীমাংসীত রয়ে গেছে। বর্তমানে বিষয়টি দুদেশের রাষ্ট্রীয় উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিভিন্ন মেরূকরণ। এ নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে, কোন দল কার সঙ্গে সমঝোতা বা জোট করে ভোট করবেÑএসব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তৎপরতাও জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেনীলের দেশখ্যাত নীলফামারী দীর্ঘদিন শোষণ করেছিল ইংরেজরা। তাদের স্থানীয় নিপীড়ক নীলকরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন উত্তরের এই জেলার চাষিরা। ২০০ বছর পর সেই নিষ্ঠুর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেন আওয়ামী ‘কসাই’খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর।
১৩ ঘণ্টা আগেআগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদেরই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন ডিসিসহ ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
১ দিন আগেবছরের প্রায় ১০ মাস পার হলেও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ শুরু হয়নি। এমনকি পাঠ্যবইয়ের কনটেন্টও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি; এখনো চলছে পরিবর্তন-পরিমার্জনের কাজ। এছাড়া ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনও মেলেনি এখনো।
১ দিন আগে