কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সের টাকা গণনা করে এবার পাওয়া গেছে ১১ কোটি ৭৮ লাখ ৪৮ হাজার ৫৩৮ টাকা। এছাড়াও নাম পরিচয় গোপন রেখে হাদী হত্যার প্রকাশ্যে বিচার চেয়ে দান বাক্সে চিরকুট দিয়েছেন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি।
শনিবার মসজিদের ১৩ টি দানবাক্স থেকে দিনভর গুণে পাওয়া গেছে এ পরিমাণ টাকা। এ ছাড়াও পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপার অলঙ্কার। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল আহমেদ রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সকাল ৭টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল আহমেদের তত্ত্বাবধানে মসজিদের ১৩ টি দানবাক্স খুলে ৩৫ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। এ সময় জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেনসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ৯টায় শুরু হয় গণনা। টাকা গণনায় অংশ নেন পাগলা মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসার ১১০ জন ও আল–জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার ২৫০ জন ছাত্র, পাগলা মসজিদের ৩৩ জন স্টাফ, রূপালী ব্যাংকের ১০০ জন কর্মকর্তা–কর্মচারী, এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা জানান, পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার ৩৫ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। তিনি আরো জানান, পাগলা মসজিদকেন্দ্রিক একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। ভবনটি হবে ১০ তলাবিশিষ্ট এবং এখানে বহুমুখী কাজ করা হবে। এখানে অনাথ ও এতিমদের জন্য পড়ালেখার ব্যবস্থা, ধর্মীয় শিক্ষা, একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার, ক্যাফেটেরিয়া ও আইটি সেকশনও থাকবে।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন বলেন, দানবাক্স খোলা থেকে শুরু করে বস্তায় ভরা এবং গণনা শেষে ব্যাংক পর্যন্ত সব টাকা নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তার কাজে তিনিসহ পুলিশ সদস্যরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করেন।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

