ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মান ও সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনার সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরের সঙ্গে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন দায়িত্বে অবহেলায় জড়িত এক চিকিৎসক । সেই সঙ্গে করেছেন অশোভন আচরণও।
শনিবার সকালে শিশুদের মূত্রাশয় ও প্রজননতন্ত্র সম্পর্কিত রোগের চিকিৎসা বিষয়ে ‘নবীনতম অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক একটি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর। সেমিনারে যোগদানের আগে তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি স্বাস্থ্যসেবার মান, জরুরি বিভাগ পরিচালনা, রোগী ব্যবস্থাপনা এবং স্টাফদের উপস্থিতি বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন। প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মন উত্তেজিত হলে ডিজি ও তার মধ্যে তর্ক-বিতর্ক চরমে পৌঁছায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ডিজি অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর ডা. ধনদেব বর্মনকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন খান জানান, পরিদর্শনে সেবার মান নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্যার এবং ডা. ধনদেব বর্মনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। যা মোটেও কাম্য নয়। তবে বিষয়টি নিয়ে এখন আর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, হাসপাতালটিতে চিকিৎসাসেবায় ক্রমবর্ধমান অনিয়ম-দুর্নীতি, রোগীদের প্রতি অমানবিক আচরণ, দালালচক্রের দৌরাত্ম্য, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় অব্যবস্থা এবং প্রতিনিয়ত লুটপাটের বিরুদ্ধে চলতি বছরে বেশ কয়েকবার মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে ময়মনসিংহের সাধারণ নাগরিকরা। যেখানে বক্তারা দাবি করেন- হাসপাতাল পরিচালক দীর্ঘদিন ধরে এসব অনিয়ম বন্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি, বরং পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এমনকি এই হাসপাতালটির প্রশাসনিক অনেক কর্মকর্তা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমল থেকেই অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। এ রকম অভিযোগ থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিভাগ অদ্যাবদি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

