দেশের চাহিদা মিটিয়ে অন্তত ২০ দেশে রপ্তানি হচ্ছে পাবনার শুঁটকি। বৈদেশিক অর্থ উপার্জনে সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে পাবনার শুঁটকি। ফলে কর্মব্যস্ততা বেড়েছে জেলার প্রায় শতাধিক শুঁটকি খামারের সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার নারী-পুরুষের।
জানা গেছে, পাবনা জেলার মধ্যে সাঁথিয়া, বেড়া, সুজানগর, ফরিদপুর ও চাটমোহর উপজেলা শুঁটকি উৎপাদনে বিশেষভাবে পরিচিতি লাভ করেছে। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস এলেই বিল, নদীপাড়ে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত চাতাল বসিয়ে কর্মযজ্ঞ শুরু করেন শুঁটকি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত খামারিরা।
এখানে নিজ জেলা ছাড়াও উত্তর বঙ্গের অন্যান্য জেলার থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা যুক্ত হয়ে শত শত মণ শুঁটকি উৎপাদন করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে বিক্রি করেন। এছাড়া উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শুঁটকি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশসহ মালয়েশিয়া, ইংল্যান্ড, আমেরিকায় রপ্তানি হচ্ছে বলে খামারিরা জানান। মূলত এসব দেশে বসবাসরত প্রবাসীদের কাছে দেশের উৎপাদিত শুঁটকির কদর বেড়েছে ।
বিশেষ করে পাবনার উৎপাদিত শোল, টাকি, বোয়াল, ট্যাংরা, পুঁটি শুঁটকির আলাদা চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় এটি একটি সম্ভাবনাময় খাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেড়া উপজেলার খামারি আফজাল হোসেন বলেন, নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস থেকে শুঁটকি মৌসুম শুরু হয়ে ফেব্রুয়ারি মার্চ পর্যন্ত তারা এ প্রক্রিয়া সচল রাখবেন। এ সময় বিল-নালা ডোবাগুলোতে প্রচুর দেশি মাছ শিকার করবে জেলেরা।
সেগুলো বেপারি ও ফড়িয়াদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা যেমন সহজ, তেমন উৎপাদন খরচও কিছুটা কম বলে এ অঞ্চলে দিন দিন চাতালের সংখ্যা বাড়ছে। তবে দেশি মাছের অবাধ বিচরণ অনেক কমে যাওয়ায় হুমকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে শুঁটকি খামারিদের । এছাড়া সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এ শিল্পের সম্ভাবনার দ্বার খুলছে না। তার মতে স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে খামারিদের সহায়তা দিলে বিদেশের বাজারে আরো বেশি শুঁটকি রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আনতে পারবে পাবনার শুঁটকি মাছ।

