লালমনিরহাটে হালকা কুয়াশা, শিশির ভেজা ঘাস আর মৃদু হিমেল হাওয়ায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। এতে শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ না করায় তারা শীতবস্ত্র ক্রয়ে ভিড় জমাচ্ছেন ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শীতের আগমনে লালমনিরহাটে জমে উঠেছে ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ শীত বস্ত্রের দোকানগুলো। রেলওয়ে স্টেশনের রিকশাস্ট্যান্ডে গড়ে ওঠা ভ্রাম্যমাণ মার্কেটে শীতের কাপড়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষ। শহরের রেলওয়ে স্টেশনের ভ্রাম্যমাণ মার্কেটে শীতবস্ত্র কিনতে দূরদূরান্ত থেকে নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সি মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা খয়বর আলী জানান, এ মার্কেটে ক্রেতাদের সামর্থ্যমতো বিভিন্ন দামে শীতের কাপড় পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন হাজারো নিম্নআয়ের মানুষ কাপড় কিনতে এখানে ভিড় জমান। অনেক কম দামে এখানে শীতের কাপড় বেচা-কেনা হওয়ায় ক্রেতারা এখানে ছুটে আসেন।
লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনে শীতের পোশাক কিনতে আসা মরিয়ম ও কুলসুম বেগম বলেন, অনেক খোঁজ করে ছেলেমেয়ে ও পরিবারের সবার জন্য সোয়েটারসহ কয়েকটি শীতের কাপড় কিনেছি। নিজের জন্য একটি উলের সোয়েটার কিনেছি। তিনি আরো বলেন, কম দামে ভালো কাপড় পাওয়া যায় ফুটপাতে। তাই আমাদের শেষ ভরসা ফুটপাত।
এদিকে ফুটপাতের দোকানি আব্দুল গফুর জানান, দুদিন ধরে শীত বৃদ্ধি পেতে শুরু করায় ফুটপাতের দাকানগুলোতে গরিব শ্রেণির ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন বেশি। সবাই ছোট ছোট শিশুদের জন্য বেশি কাপড় কিনছেন। পাশাপাশি উলের সোয়েটার, মাফলার ও গরম কাপড়ের টুপিসহ অন্যান্য কাপড়ও ভালো বেচাকেনা হচ্ছে।
ফুটপাতের আরেক দোকানদার মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘শীতের শুরুতে মোটামুটি ক্রেতারা আসছেন, তবে আশা করছি দিন যত যাবে ক্রেতা সমাগম আরো বাড়বে।’

