দুয়ার খুলছে না কবি জীবনানন্দ সংগ্রহশালার

প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫: ৫১

ঝালকাঠি-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে কবি জীবনানন্দ দাশের স্মৃতিবিজড়িত ধানসিঁড়ি নদীর তীরে গড়ে উঠেছে একটি নান্দনিক স্থাপনা কবি জীবনানন্দ দাশ সংগ্রহশালা ও পাঠাগার। তবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে এর উদ্বোধন। স্থাপনাটি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, এটি পরিচালনার প্রয়োজনীয় জনবল তাদের নেই, তাই তারা জেলা প্রশাসনের কাছে এটি হস্তান্তরের জন্য ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন, সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত না আসায় আটকে আছে দৃষ্টিনন্দন এ সংগ্রহশালার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

বিজ্ঞাপন

পার্কের আদলে গড়ে ওঠা এই সংগ্রহশালার কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তিন কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ০.৪৫ একর জমিতে নির্মিত এ সংগ্রহশালাটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হস্তান্তর করে গত বছর জুন মাসে। ভবনটি সব সময় তালাবদ্ধ থাকে।

এটি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে এখানে কোনো জনবল নিয়োগ করা হয়নি। তারপরও এখানে দর্শনার্থী ও পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা নয়নাভিরাম পরিবেশে এসে সবাই মুগ্ধ, কিন্তু সংগ্রহশালায় কোনো কিছু দেখতে না পারায় তারা হতাশ।

এ ছাড়া পর্যটকরা কিছুদিন আগে খনন করা ধানসিঁড়ি নদীর কোনো কোনো জায়গায় আবারও সরু খালে পরিণত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এখানে আসার সড়কেরও সংস্কার দাবি জানান।

সাংস্কৃতিক কর্মী শফিউল ইসলাম সৈকত বলেন, স্থাপনাটি কবির স্মৃতিরক্ষায় একটি দারুণ উদ্যোগ। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতায় এটি এখনো আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করতে না পারাটা দুঃখজনক।

জীবনানন্দ দাশ গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, নদী বারবার খনন করা হয়, আবার এটি ভরাট হয়ে সরু খালে পরিণত হয়। এটি পুনঃখনন করে সংগ্রহশালাটি অবিলম্বে চালু করতে হবে।

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা আমার দেশ বলেন, সিদ্ধান্ত পেলে এটি জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বন বিভাগের বড় গাছ থাকায় ধানসিঁড়ি নদী অনেক জায়গায় খনন করা যায়নি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত