ময়মনসিংহে ইয়াবার কারবার নিয়ে বিরোধ, নিহত যুবদলকর্মী ময়মনসিংহ অফিস ময়মনসিংহ শহরের পাটগুদাম বীজ মোড়ে ইয়াবার কারবার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘাতের জেরে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন যুবদল কর্মী রেদুয়ান জাহান রিয়াদ (২৮)। তার পরিবারের দাবি,তিনি রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন। পুলিশ বলছে, রিয়াদ দীর্ঘদিন ধরেই মাদক কারবারে জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি অন্য মাদক কারবারিদের সাথে তার ব্যবসায়িক বিরোধ চরমে পৌঁছেছিল। নিহত রিয়াদ নগরীর পাটগুদাম এলাকার এসডিজি ভবনের বাসিন্দা। তার বাবা মো. সাইদুল হক টিসিবিতে চাকরি করেন। মা জান্নাতুল ফেরদৌস পাটগুদাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে পাটগুদাম অস্থায়ী পুলিশ বক্সের সামনে রিয়াদের ওপর হামলা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কয়েকজন তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাঁটুর ওপরে আঘাত করে। ছুরিকাঘাতের পর রিয়াদ দৌড়ে পুলিশ বক্সের ভেতরে ঢুকে দরজা আটকে দেয়। সেখানে তিনি অনেকক্ষণ রক্তক্ষরণ অবস্থায় পড়ে থাকেন। তখন আশপাশের কেউ তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেনি। পরে স্বজনরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বাবা সাইদুল হক দাবি করেন, ছুরিকাঘাতের পর তার ছেলেকে কেউ উদ্ধার করেনি। খবর পেয়ে নিজেরাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কী কারণে, কারা তার ছেলেকে হত্যা করেছে এখনো তিনি জানেন না। রিয়াদ যুবদল নেতা ইনছানের ঘনিষ্ঠ কর্মী ছিল বলেও জানান তিনি।
ময়মনসিংহ মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইনছান সাংবাদিকদের বলেন, “রিয়াদ যুবদলের সক্রিয় কর্মী। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, রিয়াদ দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল। একসময় তিনি পুরোপুরি মাদক কারবারে সক্রিয় ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে তার পার্টনারদের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়। এর জেরেই প্রতিপক্ষ তাকে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া গেলে হয়তো অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হতো না। তিনি বলেন, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। জড়িতদের শনাক্তে অভিযান চলছে।

