গোপালগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন দলটির মনোনয়নবঞ্চিত পাঁচ নেতা। আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী ডা. কেএম বাবর আলীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে যৌথভাবে জনসংযোগ, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের সড়ক ভবনের সামনে থেকে একাধিক মাইক্রোবাস ও ট্রাকসহ কয়েক শ মোটরসাইকেল বহর নিয়ে শোভাযাত্রা শুরু করেন মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রেস ক্লাব মোড় থেকে ঘোনাপাড়া পুলিশ লাইনস মোড় হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়। পরে সড়ক ভবনের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সাবেক তিন সভাপতি এফই সরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর, এমএইচ খান মঞ্জু ও এম সিরাজুল ইসলাম। তাদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সরদার নুরুজ্জামান ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তাজও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন। তাদের দাবি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. কেএম বাবর আলীকে বাদ দিয়ে তাদের মধ্যকার পাঁচজনের যেকোনো একজনকে দল থেকে মনোনীত করা হলে, তার পক্ষে সবাই কাজ করবেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে সাবেক এমপি এমএইচ খান মঞ্জু বলেন, দীর্ঘদিন আমরা রাজপথে ছিলাম, আন্দোলনে ছিলাম। সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই। মনোনয়নে একটি ভুল হয়েছে। আমাদের নেতা দেশে থাকলে এমন সিদ্ধান্ত হতো না। আমরা শুধু এ বার্তা দিতে চাই আমরা এ পাঁচজন জেল-জুলুম ও অত্যাচারের শিকার। আমাদের কথা তার (তারেক রহমান) কাছে পৌঁছলে তিনি অবশ্যই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন। পাঁচজনের মধ্যে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে, আমরা তার পক্ষেই সর্বশক্তি নিয়োগ করব।
সমাবেশে এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, গোপালগঞ্জে অতীতে যারা রাজপথে ছিল, জনগণের সঙ্গে ছিল, রাজনীতিতে ছিল, গরিব-দুঃখী মানুষের সঙ্গে ছিল, সেরকম একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের সে আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। এখানে ছয়জন মনোনয়ন চেয়েছে। কিন্তু যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে; তিনি ১৭ বছরে কোনোদিনই মাঠ-ময়দানে ছিলেন না।
এখানে গোপালগঞ্জের মানুষ এবং যারা বিএনপি করে, তাকে বিএনপি হিসেবে কেউ চেনে না। তিনি আরো বলেন, যার বাসা থেকে যৌথবাহিনী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে, এরকম একজনকে গোপালগঞ্জবাসী কোনোভাবেই মেনে নিতে চায় না। যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তাকে জনগণ এবং আমরা পছন্দ করি না। এ কারণে আমরা পাঁচজন একত্রিত হয়েছি। আগামী নির্বাচনে আমাদের এই পাঁচজনের মধ্যে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমরা বিজয়ের মালা ছিনিয়ে আনব।

