রাজশাহীর পুঠিয়ায় ভেজাল খেজুরের গুড়ের ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে । এসব ভেজাল গুড় কিনে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই ভেজাল গুড়ের ব্যবসা প্রকাশ্যে চললেও প্রতিরোধের কোনো উদ্যোগ নেই।
জানা গেছে, শীতের আগমনে রাজশাহীর পুঠিয়া, চারঘাট ও দুর্গাপুর উপজেলায় শুরু হয়েছে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরির ব্যস্ততা। প্রতিদিন ভোরে গ্রামীণ জনপদে গাছিদের রস সংগ্রহের দৃশ্য যেন প্রতিদিনের চিত্র হয়ে উঠেছে। ঘরে ঘরে চলছে খাঁটি খেজুরের গুড় তৈরির প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে খুরি, পাটালি ও ঝোলা গুড়। যার ঘ্রাণে মুগ্ধ হচ্ছেন ক্রেতারা।
তবে এই চিরচেনা মৌসুমি চিত্রের মধ্যে এবার দেখা দিচ্ছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। বাজারে খাঁটি গুড়ের পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়েছে ভেজাল গুড়। অসাধু কিছু ব্যবসায়ী খরচ কমাতে গুড়ে চিনি মিশিয়ে উৎপাদন করছেন, যা স্বাদ ও মান, দুটোতেই প্রতারণা।
পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সূচনা জানান, চিনি মিশ্রিত গুড় খেলে দাঁতে ব্যাকটেরিয়া বাড়ে, ক্যাভিটি তৈরি হয়, হজমে সমস্যা দেখা দেয়, ওজন বাড়ে এবং ডায়াবেটিস ও লিভারের জটিলতা তৈরি হতে পারে।
ভোক্তাদের দাবি, প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি এবং ভেজাল উৎপাদকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাজারে খাঁটি গুড়ের নিরাপদ সরবরাহ নিশ্চিত করা হোক। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী চাষিরা। চাষি ও গাছিরা আশা করছেন, শীত যত বাড়বে, সচেতন ভোক্তারা খাঁটি গুড় চিহ্নিত করতে শিখবেন এবং প্রকৃত পণ্যের যথাযথ মূল্য দেবেন।

