
চট্টগ্রাম ব্যুরো

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, এনসিপির নেতাকর্মীরা এস আলম গ্রুপের প্রশ্রয়ে থাকা মাফিয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে। তাদের অনেক চ্যানেল আছে, পত্রিকা আছে। যেগুলো আমাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা এমন একটা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছি, যারা নিজের দলের লোকদের গুলি করে রাস্তায় নিজেরাই মেরে ফেলছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনেকেই এসব পোলাপান মানুষ কী আর করতে পারবে বলেন। আমরা বলবো এসব পোলাপানই করবে, করেছেও। এই পোলাপানদের কোনো পিছুটান নেই, এই পোলাপানদের কোনো ব্যবসা বন্ধক দেয়া নেই, টিভি চ্যানেল নেই, মেরুদণ্ড কারো কাছে বর্গা দেয়া নেই, এই পোলাপানদের কোনো ঢাকা ব্যাংক নেই। যেটার কারণে আমাদের চুপ থাকতে হবে। একটা মানুষও যদি নৈতিকতার প্রশ্নে অটল থাকে, দেশের প্রশ্নে অটল থাকে, তাহলে আমার বিশ্বাস এই কনফারেন্স হলের প্রত্যেক তরুণ বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বিজয়ী করতে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি কার সাথে কার আত্মীয়তা আছে, আমরা জানি ৫ আগস্টের পর কার বেয়াইকে কে ছাড়াতে আসছে, সেই খবর আমাদের কাছে আছে। তাই আজ আমাদের শপথ নিতে হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। আমাদের ব্যালট হবে খুনে ভরা পূর্বের প্রজন্মের বিরুদ্ধে, নতুন প্রজন্মের। আমাদের ব্যালট হবে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে। এই আসনের ভিত্তিতে কেউ যদি বেইমানি করে তারা শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানী করবে। যারা বেইমানী করবে তারা দেশকে পিছিয়ে দেবে। আমাদের দেশের গণতন্ত্রকে বিজয় করতে হবে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, মাইম্যানের রাজনীতি এনসিপিতে চলবে না। মাইম্যানের পলিটিক্স একটি অস্থায়ী ও ভিত্তিহীন পলিটিক্স। এটা যদি টিকতো তাহলে কোনো শক্তি স্বৈরাচারী হাসিনাকে পতন করাতে পারতো না। এনসিপিতে মাইম্যানের রাজনীতি করা যাবে না। ঢাকায় বসে এলাকার রাজনীতি করা চলবে না। এলাকার রাজনীতি করতে চাইলে এলাকায় আসতে হবে। ঢাকায় বসে হোয়াটসঅ্যাপে নেতাকর্মীদের এলাকার রাজনীতি বোঝানো যাবে না।
তিনি আরও বলেন, এনসিপি নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি বন্ধন তৈরি হয়েছে। নেতাকর্মীদের একটি দায় তৈরি হয়েছে। এই দায় ও বন্ধন হলো জুলাইয়ের শহীদের রক্ত ও আহতদের কান্না। এই আধ্যাত্মিক বন্ধন যেকোনো জাগতিক আত্মীয়তার ঊর্ধ্বে। যখন আপনারা এটি অনুভব করবেন তখন আপনার মাঝে মাইম্যান নীতি কাজ করবে না। যোগ্যদের যোগ্য স্থানে দিতে হবে। তাহলেই মাইম্যানের রাজনীতি দূর হবে।
এসময় তিনি চট্টগ্রামের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক দক্ষতা ও সক্ষমতা সৃষ্টির নানা কৌশল এবং সাংগঠনিক প্রজ্ঞা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, শুধু আন্দোলনে যারা ছিল তাদের দলে আনলে হবে না। রাজনীতি সচেতন সবাইকে আনতে হবে। সফল, সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য, শিক্ষিত, মার্জিত লোকদের আনতে হবে। যারা টাকা দিয়ে আসতে চায় তাদের আটকান। তারা আমাদের দলে আসতে পারবে না। আওয়ামী লীগের লেসপেন্সারদের আটকান। এনসিপিতে যারা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তারা আসতে পারবে। যারা আন্দোলন করেনি কিন্তু আন্দোলনকে অসম্মান করে না, তারা আসতে পারবে। এনসিপিতে সম্মান দিতে পারবেন এই শর্ত দিয়েই নাগরিকদের আনেন। আর কিছু আমরা দিতে পারবো না। সংগঠন বড় করতে হলে আমাদের প্রতি মাসে রিক্রুটমেন্ট লাগবে।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এএসএম সুজা উদ্দিন, দক্ষিণ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ হাসান আলীসহ জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, এনসিপির নেতাকর্মীরা এস আলম গ্রুপের প্রশ্রয়ে থাকা মাফিয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে। তাদের অনেক চ্যানেল আছে, পত্রিকা আছে। যেগুলো আমাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা এমন একটা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছি, যারা নিজের দলের লোকদের গুলি করে রাস্তায় নিজেরাই মেরে ফেলছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনেকেই এসব পোলাপান মানুষ কী আর করতে পারবে বলেন। আমরা বলবো এসব পোলাপানই করবে, করেছেও। এই পোলাপানদের কোনো পিছুটান নেই, এই পোলাপানদের কোনো ব্যবসা বন্ধক দেয়া নেই, টিভি চ্যানেল নেই, মেরুদণ্ড কারো কাছে বর্গা দেয়া নেই, এই পোলাপানদের কোনো ঢাকা ব্যাংক নেই। যেটার কারণে আমাদের চুপ থাকতে হবে। একটা মানুষও যদি নৈতিকতার প্রশ্নে অটল থাকে, দেশের প্রশ্নে অটল থাকে, তাহলে আমার বিশ্বাস এই কনফারেন্স হলের প্রত্যেক তরুণ বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বিজয়ী করতে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি কার সাথে কার আত্মীয়তা আছে, আমরা জানি ৫ আগস্টের পর কার বেয়াইকে কে ছাড়াতে আসছে, সেই খবর আমাদের কাছে আছে। তাই আজ আমাদের শপথ নিতে হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। আমাদের ব্যালট হবে খুনে ভরা পূর্বের প্রজন্মের বিরুদ্ধে, নতুন প্রজন্মের। আমাদের ব্যালট হবে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে। এই আসনের ভিত্তিতে কেউ যদি বেইমানি করে তারা শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানী করবে। যারা বেইমানী করবে তারা দেশকে পিছিয়ে দেবে। আমাদের দেশের গণতন্ত্রকে বিজয় করতে হবে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, মাইম্যানের রাজনীতি এনসিপিতে চলবে না। মাইম্যানের পলিটিক্স একটি অস্থায়ী ও ভিত্তিহীন পলিটিক্স। এটা যদি টিকতো তাহলে কোনো শক্তি স্বৈরাচারী হাসিনাকে পতন করাতে পারতো না। এনসিপিতে মাইম্যানের রাজনীতি করা যাবে না। ঢাকায় বসে এলাকার রাজনীতি করা চলবে না। এলাকার রাজনীতি করতে চাইলে এলাকায় আসতে হবে। ঢাকায় বসে হোয়াটসঅ্যাপে নেতাকর্মীদের এলাকার রাজনীতি বোঝানো যাবে না।
তিনি আরও বলেন, এনসিপি নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি বন্ধন তৈরি হয়েছে। নেতাকর্মীদের একটি দায় তৈরি হয়েছে। এই দায় ও বন্ধন হলো জুলাইয়ের শহীদের রক্ত ও আহতদের কান্না। এই আধ্যাত্মিক বন্ধন যেকোনো জাগতিক আত্মীয়তার ঊর্ধ্বে। যখন আপনারা এটি অনুভব করবেন তখন আপনার মাঝে মাইম্যান নীতি কাজ করবে না। যোগ্যদের যোগ্য স্থানে দিতে হবে। তাহলেই মাইম্যানের রাজনীতি দূর হবে।
এসময় তিনি চট্টগ্রামের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক দক্ষতা ও সক্ষমতা সৃষ্টির নানা কৌশল এবং সাংগঠনিক প্রজ্ঞা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, শুধু আন্দোলনে যারা ছিল তাদের দলে আনলে হবে না। রাজনীতি সচেতন সবাইকে আনতে হবে। সফল, সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য, শিক্ষিত, মার্জিত লোকদের আনতে হবে। যারা টাকা দিয়ে আসতে চায় তাদের আটকান। তারা আমাদের দলে আসতে পারবে না। আওয়ামী লীগের লেসপেন্সারদের আটকান। এনসিপিতে যারা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তারা আসতে পারবে। যারা আন্দোলন করেনি কিন্তু আন্দোলনকে অসম্মান করে না, তারা আসতে পারবে। এনসিপিতে সম্মান দিতে পারবেন এই শর্ত দিয়েই নাগরিকদের আনেন। আর কিছু আমরা দিতে পারবো না। সংগঠন বড় করতে হলে আমাদের প্রতি মাসে রিক্রুটমেন্ট লাগবে।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এএসএম সুজা উদ্দিন, দক্ষিণ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ হাসান আলীসহ জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।

ভোলার চরফ্যাশনে প্রয়োজন সমবায় সমিতির গ্রাহকবৃন্দতে মব সৃষ্টি করে প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
১৯ মিনিট আগে
আবারও রক্তে ভিজলো চট্টগ্রামের রাউজান। বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়েপাড়া চৌধুরী পাড়ায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে বিএনপির কর্মী পাঁচ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামে গত এক বছরে অন্তত ৭ জনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি হত্যাই ঘটেছে জনবহুল এলাকায়, দিনের আলোয়। হত্যার পর লাশ উদ্ধারে আসে পুলিশ, কিন্তু কোনো ঘটনাতেই ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এর মধ্যে এক ঘটনায় সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির মুখে পুলিশ সদস্যরাই পালিয়ে যান।
২ ঘণ্টা আগে
গুজব প্রতিরোধে গণমাধ্যমকর্মীদের আরও দায়িত্বশীল হতে বলে জানিয়েছেন তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামূল কবীর।
৩ ঘণ্টা আগে