
স্পোর্টস রিপোর্টার

এমন কিছু হচ্ছে সেটা জানা ছিল। হলোও তা-ই। গত সোমবার বিসিবির বোর্ডসভায় সিদ্ধান্ত হয় মোহাম্মদ আশরাফুলকে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার। বিসিবির সেই সিদ্ধান্তের পরই প্রশ্ন উঠেছিলÑ তাহলে এতদিন যিনি দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করছিলেন সেই মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কী হবে?
সেই প্রশ্নের উত্তর কী হতে পারে তা ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট প্রায় সবারই জানা ছিল। মোহাম্মদ সালাউদ্দিনও সেই প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট করে দিলেন বুধবার দুপুরে। বিসিবিতে এসে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দিলেন। তার সেই আনুষ্ঠানিক পদত্যাগ পত্রে সিনিয়র সহকারী কোচের চাকরি ছাড়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ ছিল ‘ব্যক্তিগত’। তবে এটা জানতে কারো বাকি নেই যে, সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতায় বিসিবির শীর্ষ কর্তারা কোচ সালাউদ্দিনের ওপর আস্থা হারিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে এসেছিলেন সিনিয়র সহকারী কোচÑ এই পদমর্যাদায়। মাস কয়েক পরে নিয়মিত ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্পকে জাতীয় দল থেকে সরিয়ে ফের হাই পারফরম্যান্স ইউনিটে (এইচপি) ফিরিয়ে নেওয়া হয়। জাতীয় দলে শূন্য হয়ে পড়া সেই ব্যাটিং কোচের বাড়তি দায়িত্ব তখন মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কাঁধে চাপে।
সেই সঙ্গে দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা এবং যৎকিঞ্চিত সাফল্যের ভাগীদারও হতে হলো তাকে। এশিয়া কাপ ও আফগানিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজে পুরো দলের ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতার পর পুরোনো প্রশ্নটা আরেকবার সামনে এলোÑ এই ব্যর্থতা ঘুচবে কীসে এবং কবে?
শেষমেশ জাতীয় দলের জন্য নতুন ব্যাটিং কোচ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল বিসিবি। এই ফর্মুলায় মোহাম্মদ আশরাফুল কোচিং প্যানেলে যোগ দিলেন। আশরাফুলের নিয়োগের দিনে বিসিবি পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক অবশ্য জানিয়েছিলেন, সালাউদ্দিনের ব্যর্থতার কারণে আশরাফুলকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বরং আশরাফুলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতেই তাকে জাতীয় দলে নেওয়া হয়েছে। কোচিং প্যানেল ঠিক করার দায়িত্ব যাদের সেই ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির প্রধান নাজমুল আবেদিন ফাহিমও বলেছিলেন, মূলত ব্যাটারদের উন্নতি যাতে হয় সে কারণেই আশরাফুলকে দলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
তবে এটা পরিষ্কার যে, ব্যাটিং কোচ হিসেবে আশরাফুলের নিয়োগকে কোচিং প্যানেলে নিজের পজিশনের জন্য সহজভাবে নিতে পারেননি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। কোচিং প্যানেলে তাকে এভাবে ‘ওএসডি’ করে ফেলার বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি। অপমানটা ঝেড়ে ফেলতে তাই চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আর চলে যাওয়ার কারণ হিসেবে পদত্যাগ পত্রে লিখে দেনÑ ‘ব্যক্তিগত’।
বুধবার সালাউদ্দিনের পদত্যাগ পত্র হাতে পাওয়ার পর নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানান, ‘তিনি (সালাউদ্দিন) আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আগে কথাবার্তা বলব তারপর পুরো বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করব।’
মূলত বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গে কথাবার্তা বলেই এ বিষয়ে বোর্ডের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন ফাহিম।
সালাউদ্দিনের পদত্যাগ পত্র পাওয়ার বিষয়টি বিসিবি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্বীকার করে নিয়েছে। এতে বলা হয়, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বিসিবির প্রধান নির্বাহীর কাছে তার পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। তিনি আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে কোচিং প্যানেল থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছেন।
বিসিবির বিভিন্ন উইংয়ে কোচ হিসেবে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বিভিন্ন মেয়াদে কাজ করেছেন। ২০০৬ সালে তিনি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে যুক্ত হয়েছিলেন। সেই দফায় তিনি ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ২০১০ সাল পর্যন্ত সেই দায়িত্ব পালন করেন সালাউদ্দিন। তারপর বিসিবির ক্রিকেট একাডেমিতে স্পেশালিস্ট কোচ হিসেবে চাকরি করেন। সেই দায়িত্ব ছেড়ে দেন বছরখানেক পরেই ২০১১ সালে।
আর সর্বশেষ জাতীয় দলের সঙ্গে তিনি সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন ২০২৪-এর নভেম্বরে। আরেক নভেম্বর ঘুরে আসতেই বিসিবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে গুডবাই বলে দিলেন তিনি।

এমন কিছু হচ্ছে সেটা জানা ছিল। হলোও তা-ই। গত সোমবার বিসিবির বোর্ডসভায় সিদ্ধান্ত হয় মোহাম্মদ আশরাফুলকে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার। বিসিবির সেই সিদ্ধান্তের পরই প্রশ্ন উঠেছিলÑ তাহলে এতদিন যিনি দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করছিলেন সেই মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কী হবে?
সেই প্রশ্নের উত্তর কী হতে পারে তা ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট প্রায় সবারই জানা ছিল। মোহাম্মদ সালাউদ্দিনও সেই প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট করে দিলেন বুধবার দুপুরে। বিসিবিতে এসে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দিলেন। তার সেই আনুষ্ঠানিক পদত্যাগ পত্রে সিনিয়র সহকারী কোচের চাকরি ছাড়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ ছিল ‘ব্যক্তিগত’। তবে এটা জানতে কারো বাকি নেই যে, সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতায় বিসিবির শীর্ষ কর্তারা কোচ সালাউদ্দিনের ওপর আস্থা হারিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে এসেছিলেন সিনিয়র সহকারী কোচÑ এই পদমর্যাদায়। মাস কয়েক পরে নিয়মিত ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্পকে জাতীয় দল থেকে সরিয়ে ফের হাই পারফরম্যান্স ইউনিটে (এইচপি) ফিরিয়ে নেওয়া হয়। জাতীয় দলে শূন্য হয়ে পড়া সেই ব্যাটিং কোচের বাড়তি দায়িত্ব তখন মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কাঁধে চাপে।
সেই সঙ্গে দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা এবং যৎকিঞ্চিত সাফল্যের ভাগীদারও হতে হলো তাকে। এশিয়া কাপ ও আফগানিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজে পুরো দলের ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতার পর পুরোনো প্রশ্নটা আরেকবার সামনে এলোÑ এই ব্যর্থতা ঘুচবে কীসে এবং কবে?
শেষমেশ জাতীয় দলের জন্য নতুন ব্যাটিং কোচ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল বিসিবি। এই ফর্মুলায় মোহাম্মদ আশরাফুল কোচিং প্যানেলে যোগ দিলেন। আশরাফুলের নিয়োগের দিনে বিসিবি পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক অবশ্য জানিয়েছিলেন, সালাউদ্দিনের ব্যর্থতার কারণে আশরাফুলকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বরং আশরাফুলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতেই তাকে জাতীয় দলে নেওয়া হয়েছে। কোচিং প্যানেল ঠিক করার দায়িত্ব যাদের সেই ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির প্রধান নাজমুল আবেদিন ফাহিমও বলেছিলেন, মূলত ব্যাটারদের উন্নতি যাতে হয় সে কারণেই আশরাফুলকে দলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
তবে এটা পরিষ্কার যে, ব্যাটিং কোচ হিসেবে আশরাফুলের নিয়োগকে কোচিং প্যানেলে নিজের পজিশনের জন্য সহজভাবে নিতে পারেননি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। কোচিং প্যানেলে তাকে এভাবে ‘ওএসডি’ করে ফেলার বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি। অপমানটা ঝেড়ে ফেলতে তাই চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আর চলে যাওয়ার কারণ হিসেবে পদত্যাগ পত্রে লিখে দেনÑ ‘ব্যক্তিগত’।
বুধবার সালাউদ্দিনের পদত্যাগ পত্র হাতে পাওয়ার পর নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানান, ‘তিনি (সালাউদ্দিন) আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আগে কথাবার্তা বলব তারপর পুরো বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করব।’
মূলত বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গে কথাবার্তা বলেই এ বিষয়ে বোর্ডের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন ফাহিম।
সালাউদ্দিনের পদত্যাগ পত্র পাওয়ার বিষয়টি বিসিবি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্বীকার করে নিয়েছে। এতে বলা হয়, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বিসিবির প্রধান নির্বাহীর কাছে তার পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। তিনি আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে কোচিং প্যানেল থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছেন।
বিসিবির বিভিন্ন উইংয়ে কোচ হিসেবে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বিভিন্ন মেয়াদে কাজ করেছেন। ২০০৬ সালে তিনি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে যুক্ত হয়েছিলেন। সেই দফায় তিনি ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ২০১০ সাল পর্যন্ত সেই দায়িত্ব পালন করেন সালাউদ্দিন। তারপর বিসিবির ক্রিকেট একাডেমিতে স্পেশালিস্ট কোচ হিসেবে চাকরি করেন। সেই দায়িত্ব ছেড়ে দেন বছরখানেক পরেই ২০১১ সালে।
আর সর্বশেষ জাতীয় দলের সঙ্গে তিনি সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন ২০২৪-এর নভেম্বরে। আরেক নভেম্বর ঘুরে আসতেই বিসিবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে গুডবাই বলে দিলেন তিনি।

কবে অবসর নেবেন? এই প্রশ্নের জবাবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জবাব ছিল, হাজার গোলের মাইলফলক স্পর্শের পর। আরও একবার একই প্রশ্ন ধেঁয়ে এলো পর্তুগিজ যুবরাজের দিকে। এবার অবশ্য এককথায় জানালেন, 'শীঘ্রই'।
৪ ঘণ্টা আগে
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর গোল স্কোরিং দক্ষতা এখনো ক্ষুরধার। তাই তো চিরসবুজ তারুণ্য ধারণ করে উপহার দিয়ে যাচ্ছেন গোলের পর গোল। হাজার গোলের মাইলফলক ছোঁয়াই এই গোলমেশিনের লক্ষ্য।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারত ঘোষিত সম্ভাব্য ২৩ সদস্যের দলে নেই সুনিল ছেত্রী। গত মার্চে অবসর ভেঙে বাংলাদেশের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলেছিলেন ভারতের এই কিংবদন্তি ফুটবলার।
৫ ঘণ্টা আগে
দলবদলে একের পর এক বাংলাদেশের ক্লাবগুলো ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়ছে। এবার ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়ল আবাহনী। গত সপ্তাহে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ফিফা।
৭ ঘণ্টা আগে