
জহিরুল ইসলাম, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)

এক দশক ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্মম নির্যাতনের শিকার ও কারাবন্দি অবস্থায় দুই সহোদর ভাইকে হারানো অধ্যাপক আসলাম চৌধুরীর প্রতি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অবহেলায় সীতাকুণ্ডের বিএনপি রাজনীতিতে গভীর হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তৃণমূলের অভিযোগ— সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের পরও আসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন না দিয়ে জিরো কন্ট্রিবিউশন থাকা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করা আর্থিক সুবিধাভোগী কাজী সালাউদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্তব্ধ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রের ভুল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আলটিমেটাম দেন। অন্যথায় বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত এই আসনটি হারাতে হবে বলেও জানান তারা।
২০১৩ ও ২০১৪ সালে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের লক্ষে আসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে সীতাকুণ্ডে এক দুঃসাহসিক আন্দোলন গড়ে ওঠে। ওই আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের লাইফলাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অচল হয়ে পড়ে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সাথে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং শেখ হাসিনার মসনদ কেঁপে উঠে। সেই দুঃসাহসিক পদক্ষেপই আসলাম চৌধুরী শেখ হাসিনার প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়। চট্টগ্রামের জনপ্রিয় এই নেতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ৪ বার কারাবরণ করেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মসনদ নিরাপদে রাখতে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৭৬টি মামলা দেওয়া হয়। সর্বশেষে ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে একটানা প্রায় ৯ বছর তিনি কারাগারে বন্দি জীবন কাটান চরম নির্যাতনে।
২০১৬ সালের ১৫ মে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং ইসরাইলের লিকুদ পার্টির নেতার সঙ্গে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়। আসলাম চৌধুরী এটিকে পরিকল্পিত ফাঁদ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। বিএনপির নেতাদের দাবি, এটি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র'-এর পরিকল্পনা। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য জহুরুল আলম জহুর বলেন, ভারতের 'র' এর পরিকল্পনায় আসলাম চৌধুরীকে পরিকল্পিত ইকোনোমিক্যালি প্যারালাইজড করে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির নেতা মোজাহের উদ্দিন আশরাফ বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আসলাম চৌধুরীর পুরো পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছে। কারাগারে আটক থাকাকালীন তিনি তার দুই সহোদর ভাই (ইছহাক কাদের চৌধুরী ও মঈন চৌধুরী)-কে হারান। চরম অমানবিকতা দেখিয়ে সরকার তাকে প্যারোলে মুক্তি না দেওয়ায় প্রিয় ভাইদের মুখখানি শেষবারের মত দেখার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন। এ ছাড়াও তিনি দীর্ঘ বছর কারাবন্দি থাকার কারণে তার একমাত্র আদরের কন্যার বেড়ে ওঠা দেখতে পারেননি, যা একজন পিতা হিসেবে তার জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ।
ছাত্রদলের নেতা জাহেদ চৌধুরী বলেন, আসলাম চৌধুরীর পারিবারিক শিল্প গ্রুপ রাইজিং গ্রুপের সকল ব্যবসা-বাণিজ্য ও প্রতিষ্ঠান লুট করে নেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী হাসান মাহমুদ উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের তেল শোধনাগার দখল করে নেন। এই অর্থনৈতিক নির্যাতন ছিল তাকে রাজনীতি থেকে চিরতরে দূরে সরিয়ে দেওয়ার নীলনকশা।
ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর ২০ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করলে হাজার হাজার নেতাকর্মী তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়। তার দীর্ঘ সংগ্রাম ও ত্যাগের কারণে তৃণমূলের কাছে তিনি প্রাণভোমরা হিসেবে পরিচিত।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতার দীর্ঘ সংগ্রাম, কারাবাস ও সর্বোচ্চ ত্যাগের পরও সাম্প্রতি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত সীতাকুণ্ডের মানুষকে গভীর স্তব্ধ করে দিয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সীতাকুণ্ড-৪ সংসদীয় আসনে কাজী সালাউদ্দিনকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা এক যৌথ জরুরি সভায় প্রশ্ন তুলেন, শুধু রাজনৈতিক কারণে আসলাম চৌধুরী বারবার কারাবরণ করেছেন এবং তার বড়ভাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইছহাক কাদের চৌধুরী অনেকগুলো মামলার আসামি হয়ে পুলিশের নির্যাতনে স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন। তার আরেক ছোট ভাই মঈন চৌধুরীও স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন। সীতাকুণ্ড উপজেলা একটা বৃহত্তর কারাগারে রূপান্তরিত হয়েছিল। বিএনপির এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হননি এমনকি কারাগারে যাননি। কিন্তু কাজী সালাউদ্দিন জীবনে কখনও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হননি, এমনকি জেলও খাটেননি। তিনি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে একাকার হয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন। পরবর্তীতে সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের ব্যবসা-বাণিজ্যের রক্ষা করেছেন। তৃণমূলের মতামত না নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে যার কোনো অবদান নেই এমন একজনকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার ঘোষণায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা স্তব্ধ হয়ে পড়েন।
তৃণমূল নেতাকর্মীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সুবিধাভোগী এই কাজী সালাউদ্দিনের সাথে সীতাকুণ্ডের ১২০ ওয়ার্ডের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কোনো নেতাকর্মী নেই। তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে কেন্দ্রের চাপিয়ে দেয়া সম্ভাব্য প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিনকে কোনোভাবেই তারা মেনে নেবেন না। আসলাম চৌধুরী দলের দুর্দিনে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। সুতরাং কেন্দ্র ঘোষিত প্রার্থী সালাউদ্দিন প্রত্যাহার করার দাবিতে কেন্দ্রীয় কমিটির, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ম্যাডাম খালেদা জিয়ার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করবেন। এরপরও কেন্দ্র যদি কাজী সালাউদ্দিনকে প্রত্যাহার না করেন তাহলে প্রয়োজনে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।
ওই যৌথ সভায় বিএনপি ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আরও বলেন, অধ্যাপক আসলাম চৌধুরীর মতো একজন ত্যাগী, নির্যাতিত এবং জননন্দিত নেতার প্রতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এমন অবিচার সীতাকুণ্ডের বিএনপির রাজনীতিতে এক গভীর বিভেদ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে। যা আগামী দিনের রাজনীতির জন্য এক অশনি সংকেত।

এক দশক ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্মম নির্যাতনের শিকার ও কারাবন্দি অবস্থায় দুই সহোদর ভাইকে হারানো অধ্যাপক আসলাম চৌধুরীর প্রতি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অবহেলায় সীতাকুণ্ডের বিএনপি রাজনীতিতে গভীর হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তৃণমূলের অভিযোগ— সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের পরও আসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন না দিয়ে জিরো কন্ট্রিবিউশন থাকা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করা আর্থিক সুবিধাভোগী কাজী সালাউদ্দিনকে কেন্দ্র থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্তব্ধ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রের ভুল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আলটিমেটাম দেন। অন্যথায় বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত এই আসনটি হারাতে হবে বলেও জানান তারা।
২০১৩ ও ২০১৪ সালে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের লক্ষে আসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে সীতাকুণ্ডে এক দুঃসাহসিক আন্দোলন গড়ে ওঠে। ওই আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের লাইফলাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অচল হয়ে পড়ে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সাথে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং শেখ হাসিনার মসনদ কেঁপে উঠে। সেই দুঃসাহসিক পদক্ষেপই আসলাম চৌধুরী শেখ হাসিনার প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়। চট্টগ্রামের জনপ্রিয় এই নেতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ৪ বার কারাবরণ করেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মসনদ নিরাপদে রাখতে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৭৬টি মামলা দেওয়া হয়। সর্বশেষে ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে একটানা প্রায় ৯ বছর তিনি কারাগারে বন্দি জীবন কাটান চরম নির্যাতনে।
২০১৬ সালের ১৫ মে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং ইসরাইলের লিকুদ পার্টির নেতার সঙ্গে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়। আসলাম চৌধুরী এটিকে পরিকল্পিত ফাঁদ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। বিএনপির নেতাদের দাবি, এটি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র'-এর পরিকল্পনা। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য জহুরুল আলম জহুর বলেন, ভারতের 'র' এর পরিকল্পনায় আসলাম চৌধুরীকে পরিকল্পিত ইকোনোমিক্যালি প্যারালাইজড করে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির নেতা মোজাহের উদ্দিন আশরাফ বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আসলাম চৌধুরীর পুরো পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছে। কারাগারে আটক থাকাকালীন তিনি তার দুই সহোদর ভাই (ইছহাক কাদের চৌধুরী ও মঈন চৌধুরী)-কে হারান। চরম অমানবিকতা দেখিয়ে সরকার তাকে প্যারোলে মুক্তি না দেওয়ায় প্রিয় ভাইদের মুখখানি শেষবারের মত দেখার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন। এ ছাড়াও তিনি দীর্ঘ বছর কারাবন্দি থাকার কারণে তার একমাত্র আদরের কন্যার বেড়ে ওঠা দেখতে পারেননি, যা একজন পিতা হিসেবে তার জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ।
ছাত্রদলের নেতা জাহেদ চৌধুরী বলেন, আসলাম চৌধুরীর পারিবারিক শিল্প গ্রুপ রাইজিং গ্রুপের সকল ব্যবসা-বাণিজ্য ও প্রতিষ্ঠান লুট করে নেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী হাসান মাহমুদ উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের তেল শোধনাগার দখল করে নেন। এই অর্থনৈতিক নির্যাতন ছিল তাকে রাজনীতি থেকে চিরতরে দূরে সরিয়ে দেওয়ার নীলনকশা।
ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর ২০ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করলে হাজার হাজার নেতাকর্মী তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়। তার দীর্ঘ সংগ্রাম ও ত্যাগের কারণে তৃণমূলের কাছে তিনি প্রাণভোমরা হিসেবে পরিচিত।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতার দীর্ঘ সংগ্রাম, কারাবাস ও সর্বোচ্চ ত্যাগের পরও সাম্প্রতি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত সীতাকুণ্ডের মানুষকে গভীর স্তব্ধ করে দিয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সীতাকুণ্ড-৪ সংসদীয় আসনে কাজী সালাউদ্দিনকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা এক যৌথ জরুরি সভায় প্রশ্ন তুলেন, শুধু রাজনৈতিক কারণে আসলাম চৌধুরী বারবার কারাবরণ করেছেন এবং তার বড়ভাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইছহাক কাদের চৌধুরী অনেকগুলো মামলার আসামি হয়ে পুলিশের নির্যাতনে স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন। তার আরেক ছোট ভাই মঈন চৌধুরীও স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন। সীতাকুণ্ড উপজেলা একটা বৃহত্তর কারাগারে রূপান্তরিত হয়েছিল। বিএনপির এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হননি এমনকি কারাগারে যাননি। কিন্তু কাজী সালাউদ্দিন জীবনে কখনও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হননি, এমনকি জেলও খাটেননি। তিনি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে একাকার হয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন। পরবর্তীতে সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের ব্যবসা-বাণিজ্যের রক্ষা করেছেন। তৃণমূলের মতামত না নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে যার কোনো অবদান নেই এমন একজনকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার ঘোষণায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা স্তব্ধ হয়ে পড়েন।
তৃণমূল নেতাকর্মীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সুবিধাভোগী এই কাজী সালাউদ্দিনের সাথে সীতাকুণ্ডের ১২০ ওয়ার্ডের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কোনো নেতাকর্মী নেই। তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে কেন্দ্রের চাপিয়ে দেয়া সম্ভাব্য প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিনকে কোনোভাবেই তারা মেনে নেবেন না। আসলাম চৌধুরী দলের দুর্দিনে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। সুতরাং কেন্দ্র ঘোষিত প্রার্থী সালাউদ্দিন প্রত্যাহার করার দাবিতে কেন্দ্রীয় কমিটির, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ম্যাডাম খালেদা জিয়ার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করবেন। এরপরও কেন্দ্র যদি কাজী সালাউদ্দিনকে প্রত্যাহার না করেন তাহলে প্রয়োজনে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।
ওই যৌথ সভায় বিএনপি ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আরও বলেন, অধ্যাপক আসলাম চৌধুরীর মতো একজন ত্যাগী, নির্যাতিত এবং জননন্দিত নেতার প্রতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এমন অবিচার সীতাকুণ্ডের বিএনপির রাজনীতিতে এক গভীর বিভেদ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে। যা আগামী দিনের রাজনীতির জন্য এক অশনি সংকেত।

বিগত তিনটি বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভুয়া ও রাতের ভোটের কারিগরদের নিয়ে অনুষ্ঠিত শুনানি শেষ হয়েছে। দুদফায় অনুষ্ঠিত এ শুনানি গতকাল শনিবার শেষ হয়। এর আগে গত শুক্রবার চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে এ শুনানি শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ভূমি অধিগ্রহণে দীর্ঘসূত্রতাসহ নানা জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত পাবনার নগরবাড়ী নৌবন্দর উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পণ্য খালাসে আগের চেয়ে গতি বাড়বে প্রায় ১০ গুণ। রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি বাড়বে কর্মসংস্থানও।
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রাম শহর থেকে মাত্র দশ কিলোমিটার দূরে বায়েজিদ থানার আতুরার দীপু। সেখান থেকে আরও কয়েক কিলোমিটার ভেতরে চালিতাতলীর খন্দকারপাড়া।
৭ ঘণ্টা আগে
বাঁশখালীতে বিএনপির ঘোষিত মনোনয়ন প্রত্যাখান করে কারানির্যাতিত নেতা ও মনোনয়নবঞ্চিত লিয়াকত আলীর পক্ষে মশাল মিছিল করেছেন তার সমর্থকরা।
৭ ঘণ্টা আগে