সরকারি সহযোগিতা চান মৎস্য খামারিরা
ইউনুছ শরীফ, ভোলা
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে মৎস্য খামারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলায় ২৩৭টি মাছের ঘের, ২ হাজার ৬২৬টি পুকুরের মোট ৪৬৩ হেক্টর জমির ঘেরের মাছ ও পুকুরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সরকারি হিসেবে ৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা প্রাথমিক নিরূপণ হলেও খামারিদের দাবি ক্ষয়ক্ষতি ৩ গুণের বেশি। এক্ষেত্রে সরকারি সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারিরা।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য ও ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে ভোলা জেলার সকল উপজেলার মৎস্য খামারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চরফ্যাশন ও ভোলা সদর উপজেলায়। জেলায় ২ শত ৩৭টি মাছের ঘের। যার পরিমাণ ১ শত ৫১ হেক্টর জমি। ২ হাজার ৬ শত ২৬টি পুকুর, যার পরিমাণ ৩ শত ১২ হেক্টর জমির মাছ ভেসে গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘের ও পুকুরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
ক্ষতিগ্রস্ত ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বাঘমারা মৌজার, রূপালী মৎস্য খামার ও হ্যাচারির (রূপালী ব্রিকস হ্যাচারি নামে পরিচিত) স্বত্বাধিকারী আমির হোসেন জানান, ৯০ একর জমিতে জেলার সর্ববৃহৎ হ্যাচারি তৈরি করে রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদন করে আসছি। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলাতেও সরবরাহ করে থাকি। এ বছর খামারটিতে ২০ কোটি রেনু পোনা উৎপাদিত হয়েছে, যা ঘূর্ণিঝড় শক্তির তাণ্ডবে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে ভেসে গেছে। এতে আমার প্রায় ১৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকারি হিসাবে ক্ষয়ক্ষতি আমাদের ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ অনেক বেশি। এক্ষেত্রে আমাদের সরকারি অনুদান প্রয়োজন।
রূপালী মৎস্য খামার ও হ্যাচারির ডাক্তার দুলাল বলেন, আমি দীর্ঘদিন এ প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি। আমার হাতেই বিভিন্ন প্রজাতির কোটি কোটি রেনু পোনা উৎপাদিত এবং বিক্রিও করি। কিন্তু এ বছর ঘূর্ণিঝড়ে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব।
এ ছাড়া ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চর মনষা গ্রামে ৪০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত সবুজ বাংলা কৃষি খামারেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে এই খামারের বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক লাখ মাছের পোনা পানিতে ভেসে গেছে। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা।
অপরদিকে একই উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামের ৭ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হক অ্যাগ্রিকালচারের খামারেরও মাছ পানিতে ভেসে গেছে। খামারের মালিক সাইদুল হক শামিম জানান, ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে তার খামারের রুই, কাতলা, মৃগেল, কোড়াল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজারিত মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে তার ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের ফাতেমা হ্যাচারি, বাঘমারা গ্রামের রশিদ হ্যাচারি এন্ড মৎস্য খামারেরও ক্ষতি হয়েছে। এসকল খামারের মালিক নুর হোসেন ও আব্দুর রশিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে তাদের খামারের অনেক মাছের পোনা ও মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এ দুই খামারে অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা। এ ছাড়াও জেলার সকল উপজেলায় কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মৎস্য অধিদপ্তর।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ২৩৭টি মাছের ঘের পরিদর্শন করেছি যার পরিমাণ ১৫১ হেক্টর। ২ হাজার ৬২৬টি পুকুর পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত এসব পুকুরের পরিমাণ ৩১২ হেক্টর। এসব ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে এবং খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হিসাবে তাদের ক্ষতির পরিমাণ দেখা গেছে ৭ শত ১৬ লক্ষ টাকা। এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
সরকারি কোনো বরাদ্দ আসলে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারিদের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে মৎস্য খামারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলায় ২৩৭টি মাছের ঘের, ২ হাজার ৬২৬টি পুকুরের মোট ৪৬৩ হেক্টর জমির ঘেরের মাছ ও পুকুরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সরকারি হিসেবে ৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা প্রাথমিক নিরূপণ হলেও খামারিদের দাবি ক্ষয়ক্ষতি ৩ গুণের বেশি। এক্ষেত্রে সরকারি সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারিরা।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য ও ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে ভোলা জেলার সকল উপজেলার মৎস্য খামারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চরফ্যাশন ও ভোলা সদর উপজেলায়। জেলায় ২ শত ৩৭টি মাছের ঘের। যার পরিমাণ ১ শত ৫১ হেক্টর জমি। ২ হাজার ৬ শত ২৬টি পুকুর, যার পরিমাণ ৩ শত ১২ হেক্টর জমির মাছ ভেসে গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘের ও পুকুরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
ক্ষতিগ্রস্ত ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বাঘমারা মৌজার, রূপালী মৎস্য খামার ও হ্যাচারির (রূপালী ব্রিকস হ্যাচারি নামে পরিচিত) স্বত্বাধিকারী আমির হোসেন জানান, ৯০ একর জমিতে জেলার সর্ববৃহৎ হ্যাচারি তৈরি করে রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদন করে আসছি। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলাতেও সরবরাহ করে থাকি। এ বছর খামারটিতে ২০ কোটি রেনু পোনা উৎপাদিত হয়েছে, যা ঘূর্ণিঝড় শক্তির তাণ্ডবে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে ভেসে গেছে। এতে আমার প্রায় ১৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকারি হিসাবে ক্ষয়ক্ষতি আমাদের ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ অনেক বেশি। এক্ষেত্রে আমাদের সরকারি অনুদান প্রয়োজন।
রূপালী মৎস্য খামার ও হ্যাচারির ডাক্তার দুলাল বলেন, আমি দীর্ঘদিন এ প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি। আমার হাতেই বিভিন্ন প্রজাতির কোটি কোটি রেনু পোনা উৎপাদিত এবং বিক্রিও করি। কিন্তু এ বছর ঘূর্ণিঝড়ে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব।
এ ছাড়া ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চর মনষা গ্রামে ৪০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত সবুজ বাংলা কৃষি খামারেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে এই খামারের বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক লাখ মাছের পোনা পানিতে ভেসে গেছে। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা।
অপরদিকে একই উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামের ৭ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হক অ্যাগ্রিকালচারের খামারেরও মাছ পানিতে ভেসে গেছে। খামারের মালিক সাইদুল হক শামিম জানান, ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে তার খামারের রুই, কাতলা, মৃগেল, কোড়াল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজারিত মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে তার ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের ফাতেমা হ্যাচারি, বাঘমারা গ্রামের রশিদ হ্যাচারি এন্ড মৎস্য খামারেরও ক্ষতি হয়েছে। এসকল খামারের মালিক নুর হোসেন ও আব্দুর রশিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে তাদের খামারের অনেক মাছের পোনা ও মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এ দুই খামারে অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা। এ ছাড়াও জেলার সকল উপজেলায় কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মৎস্য অধিদপ্তর।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ২৩৭টি মাছের ঘের পরিদর্শন করেছি যার পরিমাণ ১৫১ হেক্টর। ২ হাজার ৬২৬টি পুকুর পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত এসব পুকুরের পরিমাণ ৩১২ হেক্টর। এসব ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে এবং খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হিসাবে তাদের ক্ষতির পরিমাণ দেখা গেছে ৭ শত ১৬ লক্ষ টাকা। এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
সরকারি কোনো বরাদ্দ আসলে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারিদের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
২ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
৩ ঘণ্টা আগে