পটুয়াখালীর মহিপুর মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে সদ্য ঘোষিত কমিটিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্যাডারদের পুনর্বাসন করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগ নেতাদের পুনর্বাসন করার কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

গত মঙ্গলবার রাতে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম চৌধুরী ও সদস্য সচিব জাকারিয়া আহম্মেদ স্বাক্ষরিত প্যাডে মো. রবিউল ইসলামকে সভাপতি ও আসিবুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট কলেজ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন নবনির্বাচিত সভাপতি রবিউল ও প্রচার সম্পাদক রাফি। অভিযোগ রয়েছে, দুজনই আগে একই কলেজের ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন এবং ছাত্রলীগের বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতেন। সামাজিক মাধ্যমে তাদের ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট পুরোনো ছবি এবং পোস্ট ভাইরাল হয়ে পড়ে।

এমনকি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাফসান আহম্মেদ রাকিব রসিকতার ছলে রাফিকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘মজার ব্যাপার হলো, একজন ছোট ভাই ছাত্রলীগে যে পোস্টে ছিল, ছাত্রদলেও সেই পোস্টেই আছে—শুধু ছাত্রলীগের জায়গায় ছাত্রদল এ্যাড হইছে। যাই হোক, অভিনন্দন।’

সাবেক ও বর্তমান ছাত্রদলের একাংশ এই কমিটিকে ‘আদর্শচ্যুত ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের দিয়ে গঠিত’ উল্লেখ করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে কমিটি বাতিলের দাবি তুলেছেন। তারা মনে করছেন, এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

তবে ছাত্রদলের একাধিক সাবেক-বর্তমান নেতা জানান, নতুন কমিটি গঠনে নিয়ম মেনে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হয়েছে এবং ত্যাগী ও কার্যকর কর্মীদের স্থান দেওয়া হয়েছে। একটি পক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে কমিটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম চৌধুরী বলেন, মহিপুর কলেজ ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে আমরা অবগত আছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।