নিকুঞ্জ বালা পলাশ, বরিশাল
অন্যতম প্রাচীন স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ। শিক্ষা বিস্তারের মহান ব্রত নিয়ে প্রায় দুই শতাব্দী ধরে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে জ্ঞানের আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে চলেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘ পথচলায় এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে স্বনামে দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়ে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন অনেক গুণীজন। দেশে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক গড়তে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বরিশাল জিলা স্কুল সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখেছে। এ কারণে জেলার মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ স্কুলে ভর্তি হয়ে থাকে। এ স্কুলে অধ্যয়ন করে হাজার হাজার মেধাবী শিক্ষার্থী নিজেকে বিকশিত করে দেশ ও সমাজকে আলোকিত করে চলেছেন। দেশ পরিচালনাসহ জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা আর মেধা বিস্তারের ক্ষেত্রে বরিশাল জিলা স্কুল অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
এ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেনÑঅবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক, অবিভক্ত বাংলার মন্ত্রী ও বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য খান বাহাদুর হাসেম আলী খান, সাবেক স্পিকার আবদুল জব্বার খান, সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাস, বিখ্যাত সংগীতশিল্পী, একুশের গানের সুরকার ও মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আলতাফ মাহামুদ, কালী প্রসন্ন ঘোষ, ভাষা সৈনিক কাজী বাহাউদ্দীন আহম্মেদ, বিচারপতি আব্দুর রহমান চৌধুরী, কথাশিল্পী বুদ্ধদেব গুহ, সাবেক সেনা প্রধান হাসান মশহুদ চৌধুরী, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, শরৎ চন্দ্র গুহক্ষেত্র মোহন ঘোষ, দার্শনিক সরদার ফজলুল করিম, শিল্পী গোলাম মুস্তাফা, যোগেশ চন্দ্র গুহ, কমরেড প্রমোদ দাশ গুপ্তসহ বিভিন্ন খ্যাতিমান ব্যক্তি।
১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে এই স্কুলের ছাত্ররা গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখে। ১৮২৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর মি. এন ডব্লিউ গ্যারেট স্থানীয় জনসাধারণের সহায়তায় নগরীর প্রাণকেন্দ্রে ‘বরিশাল ইংলিশ স্কুল’ নামে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। তবে ১৮৫৩ সালে এ বিদ্যালয়টিই বরিশাল জিলা স্কুল হিসেবে নামকরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৫ বছর অতিক্রম করে এখনও জ্ঞান বিতরণ করে যাচ্ছে বিদ্যালয়টি।
প্রতিষ্ঠার শুরুতেই মাত্র আটজন ছাত্র নিয়ে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ওই সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন মি. জন স্মিথ। প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে বিদ্যালয়টির সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে ১৮৫৩ সালে এ বিদ্যালয়টি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় যা ১৮৯১ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তবে নানা কারণে ১৮৯১ সালে বরিশাল জিলা স্কুলকে বেসরকারি স্কুল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি ও ভালো ফলাফল অব্যাহত থাকায় ১৯০৬ সালে আবারও জিলা স্কুলকে সরকারিকরণ করা হয়।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক অনিতা রানী হালদার জানান, হাতে-কলমে শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষার মানোনয়নে শ্রেণিকক্ষ ও ব্যবহারিক ক্লাসে ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ছাত্রদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, বিতর্ক, স্কাউটিং, বিএনসিসি, বিজ্ঞান ক্লাব, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কোমলমতি ছাত্রদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানো হয়।
তিনি বলেন, নিয়মিত ছাত্রদের শ্রেণি কার্যক্রম ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় যাতে বিদ্যালয় থেকে বাসায় ফিরে পড়াশোনায় বেগ পেতে না হয় । শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি ও ব্যবহারিক ক্লাসের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ কারণেই প্রতিবছরই এ বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা ঈর্ষান্বিত ফলাফল করছে।
প্রাচীন বিদ্যালয়টির জমির পরিমাণ ১৮ একর। বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ভবনসহ একাডেমিক ভবনের সংখ্যা ছয়টি। তবে একটি ভবনে বরিশাল কালেক্টরেট স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বর্তমানে বরিশাল জিলা স্কুলে একটি মসজিদ, একটি ছাত্রাবাস, প্রধান শিক্ষকের বাসভবন ও দু’টি খেলার মাঠ রয়েছে। এখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের জন্য একটি আধুনিক ল্যাবরেটরি রয়েছে। বিদ্যালয়ে দুই শিফটে মোট আড়াই হাজারেরও বেশি ছাত্র লেখাপড়া করছে। এখানে ৫৪ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন ৪৭ জন শিক্ষক।
শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিজ্ঞানাগার, গ্রন্থাগার, শিল্পকলা বিভাগ, বিএনসিসি, কাব ও স্কাউট কার্যক্রম। এছাড়া ছাত্রদের জন্য বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবং শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়। বার্ষিক মিলাদ ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান পালিত হয় এবং ম্যাগাজিন (সবুজপাতা) প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল জিলা স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র মো. রেজাউল করীম হারুন আমার দেশকে বলেন, বরিশাল জিলা স্কুলের সুনাম ও ঐতিহ্য এখনো টিকে আছে। প্রতিবছরই এখানে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে এবং ফলাফলের দিক থেকেও বেশ ভালো করছে। জিলা স্কুলের ছাত্র হিসেবে তিনি গর্ববোধ করেন।
এ বিষয়ে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মো. ফারুক আলম জানান, বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে জিলা স্কুল সব সময়ই ভালো ফলাফল করে আসছে। কয়েক বছর ধরে এ বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গত বিশ বছরে পাসের হার ৯৮ থেকে শতভাগ। এখনো শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য ভবন সংকট রয়েছে। নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে শিক্ষার পরিবেশ আরো উন্নত হবে।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা স্কুলের নবনিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর পুনরায় এ স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন। যতদিন এ বিদ্যালয়ের দায়িত্বে ছিলেন শিক্ষার মানোন্নয়নের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করেছেন। পড়াশোনা ও ফলাফলের দিক থেকে স্কুলটি হারানো গৌরব ফিরে পাবে বলে তিনি আশাবাদী।
অন্যতম প্রাচীন স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ। শিক্ষা বিস্তারের মহান ব্রত নিয়ে প্রায় দুই শতাব্দী ধরে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে জ্ঞানের আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে চলেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘ পথচলায় এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে স্বনামে দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়ে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন অনেক গুণীজন। দেশে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক গড়তে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বরিশাল জিলা স্কুল সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখেছে। এ কারণে জেলার মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ স্কুলে ভর্তি হয়ে থাকে। এ স্কুলে অধ্যয়ন করে হাজার হাজার মেধাবী শিক্ষার্থী নিজেকে বিকশিত করে দেশ ও সমাজকে আলোকিত করে চলেছেন। দেশ পরিচালনাসহ জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা আর মেধা বিস্তারের ক্ষেত্রে বরিশাল জিলা স্কুল অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
এ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেনÑঅবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক, অবিভক্ত বাংলার মন্ত্রী ও বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য খান বাহাদুর হাসেম আলী খান, সাবেক স্পিকার আবদুল জব্বার খান, সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাস, বিখ্যাত সংগীতশিল্পী, একুশের গানের সুরকার ও মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আলতাফ মাহামুদ, কালী প্রসন্ন ঘোষ, ভাষা সৈনিক কাজী বাহাউদ্দীন আহম্মেদ, বিচারপতি আব্দুর রহমান চৌধুরী, কথাশিল্পী বুদ্ধদেব গুহ, সাবেক সেনা প্রধান হাসান মশহুদ চৌধুরী, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, শরৎ চন্দ্র গুহক্ষেত্র মোহন ঘোষ, দার্শনিক সরদার ফজলুল করিম, শিল্পী গোলাম মুস্তাফা, যোগেশ চন্দ্র গুহ, কমরেড প্রমোদ দাশ গুপ্তসহ বিভিন্ন খ্যাতিমান ব্যক্তি।
১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে এই স্কুলের ছাত্ররা গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখে। ১৮২৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর মি. এন ডব্লিউ গ্যারেট স্থানীয় জনসাধারণের সহায়তায় নগরীর প্রাণকেন্দ্রে ‘বরিশাল ইংলিশ স্কুল’ নামে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। তবে ১৮৫৩ সালে এ বিদ্যালয়টিই বরিশাল জিলা স্কুল হিসেবে নামকরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৫ বছর অতিক্রম করে এখনও জ্ঞান বিতরণ করে যাচ্ছে বিদ্যালয়টি।
প্রতিষ্ঠার শুরুতেই মাত্র আটজন ছাত্র নিয়ে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। ওই সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন মি. জন স্মিথ। প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে বিদ্যালয়টির সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে ১৮৫৩ সালে এ বিদ্যালয়টি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় যা ১৮৯১ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তবে নানা কারণে ১৮৯১ সালে বরিশাল জিলা স্কুলকে বেসরকারি স্কুল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি ও ভালো ফলাফল অব্যাহত থাকায় ১৯০৬ সালে আবারও জিলা স্কুলকে সরকারিকরণ করা হয়।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক অনিতা রানী হালদার জানান, হাতে-কলমে শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষার মানোনয়নে শ্রেণিকক্ষ ও ব্যবহারিক ক্লাসে ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ছাত্রদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, বিতর্ক, স্কাউটিং, বিএনসিসি, বিজ্ঞান ক্লাব, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কোমলমতি ছাত্রদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানো হয়।
তিনি বলেন, নিয়মিত ছাত্রদের শ্রেণি কার্যক্রম ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় যাতে বিদ্যালয় থেকে বাসায় ফিরে পড়াশোনায় বেগ পেতে না হয় । শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি ও ব্যবহারিক ক্লাসের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ কারণেই প্রতিবছরই এ বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা ঈর্ষান্বিত ফলাফল করছে।
প্রাচীন বিদ্যালয়টির জমির পরিমাণ ১৮ একর। বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ভবনসহ একাডেমিক ভবনের সংখ্যা ছয়টি। তবে একটি ভবনে বরিশাল কালেক্টরেট স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বর্তমানে বরিশাল জিলা স্কুলে একটি মসজিদ, একটি ছাত্রাবাস, প্রধান শিক্ষকের বাসভবন ও দু’টি খেলার মাঠ রয়েছে। এখানে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের জন্য একটি আধুনিক ল্যাবরেটরি রয়েছে। বিদ্যালয়ে দুই শিফটে মোট আড়াই হাজারেরও বেশি ছাত্র লেখাপড়া করছে। এখানে ৫৪ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন ৪৭ জন শিক্ষক।
শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিজ্ঞানাগার, গ্রন্থাগার, শিল্পকলা বিভাগ, বিএনসিসি, কাব ও স্কাউট কার্যক্রম। এছাড়া ছাত্রদের জন্য বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবং শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়। বার্ষিক মিলাদ ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান পালিত হয় এবং ম্যাগাজিন (সবুজপাতা) প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল জিলা স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র মো. রেজাউল করীম হারুন আমার দেশকে বলেন, বরিশাল জিলা স্কুলের সুনাম ও ঐতিহ্য এখনো টিকে আছে। প্রতিবছরই এখানে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে এবং ফলাফলের দিক থেকেও বেশ ভালো করছে। জিলা স্কুলের ছাত্র হিসেবে তিনি গর্ববোধ করেন।
এ বিষয়ে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মো. ফারুক আলম জানান, বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে জিলা স্কুল সব সময়ই ভালো ফলাফল করে আসছে। কয়েক বছর ধরে এ বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গত বিশ বছরে পাসের হার ৯৮ থেকে শতভাগ। এখনো শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য ভবন সংকট রয়েছে। নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে শিক্ষার পরিবেশ আরো উন্নত হবে।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা স্কুলের নবনিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর পুনরায় এ স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন। যতদিন এ বিদ্যালয়ের দায়িত্বে ছিলেন শিক্ষার মানোন্নয়নের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করেছেন। পড়াশোনা ও ফলাফলের দিক থেকে স্কুলটি হারানো গৌরব ফিরে পাবে বলে তিনি আশাবাদী।
টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকাবস্থায় হারুন অর রশিদকে গত ১৮ অক্টোবর (শনিবার) গভর্নিং বডির মাসিক সভা ডাকার নির্দেশ দেওয়া হলে তিনি রহস্যজনক কারণে সভা ডাকেননি। এছাড়াও ১৯ অক্টোবর (রোববার) ফের স্কুলে মিটিং ডাকার জন্য বলা হলে মিটিং ডাকবেন বলে জানান
৮ মিনিট আগেইলিশ মাছ বিতরণের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা দিয়েছেন ফরিদপুর- ৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা রায়হান জামিল। আগামী ৩০ অক্টোবর ১ টাকা কেজিতে ভাঙ্গা উপজেলার ১০০ অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে তিনি মাংস বিতরণের এ ঘোষণা দিয়েছেন।
২১ মিনিট আগেজুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মো. জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া ধর্ষণ মামলার দুই আসামির ১৩ ও একজনের ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার সকালে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।
২ ঘণ্টা আগেফায়ার সার্ভিসের দাবি, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, পানির পর্যাপ্ত উৎসের অভাব এবং সমন্বয়হীনতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। বিশেষ করে বন্দর, বিমানবন্দর, ইপিজেড ও জাহাজভাঙা শিল্পাঞ্চলে আগুন নেভাতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কারণ, এসব স্থানে আগুন লাগার খবর অনেক সময় দেরিতে পৌঁছ
৪ ঘণ্টা আগে