চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহ শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় জ্বালানি তেলের প্রধান স্থাপনা (এমআই) প্রান্তে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
উদ্বোধন শেষে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, বিগত সরকারের আমলে জ্বালানি তেল ক্রয় প্রক্রিয়ায় এমন সব শর্ত ছিল যে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ৫-৬ টি প্রতিষ্ঠানের বেশি অংশ নিতে পারতো না। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে টেন্ডারের শর্ত সামান্য শিথিল করায় এখন ১১-১২ টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। ছোট্ট এই সংস্কারে গত এক বছরে ১৪০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, লাইটার ট্যাংকারে তেল পরিবহনের কারণে ১৭ শতাংশ সিস্টেম লসের নামে অপচয় হতো। পাইপ লাইনে জ্বালানি সরবরাহ পুরোদমে শুরু হলে সেই কথিত সিস্টেম লসের নামে অপচয়ও অনেকাংশে কমে আসবে।
তিনি আরো বলেন, দুর্নীতি আর অপচয়ের কারণে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আশার পর দুর্নীতি আর অপচয় রোধে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।
সারাদেশে যে পরিমাণ জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে তার প্রায় ৩৫ শতাংশ চাহিদা রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায়। তাই বড় এই অংশটি পাইপলাইনে সরবরাহ হওয়ায় বছরে ২২৬ কোটি টাকার শুধু সিস্টেমলস সাশ্রয় হবে। এছাড়া পরিবেশ দুষণও কমবে।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেমন বেসরকারি খাতে রিফাইনারী আছে বাংলাদেশ সেই চিন্তা করছে। তবে আগে যেমন একটি বা দুটি সুনির্দিষ্ট গ্রুপের হাতে ছাড়ার পরিকল্পনা ছিলো এই সরকার তা ভেঙ্গে দিয়েছে। এখন জ্বালানি তেল পরিশোধন বা বিপণনের দায়িত্ব বেসরকারি পর্যায়ে ছাড়লে তা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
উদ্বোধন শেষে তিনি প্রকল্প এলাকা এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ঘুরে দেখেন। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, এই প্রকল্প উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে জ্বালানি পরিবহন খাতে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। আগে ঢাকায় জ্বালানি পরিবহনে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা লাগতো, সেখানে পাইপলাইনে এখন সেটা ১২ ঘণ্টা লাগবে। এতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ খরচ সাশ্রয় হবে। বাঁচবে সময়ও।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, বছরে ৫০ লাখ টন জ্বালানি তেল সরবরাহের সক্ষমতাসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত, সিস্টেম লস কমানো, নৌপথে তেল পরিবহনের বিপুল খরচ সাশ্রয়, পরিবেশ সুরক্ষা, ঝুঁকিমুক্তভাবে দ্রুত সময়ে তেল পরিবহনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়।
তিন হাজার ৬৫৩ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা হয় প্রকল্পটি। সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রায় ২ হাজার ৮৬১ কোটি টাকায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়।
২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ ধরা হয়েছিল। কিন্তু কাজ শুরু করতে প্রকল্পের সময় পেরিয়ে যায়। পরে ২০২২ সালের ডিসেম্বর এবং তৃতীয় দফায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। চলতি বছরের মার্চে কাজ শেষ হয়। এতে খরচ বেড়ে তিন হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাইফুল ইসলাম, বিপিসি’র চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চীফ মেজর জেনারেল হাসান উজ জামান।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহ শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় জ্বালানি তেলের প্রধান স্থাপনা (এমআই) প্রান্তে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
উদ্বোধন শেষে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, বিগত সরকারের আমলে জ্বালানি তেল ক্রয় প্রক্রিয়ায় এমন সব শর্ত ছিল যে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ৫-৬ টি প্রতিষ্ঠানের বেশি অংশ নিতে পারতো না। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে টেন্ডারের শর্ত সামান্য শিথিল করায় এখন ১১-১২ টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। ছোট্ট এই সংস্কারে গত এক বছরে ১৪০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, লাইটার ট্যাংকারে তেল পরিবহনের কারণে ১৭ শতাংশ সিস্টেম লসের নামে অপচয় হতো। পাইপ লাইনে জ্বালানি সরবরাহ পুরোদমে শুরু হলে সেই কথিত সিস্টেম লসের নামে অপচয়ও অনেকাংশে কমে আসবে।
তিনি আরো বলেন, দুর্নীতি আর অপচয়ের কারণে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আশার পর দুর্নীতি আর অপচয় রোধে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।
সারাদেশে যে পরিমাণ জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে তার প্রায় ৩৫ শতাংশ চাহিদা রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায়। তাই বড় এই অংশটি পাইপলাইনে সরবরাহ হওয়ায় বছরে ২২৬ কোটি টাকার শুধু সিস্টেমলস সাশ্রয় হবে। এছাড়া পরিবেশ দুষণও কমবে।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেমন বেসরকারি খাতে রিফাইনারী আছে বাংলাদেশ সেই চিন্তা করছে। তবে আগে যেমন একটি বা দুটি সুনির্দিষ্ট গ্রুপের হাতে ছাড়ার পরিকল্পনা ছিলো এই সরকার তা ভেঙ্গে দিয়েছে। এখন জ্বালানি তেল পরিশোধন বা বিপণনের দায়িত্ব বেসরকারি পর্যায়ে ছাড়লে তা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
উদ্বোধন শেষে তিনি প্রকল্প এলাকা এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ঘুরে দেখেন। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, এই প্রকল্প উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে জ্বালানি পরিবহন খাতে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। আগে ঢাকায় জ্বালানি পরিবহনে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা লাগতো, সেখানে পাইপলাইনে এখন সেটা ১২ ঘণ্টা লাগবে। এতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ খরচ সাশ্রয় হবে। বাঁচবে সময়ও।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, বছরে ৫০ লাখ টন জ্বালানি তেল সরবরাহের সক্ষমতাসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত, সিস্টেম লস কমানো, নৌপথে তেল পরিবহনের বিপুল খরচ সাশ্রয়, পরিবেশ সুরক্ষা, ঝুঁকিমুক্তভাবে দ্রুত সময়ে তেল পরিবহনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়।
তিন হাজার ৬৫৩ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা হয় প্রকল্পটি। সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রায় ২ হাজার ৮৬১ কোটি টাকায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়।
২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ ধরা হয়েছিল। কিন্তু কাজ শুরু করতে প্রকল্পের সময় পেরিয়ে যায়। পরে ২০২২ সালের ডিসেম্বর এবং তৃতীয় দফায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। চলতি বছরের মার্চে কাজ শেষ হয়। এতে খরচ বেড়ে তিন হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাইফুল ইসলাম, বিপিসি’র চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চীফ মেজর জেনারেল হাসান উজ জামান।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলে বর্তমান সরকার আর কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবে না। সে কারণে দ্রুত পিডি নিয়োগ করে নভেম্বরেই কাজ শুরু করতে হবে। সেটি করা না হলে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন টাকা না দিলেও নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানান তারা।
৩০ মিনিট আগেময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
১ ঘণ্টা আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
২ ঘণ্টা আগে