জেলা প্রতিনিধি, ফেনী
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে ফেনীর মহিপালে ছাত্র-জনতার উপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞের পর জনরোষ থেকে বাঁচতে দলের শীর্ষ অপরাধীদের অনেকেই দেশ ছেড়ে পালায় এবং কেউ কেউ গা-ঢাকা দেয়। তবুও জেলার রাজাঝির দিঘীর পাড়ের প্রায় এক কিমি সড়ক এখনও অবৈধ দখলদারিত্বে রয়েছে।
স্থানীয় জনগণের প্রশ্ন, শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহাসিক রাজাঝির দিঘীর পাড়ের সড়ক বন্ধ করে অস্থায়ীভাবে নির্মিত চার শতাধিক অবৈধ দোকানের মাসিক চার লক্ষাধিক টাকা মাসোয়ারা বর্তমানে কার পকেটে যাচ্ছে?
তাদের দাবি, এ সব চিহ্নিত দখলদারদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে না পারলে এ অপরাধ ক্রমান্বয়ে আরো বৃদ্ধি পাবে। জেলা ও পৌর প্রশাসনের যৌথ অভিযানের মাধ্যমে সড়কটি দখলমুক্ত করা সম্ভব হলে শহরের প্রতিদিনের অসহনীয় যানজট অনেকটাই কমে আসবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে দিঘীর সৌন্দর্য বিনষ্টকারী অবৈধ দোকানগুলো সরিয়ে দিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা বৈঠক শেষে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থাপনা সরিয়ে নেয়া না হলে উচ্ছেদ করা হবে বলেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ১৭ ডিসেম্বর তৎকালীন ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পি কে এম এনামুল করিমের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে অবৈধ দোকানপাট গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে জলবায়ু প্রকল্পের আওতায় দিঘীর সৌন্দর্যবর্ধন ও বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ করা হয়। কিন্তু এর কিছুদিন পর এ স্থানে আবারও অবৈধ দখল হয়,যা স্থানীয়দের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়।
এক অনুসন্ধানে জানা যায়, দিঘীর পাড়ের দু’শতাধিক দোকান একসময় আওয়ামী লীগ নেতা বেলায়েত হোসেনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তিনি এসব দোকান থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা আদায় করে পৌরসভার তৎকালীন কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা লুৎফুর রহমান খোকন হাজারীকে দিতেন। এসব দোকানে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়।
এছাড়া জানা যায়, স্থানটির নেতৃত্বদানকারী বেলায়েতের সঙ্গে বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এবং সে বর্তমানে আত্মগোপনে আছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ২৪ -র গণঅভ্যুত্থানের পর অনেক অবৈধ দখলদাররা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেলেও বর্তমানে আবার দখল বাড়ছে। তারা ফেনীর প্রশাসনের কাছে এই অবস্থা থেকে মুক্তির দাবি করছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন 'দৈনিক আমার দেশ'কে জানান, শীঘ্রই পুরো রাজাঝির দীঘির পাড়টি অবৈধ দখলমুক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি বিষয়টি জেনেছেন এবং দখলকৃত জায়গাগুলো উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ফেনী জেলার প্রাচীন ঐতিহ্যের মধ্যে রাজাঝির দিঘী অন্যতম। জনশ্রুতি আছে, ৫শ' বছর আগে এই দীঘিটি ত্রিপুরার এক রাজা তার কন্যার অন্ধত্ব দূর করার জন্য খনন করেন। বর্তমানে, এই দীঘির চারপাশের অবকাঠামো এবং সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনগণের আশা, অপকর্ম সমাধান হবে।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে ফেনীর মহিপালে ছাত্র-জনতার উপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞের পর জনরোষ থেকে বাঁচতে দলের শীর্ষ অপরাধীদের অনেকেই দেশ ছেড়ে পালায় এবং কেউ কেউ গা-ঢাকা দেয়। তবুও জেলার রাজাঝির দিঘীর পাড়ের প্রায় এক কিমি সড়ক এখনও অবৈধ দখলদারিত্বে রয়েছে।
স্থানীয় জনগণের প্রশ্ন, শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহাসিক রাজাঝির দিঘীর পাড়ের সড়ক বন্ধ করে অস্থায়ীভাবে নির্মিত চার শতাধিক অবৈধ দোকানের মাসিক চার লক্ষাধিক টাকা মাসোয়ারা বর্তমানে কার পকেটে যাচ্ছে?
তাদের দাবি, এ সব চিহ্নিত দখলদারদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে না পারলে এ অপরাধ ক্রমান্বয়ে আরো বৃদ্ধি পাবে। জেলা ও পৌর প্রশাসনের যৌথ অভিযানের মাধ্যমে সড়কটি দখলমুক্ত করা সম্ভব হলে শহরের প্রতিদিনের অসহনীয় যানজট অনেকটাই কমে আসবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে দিঘীর সৌন্দর্য বিনষ্টকারী অবৈধ দোকানগুলো সরিয়ে দিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা বৈঠক শেষে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থাপনা সরিয়ে নেয়া না হলে উচ্ছেদ করা হবে বলেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ১৭ ডিসেম্বর তৎকালীন ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পি কে এম এনামুল করিমের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে অবৈধ দোকানপাট গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে জলবায়ু প্রকল্পের আওতায় দিঘীর সৌন্দর্যবর্ধন ও বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ করা হয়। কিন্তু এর কিছুদিন পর এ স্থানে আবারও অবৈধ দখল হয়,যা স্থানীয়দের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়।
এক অনুসন্ধানে জানা যায়, দিঘীর পাড়ের দু’শতাধিক দোকান একসময় আওয়ামী লীগ নেতা বেলায়েত হোসেনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তিনি এসব দোকান থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা আদায় করে পৌরসভার তৎকালীন কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা লুৎফুর রহমান খোকন হাজারীকে দিতেন। এসব দোকানে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়।
এছাড়া জানা যায়, স্থানটির নেতৃত্বদানকারী বেলায়েতের সঙ্গে বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এবং সে বর্তমানে আত্মগোপনে আছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ২৪ -র গণঅভ্যুত্থানের পর অনেক অবৈধ দখলদাররা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেলেও বর্তমানে আবার দখল বাড়ছে। তারা ফেনীর প্রশাসনের কাছে এই অবস্থা থেকে মুক্তির দাবি করছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন 'দৈনিক আমার দেশ'কে জানান, শীঘ্রই পুরো রাজাঝির দীঘির পাড়টি অবৈধ দখলমুক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি বিষয়টি জেনেছেন এবং দখলকৃত জায়গাগুলো উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ফেনী জেলার প্রাচীন ঐতিহ্যের মধ্যে রাজাঝির দিঘী অন্যতম। জনশ্রুতি আছে, ৫শ' বছর আগে এই দীঘিটি ত্রিপুরার এক রাজা তার কন্যার অন্ধত্ব দূর করার জন্য খনন করেন। বর্তমানে, এই দীঘির চারপাশের অবকাঠামো এবং সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনগণের আশা, অপকর্ম সমাধান হবে।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকলেও শহরের মানুষের চলাচল ছিল কম।
২৭ মিনিট আগেখুলনায় যুবদল নেতা মাহবুব হত্যার ঘটনায় নিরীহ ব্যক্তিদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
১ ঘণ্টা আগেবিগত ১৭ বছর ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। আজ তাকে নিয়েও অনেক অপপ্রচার ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হচ্ছে। আগামীতে কোনো অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই আন্দোলনে নিহত শহীদ পাভেল হাসান রাব্বি অন্যতম একজন ত্যাগী নেতা ছিল। যার রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়েছে। পাভেল হাসান রাব্বি জীবন দিয়ে মতলবের নাম উজ্জ্বল করেছে। গেল ১৬টি বছর মতলবে আমরা মিছিল-মিটিং আন্দোলন করেছি। যেখানেই বিএনপির প্রোগ্রাম সেখানেই পাভেল হাসান রাব্বি সক্রিয় ছিল।
১ ঘণ্টা আগে