যুবদল নেতাকে গাছে বেঁধে পেটালো আ.লীগের জসিম

উপজেলা প্রতিনিধি, হাতিয়া (নোয়াখালী)
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ২১: ০১
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭: ১৫

নোয়াখালী হাতিয়ায় গাছের সাথে বেঁধে সম্রাট আকবর নামে এক যুবদল নেতাকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। পুলিশ গিয়ে তাকে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।

রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিরবিরি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন জাহাজমারা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিরবিরি গ্রামের মৃত মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। সে একই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দখল বাণিজ্য চাঁদাবাজিসহ সাধারণ মানুষের উপর অনেক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

সম্রাট আকবর ঐ ইউনিয়নের একই গ্রামের মৃত ইমাম হোসেনের ছেলে। সে জাহাজমারা ইউনিয়ন পূর্ব শাখার ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। বর্তমান ইউনিয়ন যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত।

স্থানীয়রা জানান, জসিমের বাড়িতে সম্রাটকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে পেটানো হচ্ছে। এ খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করতে গেলে জসিমের লোক তাদের বাধা দেয়। পরে তার স্বজনরা ৯৯৯ এ কল দিয়ে সহযোগিতা চান। এতে জাহাজমারা ফাঁড়ি থানার পুলিশ এসে সম্রাটকে উদ্ধার করে।

আহত সম্রাটের মা মরিয়মের নেছা জানান, জসিম মেম্বারের বাড়ি তাদের বাড়ির পাশাপাশি । তার ছেলেকে বাড়িতে গাছের সাথে বেধে রেখে পেটাচ্ছে।

এ সংবাদ পেয়ে সবাই ছুটে যান ঐ বাড়িতে। কিন্তু দরজায় জসিমের লোকজন তাদেরকে বাধা দেন। ছেলের আর্তনাদ দেখতে পারলেও তখন তার কিছুই করার ছিল না। পরে পুলিশ এসে সম্রাটকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার নিতম্বসহ শরীরের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আহত সম্রাট বলেন, জসিমের সাথে আমার রাজনৈতিক মতবিরোধ রয়েছে। আমি আমার এক বন্ধুর সাথে দেখা করে বাড়ি ফিরছিলাম। পথে জসিমের বাড়ির দরজায় তাদের সাথে আমার দেখা হয়। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জসিমের লোকজন আমার উপর আক্রমণ করে। তারা আমাকে বাড়িতে ধরে নিয়ে গিয়ে গাছের সাথে হাত পা বেঁধে ফেলে। এরপর জসিম লাঠি নিয়ে আমাকে বেদম পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে লাঠি ভেঙে গেলে বিদ্যুতের মোটা তার দিয়ে মারতে থাকে। এতে আমার হাত ভেঙে যায়। শরীরের পেছনের অংশে ও উপরের অনেকাংশে রক্তক্ষরণ হয়। আমার চিৎকারে আমার কোনো স্বজনও এসে সাহায্য ও উদ্ধার করতে পারে নাই। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে জাহাজমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. খোরশেদ আলম বলেন, ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। জসিমের বাড়ি থেকে আহত অবস্থায় সম্রাটকে উদ্ধার করা হয়। তাকে তার স্বজনদের মাধ্যমে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তার পরিবার অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে জসিমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ঘটনাটি সঠিক নয়। তবে পুলিশ আহত বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছেন এ প্রশ্ন করলে সে কৌশলে এড়িয়ে যান।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত