জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, কেউ যেন স্বৈরাচার না হতে পারে সেজন্যই পিআর পদ্ধতি। পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচন হলে দেশে নব্য স্বৈরাচার তৈরি হবে না।
৮ অক্টোবর রাত আটটায় কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আয়োজনে জুলাই জাতীয় সনদ ও পিআর পদ্ধতির ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে কুমিল্লা ওয়েসিস হোটেলের কনফারেন্স রুমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনে যাবে না জামায়াত। জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে আশা করছি। দেশের স্থিতিশীলতার স্বার্থে নির্বাচন হবে। একটি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন। জামায়াত বিভক্তি চায় না, আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে, কোনো প্রতিহিংসা থাকবে না। পিআর পদ্ধতিতে সুবিধা বেশি, মাত্র দু-একটি সীমাবদ্ধতা আছে। সেগুলো আমরা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে সমাধান করবো।
যে দল ফ্যাসিবাদী নেতৃত্বে দিয়েছে তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে, ভোটারদের নয়। সকল ভোটার ভোট দেবে। যেভাবে ছাত্ররা ভোট দিয়েছে ডাকসু নির্বাচনে। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। কিন্তু ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে ।
গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমির ও কুমিল্লা সদর আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান, কুমিল্লা উত্তর জেলার আমির অধ্যাপক আবদুল মতিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা নগরীর সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিক সমাজ।

